জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আয়তায় চলমান মাস্টারপ্ল্যানবিহীন উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ করে দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট।
৫ এপ্রিল (শুক্রবার) জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্ধকৃত ১৪৪৫ কোটি টাকার সঠিকভাবে ব্যয় না করা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের যে সুফল ভোগ করার কথা ছিল তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপরন্তু, প্রশাসনের নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির ফলে এই মাস্টারপ্ল্যানবিহীন উন্নয়ন জাহাঙ্গীরনগরকে দিন দিন কনক্রিটের শহরে পরিণত করছে। পাশাপাশি তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণপ্রকৃতিকে যেমন ধ্বংস করছে, তেমনি তা তৈরি করছে নানা কৃত্রিম সংকট।
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সময়ের `অপরিকল্পিত’ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলা হয়, মেয়েদের হল মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করায় নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি এবং সংযোগ রাস্তাবিহীন তাজউদ্দিন আহমেদ হল এবং শহীদ রফিক জব্বার হলের মধ্যকার সংঘর্ষ এই মাস্টারপ্ল্যানবিহীন উন্নয়নেরই ফল।
ছুটিতে ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে Technical Monitoring and Evaluation Committe গঠন করে। কিন্তু প্রশাসন নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির সময় আবার প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করছে। অপরিকল্পিত এসব ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের মতামতকে উপেক্ষা করে বারবার অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হীনমন্যতা ও অনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকেই নগ্নভাবে সকলের সামনে তুলে ধরে। জ্ঞান উৎপাদন কারখানা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে অবস্থান- তাকে নষ্ট করে, শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিবেশকে ধ্বংস করে, এই অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন আমরা চাই না। সকল বিভাগ এবং অনুষদের শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকট নিরসনের মাধ্যমে পড়াশোনার পরিবেশ আরো উন্নত হোক তা আমাদেরও চাওয়া। তবে যত্রতত্র অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ কোন সুফল বয়ে আনতে পারেনা বলেই এতদিনে প্রতীয়মান হয়।”
এসময় তারা আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট সবসময় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার পক্ষে। আমাদের ৬৫০০ শিক্ষার্থীর ধারণক্ষমতাসম্পন্ন লেকচার থিয়েটারের কাজ শেষের দিকে। সেটার নির্মাণ কাজ শেষ হলে কেন আরও ভবনের প্রয়োজন তা প্রশ্ন থেকে যায়।
সম্প্রতি চারুকলা বিভাগের জন্য ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে ৬ তলা ভবনসহ জীববিজ্ঞান অনুষদ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের সম্প্রসারিত অংশের নির্মাণকাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতির বিস্তর ধ্বংসের পাশাপাশি শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা করে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আয়তায় চলমান মাস্টারপ্ল্যানবিহীন উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ করে দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট।
৫ এপ্রিল (শুক্রবার) জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্ধকৃত ১৪৪৫ কোটি টাকার সঠিকভাবে ব্যয় না করা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের যে সুফল ভোগ করার কথা ছিল তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপরন্তু, প্রশাসনের নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির ফলে এই মাস্টারপ্ল্যানবিহীন উন্নয়ন জাহাঙ্গীরনগরকে দিন দিন কনক্রিটের শহরে পরিণত করছে। পাশাপাশি তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণপ্রকৃতিকে যেমন ধ্বংস করছে, তেমনি তা তৈরি করছে নানা কৃত্রিম সংকট।
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সময়ের `অপরিকল্পিত’ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলা হয়, মেয়েদের হল মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করায় নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি এবং সংযোগ রাস্তাবিহীন তাজউদ্দিন আহমেদ হল এবং শহীদ রফিক জব্বার হলের মধ্যকার সংঘর্ষ এই মাস্টারপ্ল্যানবিহীন উন্নয়নেরই ফল।
ছুটিতে ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে Technical Monitoring and Evaluation Committe গঠন করে। কিন্তু প্রশাসন নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির সময় আবার প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করছে। অপরিকল্পিত এসব ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের মতামতকে উপেক্ষা করে বারবার অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হীনমন্যতা ও অনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকেই নগ্নভাবে সকলের সামনে তুলে ধরে। জ্ঞান উৎপাদন কারখানা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে অবস্থান- তাকে নষ্ট করে, শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিবেশকে ধ্বংস করে, এই অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন আমরা চাই না। সকল বিভাগ এবং অনুষদের শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকট নিরসনের মাধ্যমে পড়াশোনার পরিবেশ আরো উন্নত হোক তা আমাদেরও চাওয়া। তবে যত্রতত্র অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ কোন সুফল বয়ে আনতে পারেনা বলেই এতদিনে প্রতীয়মান হয়।”
এসময় তারা আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট সবসময় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার পক্ষে। আমাদের ৬৫০০ শিক্ষার্থীর ধারণক্ষমতাসম্পন্ন লেকচার থিয়েটারের কাজ শেষের দিকে। সেটার নির্মাণ কাজ শেষ হলে কেন আরও ভবনের প্রয়োজন তা প্রশ্ন থেকে যায়।
সম্প্রতি চারুকলা বিভাগের জন্য ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে ৬ তলা ভবনসহ জীববিজ্ঞান অনুষদ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের সম্প্রসারিত অংশের নির্মাণকাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতির বিস্তর ধ্বংসের পাশাপাশি শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা করে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।