alt

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কোটা বাতিল চেয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কলাভবন, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে একটি সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, কোটার বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাহলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে পরে শিক্ষার্থীদের সাঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা হাইকোর্টের এই রায় প্রত্যাখ্যান করলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা না হয় তাহলে আইন এবং রাজপথ দুই ভাবেই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম বলেন, কোন যুক্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে? কোন যুক্তিতে তিন শতাংশ জনগণের জন্য ৫৬ শতাংশ কোটা রাখা হবে আর বাকি ৯৭ শতাংশ জনগণের জন্য বাকি মাত্র ৪৪ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে?

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের রাবার বুলেটের ক্ষত এখনো শুকায়নি। কার্জন হলে টিয়ারশেল খেয়েছিলাম, সেই জ্বলন এখনো শুকায়নি। ক্যাম্পাসে পুলিশ যেভাবে আমাদের নির্যাতন করেছে সেই ভয়াল অভিজ্ঞতা এখনো ভুলিনি। সে দিনের কোটা বাতিল ছিল সারা বাংলার ছাত্রসমাজের গণজোয়ারের ফলাফল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা, সাম্যের যে স্পিরিট সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছিল, সেই স্পিরিটের বাইরে গিয়ে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করে কোটার পুনর্বহাল সারা বাংলার শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। কোটা পুনর্বহাল বাতিল করার জন্য আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেটা ছিল বৈষম্য নিরূপণ করা।

এর আগে এদিন দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী একদল শিক্ষার্থী। মানববন্ধনে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার এবং পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা কোটা ব্যবস্থাকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈষম্যের মাধ্যম উল্লেখ করে বলেন, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের গর্জনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু আজ ছয় বছর পর এই কোটা ব্যবস্থাকে পুনর্বহালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এবং বেকার-তরুণ তরুণীদের সাথে এখন প্রহসন করা হচ্ছে।

কোটা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা সংস্কারের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলাম। তখন মহামান্য হাইকোর্ট বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা রাখা কিংবা না রাখা নির্বাহী সংসদের এখতিয়ার, এটি হাইকোর্টের এখতিয়ারে নয়। এজন্য হাইকোর্টের কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে তিনি আরও বলেন, সংবিধানে স্পষ্টই উল্লেখ রয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের সকল নাগরিক সরকারি চাকরিতে নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি নাগরিক সমঅধিকার পাবেন।

প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) বিচারপতিকে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

ছবি

ডাকসু নির্বাচন: ভোট হাতে গণনার আবেদন উমামা ফাতেমার

ছবি

এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ছবি

নারায়ণগঞ্জ চারুকলায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুর দাবি, প্রো-ভিসির আশ্বাস

ছবি

রাকসু: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা, ভিপি পদে ১৮

ছবি

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ১৬ অভিযোগ: নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ছবি

রাকসু: তিন সাবেক সমন্বয়কের ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল, শিবিরের ‘ছায়ার’ গুঞ্জন

ছবি

জাকসু: ভোট গণনায় অসঙ্গতি, বৈধ ভোটের চেয়ে বেশী ভোটের হিসাব, বিজয়ী ঘোষণা করে পরে বাতিল

ছবি

রাকসু: নির্বাচনী প্রচারণায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

ছবি

রাকসু: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন হল সংসদে নির্বাচিত

ছবি

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে ঘোষিত নয়টি প্যানেল

ছবি

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু, প্রথম দিনেই সংগ্রহ ২৮টি

ছবি

রাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাংশের প্যানেল, তবে নেই ভিপি, জিএস, এজিএস

ছবি

ডাকসুর প্রথম সভায় সিনেটের জন্য ৫ প্রতিনিধি মনোনীত

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু: মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

ছবি

রাকসুর নীতিমালা সংশোধন, লটারিতে নির্ধারিত হবে ব্যালট নম্বর

জাকসু নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি: নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল

ছবি

রাকসু: আচরণবিধি ‘লঙ্ঘন’ করে চলছে প্রচার-প্রচারণা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, তবে ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি, শিবিরের প্রার্থী জিএসে বিজয়ী

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

বেরোবির দাওয়া সোসাইটি’র নবীন বরণে শিক্ষার্থীদের কুরআনসহ বিভিন্ন উপহার প্রদান

ছবি

জাকসু: অবশেষে ভোটের ফল ঘোষণা চলছে

ছবি

জাকসু নির্বাচন: আরেক কমিশনারের পদত্যাগ, অনিয়মে বর্জনের হিড়িক

ছবি

জাকসু: অবশেষে ভোট গোণা শেষ, তবে ফল ঘোষণা সন্ধ্যায়

ছবি

জাবি: রোববার ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ

ছবি

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতে পারে শনিবার সন্ধ্যায়

ছবি

জাকসু: এবার বেলা ১টার মধ্যে ভোট গণনা ‘শেষের আশা’

ছবি

জাকসু: ৪০ ঘণ্টা পরও গণনা শেষ হয়নি

জাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অনিয়মের অভিযোগে বিবৃতি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের, অবগত নয় তালিকাভুক্ত শিক্ষক

ছবি

জাকসু: অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন তিন শিক্ষক

ছবি

প্রশ্নবিদ্ধ জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছেই

ছবি

জাকসু: নির্বাচন বানচালে বিএনপিপন্থী দুই শিক্ষক ইন্ধন দিচ্ছেন, অভিযোগ শিবির প্রার্থীর

ছবি

জাকসু: ভোট গণনা চল‌ছে, বিভ্রান্ত না হতে কমিশনের আহ্বান

tab

news » campus

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কোটা বাতিল চেয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কলাভবন, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে একটি সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, কোটার বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাহলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে পরে শিক্ষার্থীদের সাঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা হাইকোর্টের এই রায় প্রত্যাখ্যান করলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা না হয় তাহলে আইন এবং রাজপথ দুই ভাবেই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম বলেন, কোন যুক্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে? কোন যুক্তিতে তিন শতাংশ জনগণের জন্য ৫৬ শতাংশ কোটা রাখা হবে আর বাকি ৯৭ শতাংশ জনগণের জন্য বাকি মাত্র ৪৪ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে?

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের রাবার বুলেটের ক্ষত এখনো শুকায়নি। কার্জন হলে টিয়ারশেল খেয়েছিলাম, সেই জ্বলন এখনো শুকায়নি। ক্যাম্পাসে পুলিশ যেভাবে আমাদের নির্যাতন করেছে সেই ভয়াল অভিজ্ঞতা এখনো ভুলিনি। সে দিনের কোটা বাতিল ছিল সারা বাংলার ছাত্রসমাজের গণজোয়ারের ফলাফল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা, সাম্যের যে স্পিরিট সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছিল, সেই স্পিরিটের বাইরে গিয়ে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করে কোটার পুনর্বহাল সারা বাংলার শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। কোটা পুনর্বহাল বাতিল করার জন্য আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেটা ছিল বৈষম্য নিরূপণ করা।

এর আগে এদিন দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী একদল শিক্ষার্থী। মানববন্ধনে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার এবং পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা কোটা ব্যবস্থাকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈষম্যের মাধ্যম উল্লেখ করে বলেন, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের গর্জনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু আজ ছয় বছর পর এই কোটা ব্যবস্থাকে পুনর্বহালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এবং বেকার-তরুণ তরুণীদের সাথে এখন প্রহসন করা হচ্ছে।

কোটা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা সংস্কারের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলাম। তখন মহামান্য হাইকোর্ট বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা রাখা কিংবা না রাখা নির্বাহী সংসদের এখতিয়ার, এটি হাইকোর্টের এখতিয়ারে নয়। এজন্য হাইকোর্টের কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে তিনি আরও বলেন, সংবিধানে স্পষ্টই উল্লেখ রয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের সকল নাগরিক সরকারি চাকরিতে নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি নাগরিক সমঅধিকার পাবেন।

প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) বিচারপতিকে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

back to top