ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলে অবস্থান করায় হলে থাকা ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে বকা-ঝকা করে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার ও সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদারের বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে অভিযোগ দিলে বা কথা বললে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় এবং অনেক ছাত্রীই হিন্দু ধর্মালম্বীর হওয়ায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের ছুটিতে হল বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় প্রায় ২০ জনের মতো ছাত্রী বাড়িতে না গিয়ে হলেই অবস্থান করেন। এদিকে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে হলে অবস্থান করা ছাত্রীদের হল প্রভোস্টের অফিস কক্ষে ডেকে নেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার এবং সহকারী হাউজ টিউটর দীপিকা মজুমদার। এসময় ২-৩ জন ছাত্রী সেখানে গেলে তাদেরকে বকাঝকা করেন তারা। পরে আরো কয়েকজন ছাত্রী গেলে তাদেরকেও বকাঝকা করা হয়। এসময় ছাত্রীরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি না যাওয়ায় স্টাফরা ছুটি পায়নি বলে বকাঝকা করে এবং ছাত্রীদের শাসান হল প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটর। হলের ডিউটি করতে গিয়ে প্রভোস্ট তাঁর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে যেতে পারেননি এমন উদাহরণ টেনে ছাত্রীদের বকাঝকা করা হয়। এব নিয়ে মুখ খুললে কিংবা আন্দোলন করলে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিল করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন হল প্রভোস্ট।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকে ভয়ে এবং বাধ্য হয়ে হলে অবস্থান করা অনেক ছাত্রীই হল ত্যাগ করছেন। অনেকেই হল ত্যাগ করে ঢাকায় কারোর আত্মীয়র বাসায় উঠছেন। আবার অনেকেই নিজেদের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলে অবস্থান করা এক ছাত্রী বলেন, আমার ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় এবং হিন্দু হওয়ায় আমি এবার ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাইনি। গতকাল (শনিবার) দুপুরে প্রভোস্ট ম্যাম এবং সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদার ম্যাম আমাদের অফিসে ডাকেন। আমরা সেখানে গেলে আমরা কেন ছুটিতেও এখানে আছি সেটা নিয়ে বকাঝকা করেন। আমাদের কারণে স্টাফরা ছুটি পায়নি, প্রভোস্ট ম্যাম তার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে যেতে পারেননি এসব উদাহরণ টেনে টেনে আমাদের বকাঝকা করেন। পরের সব ঈদেই হল বন্ধ রাখা হবে বলে তিনি আমাদের বলেন। এসব নিয়ে কথা হললে বা আন্দোলন করলে হলের সিট বাতিল করে দেয়া হবে বলেও তিনি হুমকি দেন।
হলে অবস্থান করা আরেক ছাত্রী বলেন, গতকালের এই ঘটনার পর থেকেই অনেকেই ভয়ে হল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যাদের বাসা দূরে শুধু তারাই যেতে পারছেনা। কেউ কেউ ঢাকার আত্মীয়স্বজনের বাসায় যাচ্ছে। তাঁরা আমাদের অভিভাবক। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা তাঁরা না বুঝলে আর কে বুঝবে? অথচ এভাবে ডেকে আমাদের বকাঝকা করলেন। আমরা ভয়ে আছি, এসব কথা বলার কারণে আমাদের আবার ডেকে নিয়ে হলের সিট বাতিল করে দেয় কিনা।
এবিষয়ে জানতে সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদারকে কল দেয়া হলে তিনি সাংবাদিককে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন। ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হোননি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার বলেন, তাদেরকে বকাঝকা করা হয়েছে এটা মিথ্যা কথা। আমি আরো তাদেরকে ডেকে নিয়ে নিরাপদে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তাদেরকে বলেছি দেখো আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী সেখানে না গিয়ে তোমাদের দেখতে চলে এসছি। তোমরা আমার মেয়ের মতো। সবাই সাবধানে থাকবে। তারা হয়তো সেটা ভুল বুঝে উল্টাপাল্টা কথা বলে অভিযোগ করেছে।
হলের সিট বাতিলের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এমন কোনো কথা বলা হয়নি। যারা অভিযোগ দিচ্ছে তাদের নামসহ আমার সামনে আনো। আমার সাথে সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদারও ছিলেন। আমরা ছাত্রীদের দেখতে গিয়েছিলাম। তারা যাতে সাবধানে থাকে সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম।
রোববার, ১৬ জুন ২০২৪
ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলে অবস্থান করায় হলে থাকা ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে বকা-ঝকা করে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার ও সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদারের বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে অভিযোগ দিলে বা কথা বললে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় এবং অনেক ছাত্রীই হিন্দু ধর্মালম্বীর হওয়ায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের ছুটিতে হল বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় প্রায় ২০ জনের মতো ছাত্রী বাড়িতে না গিয়ে হলেই অবস্থান করেন। এদিকে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে হলে অবস্থান করা ছাত্রীদের হল প্রভোস্টের অফিস কক্ষে ডেকে নেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার এবং সহকারী হাউজ টিউটর দীপিকা মজুমদার। এসময় ২-৩ জন ছাত্রী সেখানে গেলে তাদেরকে বকাঝকা করেন তারা। পরে আরো কয়েকজন ছাত্রী গেলে তাদেরকেও বকাঝকা করা হয়। এসময় ছাত্রীরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি না যাওয়ায় স্টাফরা ছুটি পায়নি বলে বকাঝকা করে এবং ছাত্রীদের শাসান হল প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটর। হলের ডিউটি করতে গিয়ে প্রভোস্ট তাঁর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে যেতে পারেননি এমন উদাহরণ টেনে ছাত্রীদের বকাঝকা করা হয়। এব নিয়ে মুখ খুললে কিংবা আন্দোলন করলে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিল করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন হল প্রভোস্ট।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকে ভয়ে এবং বাধ্য হয়ে হলে অবস্থান করা অনেক ছাত্রীই হল ত্যাগ করছেন। অনেকেই হল ত্যাগ করে ঢাকায় কারোর আত্মীয়র বাসায় উঠছেন। আবার অনেকেই নিজেদের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলে অবস্থান করা এক ছাত্রী বলেন, আমার ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় এবং হিন্দু হওয়ায় আমি এবার ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাইনি। গতকাল (শনিবার) দুপুরে প্রভোস্ট ম্যাম এবং সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদার ম্যাম আমাদের অফিসে ডাকেন। আমরা সেখানে গেলে আমরা কেন ছুটিতেও এখানে আছি সেটা নিয়ে বকাঝকা করেন। আমাদের কারণে স্টাফরা ছুটি পায়নি, প্রভোস্ট ম্যাম তার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে যেতে পারেননি এসব উদাহরণ টেনে টেনে আমাদের বকাঝকা করেন। পরের সব ঈদেই হল বন্ধ রাখা হবে বলে তিনি আমাদের বলেন। এসব নিয়ে কথা হললে বা আন্দোলন করলে হলের সিট বাতিল করে দেয়া হবে বলেও তিনি হুমকি দেন।
হলে অবস্থান করা আরেক ছাত্রী বলেন, গতকালের এই ঘটনার পর থেকেই অনেকেই ভয়ে হল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যাদের বাসা দূরে শুধু তারাই যেতে পারছেনা। কেউ কেউ ঢাকার আত্মীয়স্বজনের বাসায় যাচ্ছে। তাঁরা আমাদের অভিভাবক। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা তাঁরা না বুঝলে আর কে বুঝবে? অথচ এভাবে ডেকে আমাদের বকাঝকা করলেন। আমরা ভয়ে আছি, এসব কথা বলার কারণে আমাদের আবার ডেকে নিয়ে হলের সিট বাতিল করে দেয় কিনা।
এবিষয়ে জানতে সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদারকে কল দেয়া হলে তিনি সাংবাদিককে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন। ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হোননি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার বলেন, তাদেরকে বকাঝকা করা হয়েছে এটা মিথ্যা কথা। আমি আরো তাদেরকে ডেকে নিয়ে নিরাপদে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তাদেরকে বলেছি দেখো আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী সেখানে না গিয়ে তোমাদের দেখতে চলে এসছি। তোমরা আমার মেয়ের মতো। সবাই সাবধানে থাকবে। তারা হয়তো সেটা ভুল বুঝে উল্টাপাল্টা কথা বলে অভিযোগ করেছে।
হলের সিট বাতিলের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এমন কোনো কথা বলা হয়নি। যারা অভিযোগ দিচ্ছে তাদের নামসহ আমার সামনে আনো। আমার সাথে সহকারী হাউজ টিউটর দিপীকা মজুমদারও ছিলেন। আমরা ছাত্রীদের দেখতে গিয়েছিলাম। তারা যাতে সাবধানে থাকে সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম।