সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলা থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে মিছিলটি রায়সাহেব বাজার হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ককে প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে পরিণত হয়।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘আঠারোর হাতিয়ার জেগে উঠো আরেকবার’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথায় কবর দে’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক সহ নানা স্লোগান।’
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। কোটা প্রথা বহাল রেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি করা হয়েছে।
সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, এ বৈষম্য আমরা কখনও মানবো না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সেসময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন, হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের চারটি দাবি জানাচ্ছি। আমাদের প্রস্তাবিত দাবিসমূহ—
১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২। ’১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪। দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলা থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে মিছিলটি রায়সাহেব বাজার হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ককে প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে পরিণত হয়।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘আঠারোর হাতিয়ার জেগে উঠো আরেকবার’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথায় কবর দে’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক সহ নানা স্লোগান।’
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। কোটা প্রথা বহাল রেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি করা হয়েছে।
সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, এ বৈষম্য আমরা কখনও মানবো না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সেসময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন, হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের চারটি দাবি জানাচ্ছি। আমাদের প্রস্তাবিত দাবিসমূহ—
১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২। ’১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪। দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।