alt

৭২ বছরে পা রাখছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মারুফ হাসান,রাবি : শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই যাত্রা শুরু করে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলেও বর্তমানে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গৌরব ও ঐতিহ্য বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীকাল শনিবার ৬ জুলাই, ৭২ বছর বয়সে পা রাখছে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই বিদ্যাপিঠ।

তবে প্রতিষ্ঠার শুরুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানের স্থানে ছিল না। দুইটি অনুষদের (কলা ও আইন) ছয়টি বিভাগ (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, আইন, দর্শন ও অর্থনীতি) নিয়ে প্রথম যাত্র শুরু হয়। ১৯৫৩-৫৪ সেশনে পোস্ট-গ্রাজুয়েট কোর্সের মাধ্যমে রাজশাহী কলেজে ১৫৬ জন ছাত্র, ৫ জন ছাত্রী ও ২০ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয়। প্রথম অনার্স কোর্স চালু হয় ১৯৬২ সালে। কালের বিবর্তনে বর্তমানে বর্তমানে বিদেশি ও সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত মোট ২৬ হাজার ৩১৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ৯ হাজার ৩৪৬ জন ও ছাত্র সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৬৯।

প্রতিষ্ঠালগ্নে রাজশাহী কলেজের কাছে পদ্মাপারে অবস্থিত ডাচদের তৈরি বড়কুঠিতে উপাচার্যের প্রথম অফিস বসানো হয়। ছাত্রদের থাকার জন্য শহরের বিভিন্ন ভবন ভাড়া করা হয়। রাজশাহী কলেজ সংলগ্ন ফুলার হোস্টেলকে করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রাবাস। আর ছাত্রী নিবাস করা হয় বড়কুঠি এলাকার লালকুঠি ভবন। প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর ১৯৫৮ সালে শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান মতিহার ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণের কাজ। ১৯৬৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্তমান ক্যম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। সে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ছাত্রদের ৪টি (শেরে বাংলা ফজলুল হক হল, শাহ্‌ মখদুম হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল ও সৈয়দ আমীর আলী হল) ও ছাত্রীদের ১টি (মন্নুজান হল)। কালের বিবর্তনে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আবাসিক হল রয়েছে ১৭টি। যার মধ্যে ছাত্রী হলের সংখ্যা ৬টি ও ছাত্রদের রয়েছে ১১টি আবাসিক হল। এছাড়া ১০ তালা করে দুটি হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

বর্তমানে প্রায় ৭৫৩ একর বা ৩০৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০টি অনুষদের অধীনে ৫৯ টি বিভাগ ও ৫টি উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে।

তবে দীর্ঘ ৭১ বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যায় কলেবর বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, গবেষণা ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন দিকে এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা বলছেন, প্রশাসনিক দুর্বলতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমস্যা, রাজনীতিকীকরণ, দুর্নীতি অগ্রগতির পিছে প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে।

উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ১৯৫৩ সালে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটা সবারই প্রত্যাশা যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা করে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ কিংবা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেককেই নিজ নিজ দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে। তবে সার্বিক বিবেচনায় যথেষ্ট উন্নতি হলেও কিছু জায়গায় এখনো আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে গবেষণা। এটি ঐচ্ছিক নয়, আবশ্যিক একটি কাজ। আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করেছি। যেখানে প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকদের গবেষণা সংযুক্ত করা হয়েছে। গবেষণা বৃদ্ধির জন্য এবার আমরা শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা পরিবর্তন করে গবেষণার বিষয়টি সংযুক্ত করেছি। এখন সব অনুষদের শিক্ষকদের গবেষণা করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি অনুষদের অধিকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিনেট নির্বাচন করার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। কারণ সিনেট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। সিনেটের মাধ্যমে অনেক বিষয় আইনে পরিণত হয় কিংবা আইনসিদ্ধ হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছি। সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির লক্ষ্যে সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

ছবি

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শিবির ও ছাত্রদলের ভিন্ন ভিন্ন দাবি

ছবি

ফের পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবি, অন্যথায় ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মসূচি

ছবি

‘কাকতাড়ুয়া দহন’ কর্মসূচি দিয়ে সড়ক ছাড়লেন কারিগরির শিক্ষার্থীরা

ছবি

জকসু: ২৭ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন

ছবি

রাকসু: হাতে ভোট গোণা ও ৫ দাবি ছাত্রদলের, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটের সিদ্ধান্ত

ছবি

সাজেকে চাঁন্দের গাড়ি খাদে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

ছবি

জগন্নাথ: নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে ৪ জনের অনশনে ৩ জন অসুস্থ

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন নেওয়ার সময় বাড়ল এক দিন

ছবি

গাজীপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রেলপথ অবরোধ, বিক্ষোভ

ছবি

রাকসু: ১৭ কেন্দ্রে ভোট, নিরাপত্তায় থাকবে দুই হাজার পুলিশ

ছবি

জকসুসহ ৩ দাবিতে বাগছাস ও ছাত্র অধিকারের অনশন

ছবি

ডাকসু নির্বাচন: ভোট হাতে গণনার আবেদন উমামা ফাতেমার

ছবি

এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ছবি

নারায়ণগঞ্জ চারুকলায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুর দাবি, প্রো-ভিসির আশ্বাস

ছবি

রাকসু: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা, ভিপি পদে ১৮

ছবি

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ১৬ অভিযোগ: নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ছবি

রাকসু: তিন সাবেক সমন্বয়কের ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল, শিবিরের ‘ছায়ার’ গুঞ্জন

ছবি

জাকসু: ভোট গণনায় অসঙ্গতি, বৈধ ভোটের চেয়ে বেশী ভোটের হিসাব, বিজয়ী ঘোষণা করে পরে বাতিল

ছবি

রাকসু: নির্বাচনী প্রচারণায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

ছবি

রাকসু: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন হল সংসদে নির্বাচিত

ছবি

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে ঘোষিত নয়টি প্যানেল

ছবি

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু, প্রথম দিনেই সংগ্রহ ২৮টি

ছবি

রাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাংশের প্যানেল, তবে নেই ভিপি, জিএস, এজিএস

ছবি

ডাকসুর প্রথম সভায় সিনেটের জন্য ৫ প্রতিনিধি মনোনীত

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু: মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

ছবি

রাকসুর নীতিমালা সংশোধন, লটারিতে নির্ধারিত হবে ব্যালট নম্বর

জাকসু নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি: নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল

ছবি

রাকসু: আচরণবিধি ‘লঙ্ঘন’ করে চলছে প্রচার-প্রচারণা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, তবে ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি, শিবিরের প্রার্থী জিএসে বিজয়ী

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

tab

৭২ বছরে পা রাখছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মারুফ হাসান,রাবি

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই যাত্রা শুরু করে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলেও বর্তমানে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গৌরব ও ঐতিহ্য বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীকাল শনিবার ৬ জুলাই, ৭২ বছর বয়সে পা রাখছে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই বিদ্যাপিঠ।

তবে প্রতিষ্ঠার শুরুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানের স্থানে ছিল না। দুইটি অনুষদের (কলা ও আইন) ছয়টি বিভাগ (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, আইন, দর্শন ও অর্থনীতি) নিয়ে প্রথম যাত্র শুরু হয়। ১৯৫৩-৫৪ সেশনে পোস্ট-গ্রাজুয়েট কোর্সের মাধ্যমে রাজশাহী কলেজে ১৫৬ জন ছাত্র, ৫ জন ছাত্রী ও ২০ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয়। প্রথম অনার্স কোর্স চালু হয় ১৯৬২ সালে। কালের বিবর্তনে বর্তমানে বর্তমানে বিদেশি ও সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত মোট ২৬ হাজার ৩১৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ৯ হাজার ৩৪৬ জন ও ছাত্র সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৬৯।

প্রতিষ্ঠালগ্নে রাজশাহী কলেজের কাছে পদ্মাপারে অবস্থিত ডাচদের তৈরি বড়কুঠিতে উপাচার্যের প্রথম অফিস বসানো হয়। ছাত্রদের থাকার জন্য শহরের বিভিন্ন ভবন ভাড়া করা হয়। রাজশাহী কলেজ সংলগ্ন ফুলার হোস্টেলকে করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রাবাস। আর ছাত্রী নিবাস করা হয় বড়কুঠি এলাকার লালকুঠি ভবন। প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর ১৯৫৮ সালে শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান মতিহার ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণের কাজ। ১৯৬৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্তমান ক্যম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। সে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ছাত্রদের ৪টি (শেরে বাংলা ফজলুল হক হল, শাহ্‌ মখদুম হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল ও সৈয়দ আমীর আলী হল) ও ছাত্রীদের ১টি (মন্নুজান হল)। কালের বিবর্তনে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আবাসিক হল রয়েছে ১৭টি। যার মধ্যে ছাত্রী হলের সংখ্যা ৬টি ও ছাত্রদের রয়েছে ১১টি আবাসিক হল। এছাড়া ১০ তালা করে দুটি হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

বর্তমানে প্রায় ৭৫৩ একর বা ৩০৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০টি অনুষদের অধীনে ৫৯ টি বিভাগ ও ৫টি উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে।

তবে দীর্ঘ ৭১ বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যায় কলেবর বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, গবেষণা ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন দিকে এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা বলছেন, প্রশাসনিক দুর্বলতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমস্যা, রাজনীতিকীকরণ, দুর্নীতি অগ্রগতির পিছে প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে।

উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ১৯৫৩ সালে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটা সবারই প্রত্যাশা যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা করে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ কিংবা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেককেই নিজ নিজ দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে। তবে সার্বিক বিবেচনায় যথেষ্ট উন্নতি হলেও কিছু জায়গায় এখনো আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে গবেষণা। এটি ঐচ্ছিক নয়, আবশ্যিক একটি কাজ। আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করেছি। যেখানে প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকদের গবেষণা সংযুক্ত করা হয়েছে। গবেষণা বৃদ্ধির জন্য এবার আমরা শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা পরিবর্তন করে গবেষণার বিষয়টি সংযুক্ত করেছি। এখন সব অনুষদের শিক্ষকদের গবেষণা করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি অনুষদের অধিকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিনেট নির্বাচন করার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। কারণ সিনেট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। সিনেটের মাধ্যমে অনেক বিষয় আইনে পরিণত হয় কিংবা আইনসিদ্ধ হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছি। সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির লক্ষ্যে সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

back to top