জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের উদ্যোগে পালিত হলো আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রাঙ্গণে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু, সহকারী অধ্যাপক তানজিলা হোসাইন এবং লেকচারার মো. শুভ হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষদের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়, যা ট্রান্সপোর্ট হয়ে শহীদমিনার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অনুষদের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। এছাড়াও বেলুন উড্ডয়ন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এ পেশায় নিয়োজিত সব মানুষের কাছে এই দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগোতে অ্যাকাউন্টিং ডে সর্বপ্রথম পালন করা হয়। ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউট্যান্টস এবং সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউট্যান্টের (সিপিএ) ক্যালিফোর্নিয়া সোসাইটি সান দিয়াগো চ্যাপ্টার এই দিবস প্রথম পালন করে। অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড বুক কিপিংয়ের জনক ইতালিয়ান লুকা প্যাসিওলির লেখা সুমা ডি এরিথমেটিকা, জিউমেট্রিকা, প্রোপরসনি এট প্রোপরসনালিটা (পাটিগণিত, জ্যামিতি, অনুপাত এবং সমানুপাতিকতার সমষ্টি) নামক বই ১৪৯৪ সালের ১০ নভেম্বর ইতালির ভেনিসে প্রকাশিত হয়। ঐতিহাসিক এই দিনটি স্মরণ করতে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালন করা হয়। পরে অন্যান্য দেশের হিসাববিদরাও এ দিবসটি পালন করা শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে তেমন ঘটা করে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালন করা হয় না। তাই, এ দিনটি সম্পর্কে মানুষের ধারণা অনেক কম। কিন্তু, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই হিসাববিজ্ঞান এবং তার প্রয়োগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যারা হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের হিসাববিজ্ঞান ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, গণিত, বিজ্ঞান, সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রকাঠামোসহ আরো অনেক বিষয়ে ধারণা রাখতে হয়। ফলে, হিসাববিদরা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো নীতিনির্ধারণীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এজন্যই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হিসাববিজ্ঞানের প্রভাব খুব সহজেই লক্ষ্য করা যায়। পলিসি গ্রহণে আইসিএবির সম্পৃক্ততা তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু বলেন, পেশাদার হিসাববিদদের কাজে উৎসাহ জোগাতে, সাধারণ মানুষের মধ্যে এ কাজের গুরুত্ব বোঝাতে এবং এ পেশায় তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে এ ব্যক্তিগত, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে হিসাববিদদের মহান অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা উচিত। এতে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ দৈনন্দিন জীবনে হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি এবং চর্চায় আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হবে।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের উদ্যোগে পালিত হলো আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রাঙ্গণে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু, সহকারী অধ্যাপক তানজিলা হোসাইন এবং লেকচারার মো. শুভ হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষদের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়, যা ট্রান্সপোর্ট হয়ে শহীদমিনার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অনুষদের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। এছাড়াও বেলুন উড্ডয়ন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এ পেশায় নিয়োজিত সব মানুষের কাছে এই দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগোতে অ্যাকাউন্টিং ডে সর্বপ্রথম পালন করা হয়। ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউট্যান্টস এবং সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউট্যান্টের (সিপিএ) ক্যালিফোর্নিয়া সোসাইটি সান দিয়াগো চ্যাপ্টার এই দিবস প্রথম পালন করে। অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড বুক কিপিংয়ের জনক ইতালিয়ান লুকা প্যাসিওলির লেখা সুমা ডি এরিথমেটিকা, জিউমেট্রিকা, প্রোপরসনি এট প্রোপরসনালিটা (পাটিগণিত, জ্যামিতি, অনুপাত এবং সমানুপাতিকতার সমষ্টি) নামক বই ১৪৯৪ সালের ১০ নভেম্বর ইতালির ভেনিসে প্রকাশিত হয়। ঐতিহাসিক এই দিনটি স্মরণ করতে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালন করা হয়। পরে অন্যান্য দেশের হিসাববিদরাও এ দিবসটি পালন করা শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে তেমন ঘটা করে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালন করা হয় না। তাই, এ দিনটি সম্পর্কে মানুষের ধারণা অনেক কম। কিন্তু, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই হিসাববিজ্ঞান এবং তার প্রয়োগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যারা হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের হিসাববিজ্ঞান ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, গণিত, বিজ্ঞান, সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রকাঠামোসহ আরো অনেক বিষয়ে ধারণা রাখতে হয়। ফলে, হিসাববিদরা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো নীতিনির্ধারণীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এজন্যই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হিসাববিজ্ঞানের প্রভাব খুব সহজেই লক্ষ্য করা যায়। পলিসি গ্রহণে আইসিএবির সম্পৃক্ততা তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু বলেন, পেশাদার হিসাববিদদের কাজে উৎসাহ জোগাতে, সাধারণ মানুষের মধ্যে এ কাজের গুরুত্ব বোঝাতে এবং এ পেশায় তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে এ ব্যক্তিগত, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে হিসাববিদদের মহান অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা উচিত। এতে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ দৈনন্দিন জীবনে হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি এবং চর্চায় আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হবে।