রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীদের অনশন চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। পরে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনশনে যোগ দেন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অনশন চলছিল। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা পিছিয়ে পড়া কোনো জনগোষ্ঠী নন। তাঁদের সন্তানদের পোষ্য কোটার সুবিধা দেওয়া ন্যায্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কোটা নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করলেও শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
অনশনে নেতৃত্ব দেওয়া পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ জানান, গতকাল ও আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পোষ্য কোটার যুক্তি তুলে ধরেছেন। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটাকে ন্যায্যতার প্রশ্নে অগ্রহণযোগ্য বলেই মনে করছেন। তাঁদের দাবি, এক শতাংশ কোটাও থাকলে আন্দোলন চলবে।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম পোষ্য কোটা চালু করেছিল, এখন এই কোটা বিলুপ্তি করে ইতিহাস কলঙ্কমুক্ত করতে চাই।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আজ সকালে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান এবং আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রক্টর মাহবুবর রহমান জানান, ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া পোষ্য কোটার বিষয়ে কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। তিনি কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, যেখানে পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রগতিশীল চার ছাত্র সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি একই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা, শিক্ষক নিয়োগ, এবং পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিনটি দাবি নিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে চারটি ছাত্র সংগঠন। আজ বেলা ১১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে ভর্তি পরীক্ষার সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল এবং ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্যায্য আবেদন ফি আদায় বন্ধ করা।
অবস্থান নেওয়া চার ছাত্র সংগঠন হলো বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র গণমঞ্চ।
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীদের অনশন চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। পরে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনশনে যোগ দেন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অনশন চলছিল। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা পিছিয়ে পড়া কোনো জনগোষ্ঠী নন। তাঁদের সন্তানদের পোষ্য কোটার সুবিধা দেওয়া ন্যায্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কোটা নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করলেও শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
অনশনে নেতৃত্ব দেওয়া পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ জানান, গতকাল ও আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পোষ্য কোটার যুক্তি তুলে ধরেছেন। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটাকে ন্যায্যতার প্রশ্নে অগ্রহণযোগ্য বলেই মনে করছেন। তাঁদের দাবি, এক শতাংশ কোটাও থাকলে আন্দোলন চলবে।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম পোষ্য কোটা চালু করেছিল, এখন এই কোটা বিলুপ্তি করে ইতিহাস কলঙ্কমুক্ত করতে চাই।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আজ সকালে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান এবং আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রক্টর মাহবুবর রহমান জানান, ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া পোষ্য কোটার বিষয়ে কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। তিনি কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, যেখানে পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রগতিশীল চার ছাত্র সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি একই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা, শিক্ষক নিয়োগ, এবং পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিনটি দাবি নিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে চারটি ছাত্র সংগঠন। আজ বেলা ১১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে ভর্তি পরীক্ষার সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল এবং ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্যায্য আবেদন ফি আদায় বন্ধ করা।
অবস্থান নেওয়া চার ছাত্র সংগঠন হলো বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র গণমঞ্চ।