জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর পূজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় পূজা, অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের সরব অংশগ্রহণে এবারের পূজা হয়ে উঠেছিল বর্ণিল ও উৎসবমুখর।
এদিন সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগীয় মণ্ডপে এসে পূজার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণ, অঞ্জলি প্রদান এবং দেবীর আশীর্বাদ কামনার মাধ্যমে পূজার মূল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এরপর চলে প্রসাদ বিতরণ ও পূজাকে ঘিরে আনন্দঘন সময় কাটানোর পালা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ন্তী রাণী রায় বলেন, “আমাদের জন্য সরস্বতী পূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক মিলনমেলা। সবাই একসঙ্গে মিলিত হয়ে বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদ কামনা করি, যা সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা।”
এবারও জবির ইংরেজি বিভাগের পূজায় পৌরোহিত্য করেন বিভাগের শিক্ষার্থী সমাদৃতা ভৌমিক। টানা দ্বিতীয়বার নারী পুরোহিতের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল।
সমাদৃতা সংবাদকে বলেন, “শাস্ত্রে নারীদের পৌরোহিত্যের কোনো বাধা নেই, তবে সামাজিক বাস্তবতায় এটি এখনো স্বাভাবিক বিষয় হয়ে ওঠেনি। আমি চাই, এই উদ্যোগ আরও প্রসারিত হোক এবং নারীরা পূজার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কাজে সম্পৃক্ত হোক।”
শিক্ষার্থীরা বিদ্যার দেবীর সামনে প্রার্থনা করেন, যেন আগামী দিনগুলো তাদের জন্য শুভ ও সফল হয়। দুপুরের পর গানের তালে তালে নেচে উঠে শিক্ষার্থীরা পূজার আনন্দ ভাগ করে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল সংবাদকে বলেন, “খুবই সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। দিনের বাকি সময়ও অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পূজা উদযাপন করা হবে। নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এবারের পূজায় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও উদ্দীপনা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই এই সম্প্রীতি ও ঐক্যের আবহ আগামীতেও বজায় থাকুক।”
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর পূজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় পূজা, অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের সরব অংশগ্রহণে এবারের পূজা হয়ে উঠেছিল বর্ণিল ও উৎসবমুখর।
এদিন সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগীয় মণ্ডপে এসে পূজার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণ, অঞ্জলি প্রদান এবং দেবীর আশীর্বাদ কামনার মাধ্যমে পূজার মূল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এরপর চলে প্রসাদ বিতরণ ও পূজাকে ঘিরে আনন্দঘন সময় কাটানোর পালা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ন্তী রাণী রায় বলেন, “আমাদের জন্য সরস্বতী পূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক মিলনমেলা। সবাই একসঙ্গে মিলিত হয়ে বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদ কামনা করি, যা সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা।”
এবারও জবির ইংরেজি বিভাগের পূজায় পৌরোহিত্য করেন বিভাগের শিক্ষার্থী সমাদৃতা ভৌমিক। টানা দ্বিতীয়বার নারী পুরোহিতের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল।
সমাদৃতা সংবাদকে বলেন, “শাস্ত্রে নারীদের পৌরোহিত্যের কোনো বাধা নেই, তবে সামাজিক বাস্তবতায় এটি এখনো স্বাভাবিক বিষয় হয়ে ওঠেনি। আমি চাই, এই উদ্যোগ আরও প্রসারিত হোক এবং নারীরা পূজার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কাজে সম্পৃক্ত হোক।”
শিক্ষার্থীরা বিদ্যার দেবীর সামনে প্রার্থনা করেন, যেন আগামী দিনগুলো তাদের জন্য শুভ ও সফল হয়। দুপুরের পর গানের তালে তালে নেচে উঠে শিক্ষার্থীরা পূজার আনন্দ ভাগ করে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল সংবাদকে বলেন, “খুবই সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। দিনের বাকি সময়ও অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পূজা উদযাপন করা হবে। নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এবারের পূজায় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও উদ্দীপনা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই এই সম্প্রীতি ও ঐক্যের আবহ আগামীতেও বজায় থাকুক।”