ছবি : সংগৃহীত
গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৮-১৯ সেশনের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আহাদ হোসেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সিতাকুণ্ড উপজেলার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ছিলেন।
গত সোমবার পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আহাদকে উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও সেখানে আইসিইউ বেড না পাওয়ায় তাকে ম্যাক্সএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে এমআরআই সুবিধা না থাকায় তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের অনুমতি নিয়ে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়।
ফিন্যান্স বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আল শাহরিয়ার শাওন বলেন, "আহাদ ভাই কোনো প্রেমঘটিত বিষয়ে জড়িত ছিলেন না। তিনি ক্যারিয়ার নিয়ে ডিপ্রেশনে ছিলেন। চাকরি ও পড়াশোনা নিয়ে সবসময় চিন্তা করতেন। এসব কারণেই তিনি হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বায়েজিদ আলী জানান, সোমবার আহাদের ব্যাচের পাঁচটি কোর্সের মধ্যে তৃতীয় কোর্সের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা কক্ষে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গিয়ে সে জানায়, তার ঘুম হয় না, পেট ফাঁকা লাগে এবং কিছু খেতে পারে না। তাকে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার ব্যায়াম করানোর পর তিনি সুস্থ বোধ করেন এবং পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষে তিনি কোর্স শিক্ষককে জানান, তার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তবে বাসায় ফিরে তিনি রুম বন্ধ করে রাখলে তার রুমমেটরা দরজা খুলে দেখেন, গামছা পেঁচিয়ে তিনি ঝুলে আছেন। তার পা দুটো মাটি ছুঁয়ে ছিল বলে জেনেছি।
অধ্যাপক বায়েজিদ আরও বলেন, “আহাদ ‘ওভার থিংকিং’ সমস্যায় ভুগছিলেন। চাকরি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি প্রচণ্ড টেনশনে ছিলেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আহাদ দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ মৃত্যুবরণ করেন। তার কিডনি, ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ শিক্ষার্থীর বিভাগ নিয়মিত হাসপাতালে যোগাযোগ রাখছিলো। আমাদের শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমরা খুব দ্রুত কাউন্সিলিং সেন্টার ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
ছবি : সংগৃহীত
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৮-১৯ সেশনের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আহাদ হোসেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সিতাকুণ্ড উপজেলার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ছিলেন।
গত সোমবার পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আহাদকে উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও সেখানে আইসিইউ বেড না পাওয়ায় তাকে ম্যাক্সএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে এমআরআই সুবিধা না থাকায় তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের অনুমতি নিয়ে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়।
ফিন্যান্স বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আল শাহরিয়ার শাওন বলেন, "আহাদ ভাই কোনো প্রেমঘটিত বিষয়ে জড়িত ছিলেন না। তিনি ক্যারিয়ার নিয়ে ডিপ্রেশনে ছিলেন। চাকরি ও পড়াশোনা নিয়ে সবসময় চিন্তা করতেন। এসব কারণেই তিনি হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বায়েজিদ আলী জানান, সোমবার আহাদের ব্যাচের পাঁচটি কোর্সের মধ্যে তৃতীয় কোর্সের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা কক্ষে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গিয়ে সে জানায়, তার ঘুম হয় না, পেট ফাঁকা লাগে এবং কিছু খেতে পারে না। তাকে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার ব্যায়াম করানোর পর তিনি সুস্থ বোধ করেন এবং পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষে তিনি কোর্স শিক্ষককে জানান, তার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তবে বাসায় ফিরে তিনি রুম বন্ধ করে রাখলে তার রুমমেটরা দরজা খুলে দেখেন, গামছা পেঁচিয়ে তিনি ঝুলে আছেন। তার পা দুটো মাটি ছুঁয়ে ছিল বলে জেনেছি।
অধ্যাপক বায়েজিদ আরও বলেন, “আহাদ ‘ওভার থিংকিং’ সমস্যায় ভুগছিলেন। চাকরি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি প্রচণ্ড টেনশনে ছিলেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আহাদ দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ মৃত্যুবরণ করেন। তার কিডনি, ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ শিক্ষার্থীর বিভাগ নিয়মিত হাসপাতালে যোগাযোগ রাখছিলো। আমাদের শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমরা খুব দ্রুত কাউন্সিলিং সেন্টার ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবো।