খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একদল শিক্ষার্থী উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে ঢাকায় রওনা হয়েছেন।
রোববার সকাল ৮টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে ভাড়া করা দুটি বাসে ৮০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়, আর চোখে ছিল লাল কাপড় বাঁধা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে তারা নিরাপদ বোধ করছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে কেবল গার্ডরা থাকলেও বহিরাগতরা ‘অবাধে’ ক্যাম্পাসে চলাফেরা করছে, যা তাদের আতঙ্কিত করছে। তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর তারা বাড়ি ফিরে যাবেন এবং ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ফিরবেন না।
১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সংঘর্ষ একপর্যায়ে ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দিলে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
এরপর রাতে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে ছিল— বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং থাকলে আজীবন বহিষ্কারের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি; সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা, বহিষ্কারসহ ব্যবস্থা নেওয়া; ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের রাখা; আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসন থেকে বহন করা এবং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীরা সময় বেঁধে দিয়ে জানান, দাবি পূরণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাসভবন ছেড়ে ঢাকায় যান। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে হামলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে, যেখানে বিএনপি ও যুবদলের চারজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেও হলগুলো খোলা রাখা হয়েছে। তবে অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তিন কর্মদিবসের মধ্যে সদস্যদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে সহ-উপাচার্য জানিয়েছেন।
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একদল শিক্ষার্থী উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে ঢাকায় রওনা হয়েছেন।
রোববার সকাল ৮টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে ভাড়া করা দুটি বাসে ৮০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়, আর চোখে ছিল লাল কাপড় বাঁধা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে তারা নিরাপদ বোধ করছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে কেবল গার্ডরা থাকলেও বহিরাগতরা ‘অবাধে’ ক্যাম্পাসে চলাফেরা করছে, যা তাদের আতঙ্কিত করছে। তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর তারা বাড়ি ফিরে যাবেন এবং ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ফিরবেন না।
১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সংঘর্ষ একপর্যায়ে ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দিলে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
এরপর রাতে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে ছিল— বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং থাকলে আজীবন বহিষ্কারের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি; সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা, বহিষ্কারসহ ব্যবস্থা নেওয়া; ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের রাখা; আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসন থেকে বহন করা এবং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীরা সময় বেঁধে দিয়ে জানান, দাবি পূরণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাসভবন ছেড়ে ঢাকায় যান। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে হামলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে, যেখানে বিএনপি ও যুবদলের চারজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেও হলগুলো খোলা রাখা হয়েছে। তবে অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তিন কর্মদিবসের মধ্যে সদস্যদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে সহ-উপাচার্য জানিয়েছেন।