ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার ‘সুযোগ নেই’। নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল কেবল গঠিত তিনটি কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরই ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন এবং গঠনতন্ত্র পরিমার্জনের জন্য তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা ‘নিরলসভাবে’ কাজ করে যাচ্ছে।
তিন কমিটির কার্যক্রম
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
এ কমিটি ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সম্পন্ন করেছে। শিগগিরই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধনের দায়িত্বে রয়েছে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের একটি কমিটি।
এই কমিটি ছাত্র সংগঠন, ডাকসুর সাবেক নেতৃবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী, হল প্রশাসন, হাউজ টিউটর, সাংবাদিক এবং আগের ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় করেছে। বর্তমানে পাওয়া মতামত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।
এদিকে, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হকের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধনের কাজ করছে।
এই কমিটি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং সেই অনুযায়ী গঠনতন্ত্রের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। অংশীজনদের মতামত নেওয়ার পর চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ডাকসু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হলেও এখনো কোনো সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা বলেছিল। তবে এখন তারা এ বিষয়ে তিন কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কমিটিগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম শেষ করবে কি না, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে ২৯ বার ভোট হয়, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধার বিষয় তুলে ধরেন।
তবে দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নেই। বর্তমান বাস্তবতায় ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সহাবস্থান থাকলেও গঠনতন্ত্র সংস্কারসহ নানা বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি।
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার ‘সুযোগ নেই’। নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল কেবল গঠিত তিনটি কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরই ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন এবং গঠনতন্ত্র পরিমার্জনের জন্য তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা ‘নিরলসভাবে’ কাজ করে যাচ্ছে।
তিন কমিটির কার্যক্রম
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
এ কমিটি ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সম্পন্ন করেছে। শিগগিরই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধনের দায়িত্বে রয়েছে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের একটি কমিটি।
এই কমিটি ছাত্র সংগঠন, ডাকসুর সাবেক নেতৃবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী, হল প্রশাসন, হাউজ টিউটর, সাংবাদিক এবং আগের ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় করেছে। বর্তমানে পাওয়া মতামত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।
এদিকে, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হকের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধনের কাজ করছে।
এই কমিটি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং সেই অনুযায়ী গঠনতন্ত্রের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। অংশীজনদের মতামত নেওয়ার পর চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ডাকসু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হলেও এখনো কোনো সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা বলেছিল। তবে এখন তারা এ বিষয়ে তিন কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কমিটিগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম শেষ করবে কি না, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে ২৯ বার ভোট হয়, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধার বিষয় তুলে ধরেন।
তবে দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নেই। বর্তমান বাস্তবতায় ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সহাবস্থান থাকলেও গঠনতন্ত্র সংস্কারসহ নানা বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি।