জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার অফিসে লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সাইকেল চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাতে গেলে রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার শিকার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, জবি শাখার সভাপতি ইভান তাহসীব।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রারের কক্ষে গেলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “গেট আউট, বের করে দাও ওকে!” এমন অভিযোগ ইভান তাহসীবের।
প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি অডিও ক্লিপে রেজিস্ট্রারকে বলতে শোনা যায়, “আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারবো না। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে – এটা প্রশাসনের দায়িত্ব না।” এমনকি তিনি বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো? এলাকায় কলেজে পড়লেই তো পারতে।”
ইভান তাহসীব জানান, “আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে যাই। রেজিস্ট্রার শুরুতেই বলেন শহীদ সাজিদ ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নয়। অথচ অনেক শিক্ষার্থী টিউশনির টাকা দিয়ে সাইকেল কেনে এবং তা দিয়েই টিউশনি করে। নিরাপত্তা না দিতে চাইলে গ্যারেজ বন্ধ করে দেওয়া হোক, অথবা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হোক যে বিশ্ববিদ্যালয় কোনও মালামালের দায়িত্ব নেবে না।”
এদিকে এই মন্তব্য এবং আচরণকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক ফেইসবুক পোস্টে তারা রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করেন। একই রাতে একটি ঝটিকা মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ‘রেজিস্টারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্টার গদি ছাড়’।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান লিখেছেন, “শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব যে রেজিস্ট্রার নিতে চায় না, সেই রেজিস্ট্রার শিক্ষার্থীদেরও প্রয়োজন নাই। জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চাই।”
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ মন্তব্য করেন, “এরকম আচরণের একজন মানুষ কীভাবে প্রশাসনে আছে, বুঝে পাই না। সবসময় শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে।এরকম একজনকে আমাদের গার্ডিয়ান হিসেবে চাই না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নওয়ার জয়া জানান, “ছয় মাস আগে হল ও আবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে একই রকম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছি। তার অস্বাভাবিক আচরণে রেজিস্ট্রার অফিসে আর যেতে ইচ্ছা করে না।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “রেজিস্ট্রার মহোদয়ের দাম্ভিকতার পরিচয় আমরা আগেই পেয়েছি। আজ তিনি শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে নিজের ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছেন।”
জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা লিখেছেন, “রেজিস্ট্রার সাহেব, শেখ হাসিনা হয়ে উঠার চেষ্টা করবেন না। আপনি যা করেছেন এটা ক্ষমার অযোগ্য। আপনাকে আর প্রশাসনে দেখতে চাই না।”
এ ঘটনায় রেজিস্ট্রারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার অফিসে লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সাইকেল চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাতে গেলে রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার শিকার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, জবি শাখার সভাপতি ইভান তাহসীব।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রারের কক্ষে গেলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “গেট আউট, বের করে দাও ওকে!” এমন অভিযোগ ইভান তাহসীবের।
প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি অডিও ক্লিপে রেজিস্ট্রারকে বলতে শোনা যায়, “আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারবো না। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে – এটা প্রশাসনের দায়িত্ব না।” এমনকি তিনি বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো? এলাকায় কলেজে পড়লেই তো পারতে।”
ইভান তাহসীব জানান, “আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে যাই। রেজিস্ট্রার শুরুতেই বলেন শহীদ সাজিদ ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নয়। অথচ অনেক শিক্ষার্থী টিউশনির টাকা দিয়ে সাইকেল কেনে এবং তা দিয়েই টিউশনি করে। নিরাপত্তা না দিতে চাইলে গ্যারেজ বন্ধ করে দেওয়া হোক, অথবা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হোক যে বিশ্ববিদ্যালয় কোনও মালামালের দায়িত্ব নেবে না।”
এদিকে এই মন্তব্য এবং আচরণকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক ফেইসবুক পোস্টে তারা রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করেন। একই রাতে একটি ঝটিকা মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ‘রেজিস্টারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্টার গদি ছাড়’।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান লিখেছেন, “শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব যে রেজিস্ট্রার নিতে চায় না, সেই রেজিস্ট্রার শিক্ষার্থীদেরও প্রয়োজন নাই। জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চাই।”
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ মন্তব্য করেন, “এরকম আচরণের একজন মানুষ কীভাবে প্রশাসনে আছে, বুঝে পাই না। সবসময় শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে।এরকম একজনকে আমাদের গার্ডিয়ান হিসেবে চাই না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নওয়ার জয়া জানান, “ছয় মাস আগে হল ও আবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে একই রকম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছি। তার অস্বাভাবিক আচরণে রেজিস্ট্রার অফিসে আর যেতে ইচ্ছা করে না।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “রেজিস্ট্রার মহোদয়ের দাম্ভিকতার পরিচয় আমরা আগেই পেয়েছি। আজ তিনি শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে নিজের ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছেন।”
জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা লিখেছেন, “রেজিস্ট্রার সাহেব, শেখ হাসিনা হয়ে উঠার চেষ্টা করবেন না। আপনি যা করেছেন এটা ক্ষমার অযোগ্য। আপনাকে আর প্রশাসনে দেখতে চাই না।”
এ ঘটনায় রেজিস্ট্রারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।