রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের জন্য ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ এগোচ্ছে না। রাকসুর চূড়ান্ত নিয়মনীতি ও নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। একইভাবে ২৮ এপ্রিল (সোমবার) খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও সেটিও সম্ভব হয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৫ এপ্রিল সাত সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু সেই কমিশনের এখনও কোনও বৈঠক হয়নি।
এসব কারণে অনেকেই মনে করছেন, ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী জুন মাসে রাকসু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে চিঠি এসেছে কিছুদিন আগে। এখনো বিস্তারিত দেখিনি। চূড়ান্ত বিধিমালার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আর নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এখনো কোনো বৈঠকের ডাক দেননি। তাছাড়া আগের রোডম্যাপ বর্তমানে অনুমোদিত বিধিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু হওয়া দরকার।’
ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২৮ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিধিমালার খসড়া নিয়ে মতামত দেন। এরপর ১৩ এপ্রিল চূড়ান্ত বিধিমালা প্রকাশের কথা থাকলেও তা হয়নি। একইভাবে ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও সেটিও এখনও ঘটেনি।
ঘোষিত রোডম্যাপে বলা হয়েছিল, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ করা হবে এবং ১৩ মে প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা। ১৫ মে থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। ২০ মে বাছাই, ২২ মে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ এবং ২৫ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ২৭ মে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে।
তবে বারবার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ছাত্রসংগঠনগুলোর অনেক নেতাই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ তাহের সংবাদকে বলেন, ‘প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব এবং কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টার কারণেই রাকসু নিয়ে এই স্থবিরতা।’
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া সংবাদকে বলেন, ‘প্রশাসন নিজেরাই কথা দিয়ে আবার তা পালন করছে না। রাকসুকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই নির্বাচন নিয়ে বেশি তৎপর তারা। ছাত্রদের সামনে রাকসু নিয়ে শুধু আশা দেখানো হচ্ছে, কাজ কিছুই হচ্ছে না।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘প্রথমে প্রশাসনের অবস্থান ভালো ছিল। এখন বারবার সময়সূচি অনুসরণ না করায় আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
তবে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলছেন নির্বাচন ‘পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।’ তিনি সংবাদকে বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে কিছু সময় লাগছে ঠিকই, তবে চূড়ান্ত বিধিমালা ও খসড়া ভোটার তালিকা একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে শিগগিরই। বাকি কাজগুলো যথাসময়ে শেষ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের জন্য ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ এগোচ্ছে না। রাকসুর চূড়ান্ত নিয়মনীতি ও নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। একইভাবে ২৮ এপ্রিল (সোমবার) খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও সেটিও সম্ভব হয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৫ এপ্রিল সাত সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু সেই কমিশনের এখনও কোনও বৈঠক হয়নি।
এসব কারণে অনেকেই মনে করছেন, ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী জুন মাসে রাকসু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে চিঠি এসেছে কিছুদিন আগে। এখনো বিস্তারিত দেখিনি। চূড়ান্ত বিধিমালার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আর নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এখনো কোনো বৈঠকের ডাক দেননি। তাছাড়া আগের রোডম্যাপ বর্তমানে অনুমোদিত বিধিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু হওয়া দরকার।’
ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২৮ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিধিমালার খসড়া নিয়ে মতামত দেন। এরপর ১৩ এপ্রিল চূড়ান্ত বিধিমালা প্রকাশের কথা থাকলেও তা হয়নি। একইভাবে ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও সেটিও এখনও ঘটেনি।
ঘোষিত রোডম্যাপে বলা হয়েছিল, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ করা হবে এবং ১৩ মে প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা। ১৫ মে থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। ২০ মে বাছাই, ২২ মে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ এবং ২৫ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ২৭ মে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে।
তবে বারবার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ছাত্রসংগঠনগুলোর অনেক নেতাই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ তাহের সংবাদকে বলেন, ‘প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব এবং কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টার কারণেই রাকসু নিয়ে এই স্থবিরতা।’
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া সংবাদকে বলেন, ‘প্রশাসন নিজেরাই কথা দিয়ে আবার তা পালন করছে না। রাকসুকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই নির্বাচন নিয়ে বেশি তৎপর তারা। ছাত্রদের সামনে রাকসু নিয়ে শুধু আশা দেখানো হচ্ছে, কাজ কিছুই হচ্ছে না।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘প্রথমে প্রশাসনের অবস্থান ভালো ছিল। এখন বারবার সময়সূচি অনুসরণ না করায় আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
তবে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলছেন নির্বাচন ‘পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।’ তিনি সংবাদকে বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে কিছু সময় লাগছে ঠিকই, তবে চূড়ান্ত বিধিমালা ও খসড়া ভোটার তালিকা একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে শিগগিরই। বাকি কাজগুলো যথাসময়ে শেষ করা হবে।’