ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিতের হাই কোর্টের আদেশ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই আটকে গেছে আপিল বিভাগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকালে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, চেম্বার আদালতের এই অন্তর্বর্তী আদেশের ফলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
এদিনই এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ডাকসু নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ছাত্র শিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়।
এ আদেশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে হাতে লেখা আবেদন করে। শুনানির পর অন্তর্বর্তী আদেশ দেয় আদালত। আর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
৫ অগাস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন, এর পরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন– এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে সোমবার একটি রিট হয়। তিন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এ মামলা করেন।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফাহমিদা আলম বলেন রিট মামলা ডাকসু নির্বাচন ‘বানচাল করার জন্য নয়’। কিনি জানান, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন ‘বট অ্যাকাউন্ট’ থেকে তিনি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
ফাহমিদা বলেন, ‘ফরহাদের অবস্থান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং সে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার কোনো পদত্যাগের প্রমাণ আমরা পাইনি।’
ফরহাদের কর্মকাণ্ড ডাকসুর গঠনতন্ত্রের সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘টিএসসিতে তারা রাজাকারদের ছবি টানিয়েছিল। তাদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে প্রচেষ্টা ছিল, সেটি ডাকসুর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
সোমবার মামলা হওয়ার পর এখন ছাত্র শিবির নেতা ফরহাদ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমার প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী বামজোটের নেত্রীকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
ফরহাদ আরও লিখেন, ‘বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ।‘
‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল (বাংলাদেশ জাসদের ছাত্র সংগঠন) এর সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে।
ডাকসুর ভোট হওয়ার কথা ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্যানেল দিয়েছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ১০টির মতো প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্য পদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।
*বিক্ষোভ পরে উচ্ছাস*
হাইকোর্টে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকেল সোয়া চারটা থেকে বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। তারা ‘হাইকোর্ট না ডাকসু, — ডাকসু ডাকসু’, ‘ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’ প্রভৃতি স্লোগান দেন৷
তবে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে খবর আসে, ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চেম্বার আদালত স্থগিত করেছে৷ এই খবরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে ‘ডাকসু ডাকসু’, ‘৯ তারিখ ৯ তারিখ’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেন৷ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীদের অনেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে চলে যেতে শুরু করেন।
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিতের হাই কোর্টের আদেশ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই আটকে গেছে আপিল বিভাগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকালে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, চেম্বার আদালতের এই অন্তর্বর্তী আদেশের ফলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
এদিনই এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ডাকসু নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ছাত্র শিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়।
এ আদেশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে হাতে লেখা আবেদন করে। শুনানির পর অন্তর্বর্তী আদেশ দেয় আদালত। আর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
৫ অগাস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন, এর পরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন– এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে সোমবার একটি রিট হয়। তিন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এ মামলা করেন।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফাহমিদা আলম বলেন রিট মামলা ডাকসু নির্বাচন ‘বানচাল করার জন্য নয়’। কিনি জানান, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন ‘বট অ্যাকাউন্ট’ থেকে তিনি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
ফাহমিদা বলেন, ‘ফরহাদের অবস্থান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং সে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার কোনো পদত্যাগের প্রমাণ আমরা পাইনি।’
ফরহাদের কর্মকাণ্ড ডাকসুর গঠনতন্ত্রের সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘টিএসসিতে তারা রাজাকারদের ছবি টানিয়েছিল। তাদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে প্রচেষ্টা ছিল, সেটি ডাকসুর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
সোমবার মামলা হওয়ার পর এখন ছাত্র শিবির নেতা ফরহাদ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমার প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী বামজোটের নেত্রীকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
ফরহাদ আরও লিখেন, ‘বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ।‘
‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল (বাংলাদেশ জাসদের ছাত্র সংগঠন) এর সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে।
ডাকসুর ভোট হওয়ার কথা ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্যানেল দিয়েছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ১০টির মতো প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্য পদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।
*বিক্ষোভ পরে উচ্ছাস*
হাইকোর্টে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকেল সোয়া চারটা থেকে বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। তারা ‘হাইকোর্ট না ডাকসু, — ডাকসু ডাকসু’, ‘ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’ প্রভৃতি স্লোগান দেন৷
তবে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে খবর আসে, ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চেম্বার আদালত স্থগিত করেছে৷ এই খবরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে ‘ডাকসু ডাকসু’, ‘৯ তারিখ ৯ তারিখ’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেন৷ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীদের অনেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে চলে যেতে শুরু করেন।