ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে রিট করা শিক্ষার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া শিক্ষার্থী ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ মনোনীত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের বাইরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির ৫ অগাস্টের পর থেকে এখনো গুপ্ত রাজনীতি করে। এখনো তারা তাদের কমিটিগুলো প্রকাশ করে নাই। তাই, কে শিবিরের বা শিবিরের না সেটা বলা কঠিন। কিন্তু আমরা গতকাল গণধর্ষণের হুমকিদাতা আলী হুসেনের আইডি দেখলাম, সেখানে তার ছাত্রশিবিরের প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম।
৫ অগাস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন, এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট আবেদনে।
সোমবার রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে এবং আদেশের ১৫ দিনের মধ্যে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দেয়।
ওই আদেশের পর শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যায়। চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করায় নির্বাচনের ‘বাধা’ কেটে যায়।
ফাহমিদাকে নিয়ে সোমবার বিকালে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আলী হুসেন। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এ আবাসিক শিক্ষার্থী লেখেন, “হাই কোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত। কেউ এসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে ওপরের কথাটা তার জন্যও প্রযোজ্য।”
তার এ পোস্টের পর থেকে ছাত্রদল ও কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন অভিযোগ করে, আলী হুসেন ছাত্রশিবিরের কর্মী। তবে আলী হুসেন শিবিরের কেউ নন বলে দাবি করেছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
সোমবার রাতে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্যানেলটির জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, “আজ ওই শিক্ষার্থীর (হুমকিদাতা) ফিডব্যাক আসছে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তার মানে সে ছাত্রশিবিরের কেউ হওয়ার কথা না। যদি শিবিরের হতো, তাহলে কালকেই হুমকি দিত। এটুকু আইকিউ যদি অ্যাক্টিভিস্টদের না থাকে, তাহলে খুবই দুঃখজনক। যারা আমাদের নিয়ে এ ধরনের বাজে ফ্রেমিং করছেন, তাদের ব্যাপারে নিন্দা জানাচ্ছি।”
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, “আমরা জানি না, এরকম একটা মন্তব্য করার পরও কীভাবে এখনো তার ছাত্রত্ব থাকে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।”
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, “আমরা ৫ অগাস্টের পর থেকে দেখতে পাচ্ছি, আমাদের নারীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হচ্ছে। কিন্তু হাসিনা পালায়নের পর আমরা আশা করেছিলাম নারীদের জন্য একটা সুন্দর সহনশীল ক্যাম্পাস পাবো। কিন্তু আমরা দেখছি নারীকে সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।”
তিনি সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আপনাদের আহ্বান করছি, আপনারা নারীদের সেক্সুয়ালি প্রতিরোধ না করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করুন।”
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে রিট করা শিক্ষার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া শিক্ষার্থী ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ মনোনীত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের বাইরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির ৫ অগাস্টের পর থেকে এখনো গুপ্ত রাজনীতি করে। এখনো তারা তাদের কমিটিগুলো প্রকাশ করে নাই। তাই, কে শিবিরের বা শিবিরের না সেটা বলা কঠিন। কিন্তু আমরা গতকাল গণধর্ষণের হুমকিদাতা আলী হুসেনের আইডি দেখলাম, সেখানে তার ছাত্রশিবিরের প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম।
৫ অগাস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন, এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট আবেদনে।
সোমবার রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে এবং আদেশের ১৫ দিনের মধ্যে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দেয়।
ওই আদেশের পর শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যায়। চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করায় নির্বাচনের ‘বাধা’ কেটে যায়।
ফাহমিদাকে নিয়ে সোমবার বিকালে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আলী হুসেন। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এ আবাসিক শিক্ষার্থী লেখেন, “হাই কোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত। কেউ এসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে ওপরের কথাটা তার জন্যও প্রযোজ্য।”
তার এ পোস্টের পর থেকে ছাত্রদল ও কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন অভিযোগ করে, আলী হুসেন ছাত্রশিবিরের কর্মী। তবে আলী হুসেন শিবিরের কেউ নন বলে দাবি করেছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
সোমবার রাতে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্যানেলটির জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, “আজ ওই শিক্ষার্থীর (হুমকিদাতা) ফিডব্যাক আসছে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তার মানে সে ছাত্রশিবিরের কেউ হওয়ার কথা না। যদি শিবিরের হতো, তাহলে কালকেই হুমকি দিত। এটুকু আইকিউ যদি অ্যাক্টিভিস্টদের না থাকে, তাহলে খুবই দুঃখজনক। যারা আমাদের নিয়ে এ ধরনের বাজে ফ্রেমিং করছেন, তাদের ব্যাপারে নিন্দা জানাচ্ছি।”
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, “আমরা জানি না, এরকম একটা মন্তব্য করার পরও কীভাবে এখনো তার ছাত্রত্ব থাকে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।”
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, “আমরা ৫ অগাস্টের পর থেকে দেখতে পাচ্ছি, আমাদের নারীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হচ্ছে। কিন্তু হাসিনা পালায়নের পর আমরা আশা করেছিলাম নারীদের জন্য একটা সুন্দর সহনশীল ক্যাম্পাস পাবো। কিন্তু আমরা দেখছি নারীকে সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।”
তিনি সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আপনাদের আহ্বান করছি, আপনারা নারীদের সেক্সুয়ালি প্রতিরোধ না করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করুন।”