ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়ছে। বুয়েটের আন্দোলন আপাতত থামলেও ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কতগুলো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, সেটিতে মন্ত্রণালয় অবহিত রয়েছে। অবশ্যই তার দ্বারা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সেটাতে আমরা যথেষ্ট রকমভাবে উদ্বিগ্ন।’
যেকোনো সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেটা সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, দ্রুত এর সমাধান হবে। বিভিন্ন পার্টি তারা একে অপরকে বুঝে অবস্থান বদলিয়ে সর্বজন গ্রাহ্য একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন এবং যত দ্রুত সেটা হয়, ততই মঙ্গলজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো সাহায্য-সহযোগিতার দরকার হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা এক্সটেন্ড করা হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে- আপনারা ধৈর্যের সাথে, সহিষ্ণুতার সাথে যেন সমাধানগুলো খুঁজে পাওয়া যায়, তার দিকে ধাবিত হওয়া যায়, তার দিকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
ক্যাম্পাসের সমস্যা সমাধানে ‘স্থানীয় কমিউনিটিও’ কাজ করছে জানিয়ে সিআর আবরার বলেন, ‘আমাদের আশা, খুব দ্রুত এর সমাধান আসবে। এ ধরনের পরিস্থিতি কারোর কাম্য নয়। সেটা শিক্ষকরাও চান না, ছাত্ররাও চান না, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও চায় না। সে কারণেই আমাদের দিক থেকে আহ্বান- দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানগুলো করে ফেলা।’
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।
এর মধ্যে গত ২৭ আগস্ট তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এর পর ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়। পরে চবি প্রশাসন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে। এ সংঘাতে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দু’জন লাইফ সাপোর্টে আছেন।
৩১ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিতে চলমান আন্দোলনে
হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের পরই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশু পালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এর সুরাহা না হওয়ায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে উপাচার্যসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের পাশ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ জন ‘বহিরাগত’ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে, তখন বহিরাগতরা তালা ভেঙ্গে দিলে অবরুদ্ধরা বেরিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়ছে। বুয়েটের আন্দোলন আপাতত থামলেও ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কতগুলো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, সেটিতে মন্ত্রণালয় অবহিত রয়েছে। অবশ্যই তার দ্বারা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সেটাতে আমরা যথেষ্ট রকমভাবে উদ্বিগ্ন।’
যেকোনো সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেটা সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, দ্রুত এর সমাধান হবে। বিভিন্ন পার্টি তারা একে অপরকে বুঝে অবস্থান বদলিয়ে সর্বজন গ্রাহ্য একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন এবং যত দ্রুত সেটা হয়, ততই মঙ্গলজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো সাহায্য-সহযোগিতার দরকার হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা এক্সটেন্ড করা হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে- আপনারা ধৈর্যের সাথে, সহিষ্ণুতার সাথে যেন সমাধানগুলো খুঁজে পাওয়া যায়, তার দিকে ধাবিত হওয়া যায়, তার দিকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
ক্যাম্পাসের সমস্যা সমাধানে ‘স্থানীয় কমিউনিটিও’ কাজ করছে জানিয়ে সিআর আবরার বলেন, ‘আমাদের আশা, খুব দ্রুত এর সমাধান আসবে। এ ধরনের পরিস্থিতি কারোর কাম্য নয়। সেটা শিক্ষকরাও চান না, ছাত্ররাও চান না, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও চায় না। সে কারণেই আমাদের দিক থেকে আহ্বান- দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানগুলো করে ফেলা।’
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।
এর মধ্যে গত ২৭ আগস্ট তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এর পর ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়। পরে চবি প্রশাসন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে। এ সংঘাতে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দু’জন লাইফ সাপোর্টে আছেন।
৩১ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিতে চলমান আন্দোলনে
হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের পরই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশু পালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এর সুরাহা না হওয়ায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে উপাচার্যসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের পাশ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ জন ‘বহিরাগত’ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে, তখন বহিরাগতরা তালা ভেঙ্গে দিলে অবরুদ্ধরা বেরিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।