ছাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে বাসে উঠতে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত অবস্থায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানী পরিবহনের এক হেলপারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ওই পরিবহনের ২৮টি বাস আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে যান।
বুধবার,(০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে পরিবহন মালিকপক্ষের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং পরিবহন খাতে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী টিউশনি শেষ করে সাভার থানা স্ট্যান্ড থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার জন্য রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠছিলেন। এ সময় বাসের হেলপার তাকে দুইবার গন্তব্য জিজ্ঞাসা করেন। দ্বিতীয়বার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনে বাসের হেলপার তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে ওই ছাত্রীর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ‘আমি বাসে উঠতে গিয়ে হেলপারকে গন্তব্য বলেছিলাম। কিন্তু তিনি হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেন। এতে আমার পায়ে ব্যথা হয়েছে এবং আমি সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’ এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয় এবং রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা বাসগুলোকে ক্যাম্পাসের ভিতরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অতীতে একাধিকবার পরিবহন কর্মীদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর চিকিৎসার খরচের ক্ষতিপূরণ, অভিযুক্ত হেলপারের শাস্তি, পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটার লিখিত গ্যারান্টি। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শুধু নিরাপত্তা চাই। পরিবহন কর্মীদের এমন আচরণ আর সহ্য করা যাবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম ঘটনাটিকে
‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অতীতে এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে আমরা সে বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
বুধবার বিকেলে পরিবহন মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তারা লিখিত মুচলেকা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন যে, অভিযুক্ত হেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, চিকিৎসার খরচ দেয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দেন।
পরিবহন মালিকপক্ষের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করবো এবং দোষীদের শাস্তি দেব। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার।’
গত বছরও অনুরূপ অভিযোগে বাস আটকের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরিবহন খাতে নারী যাত্রীদের প্রতি আচরণ এবং নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহন কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশও জড়িত হয়েছে এবং তদন্ত চলমান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।
ছাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে বাসে উঠতে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত অবস্থায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানী পরিবহনের এক হেলপারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ওই পরিবহনের ২৮টি বাস আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে যান।
বুধবার,(০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে পরিবহন মালিকপক্ষের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং পরিবহন খাতে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী টিউশনি শেষ করে সাভার থানা স্ট্যান্ড থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার জন্য রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠছিলেন। এ সময় বাসের হেলপার তাকে দুইবার গন্তব্য জিজ্ঞাসা করেন। দ্বিতীয়বার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনে বাসের হেলপার তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে ওই ছাত্রীর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ‘আমি বাসে উঠতে গিয়ে হেলপারকে গন্তব্য বলেছিলাম। কিন্তু তিনি হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেন। এতে আমার পায়ে ব্যথা হয়েছে এবং আমি সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’ এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয় এবং রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা বাসগুলোকে ক্যাম্পাসের ভিতরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অতীতে একাধিকবার পরিবহন কর্মীদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর চিকিৎসার খরচের ক্ষতিপূরণ, অভিযুক্ত হেলপারের শাস্তি, পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটার লিখিত গ্যারান্টি। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শুধু নিরাপত্তা চাই। পরিবহন কর্মীদের এমন আচরণ আর সহ্য করা যাবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম ঘটনাটিকে
‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অতীতে এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে আমরা সে বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
বুধবার বিকেলে পরিবহন মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তারা লিখিত মুচলেকা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন যে, অভিযুক্ত হেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, চিকিৎসার খরচ দেয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দেন।
পরিবহন মালিকপক্ষের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করবো এবং দোষীদের শাস্তি দেব। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার।’
গত বছরও অনুরূপ অভিযোগে বাস আটকের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরিবহন খাতে নারী যাত্রীদের প্রতি আচরণ এবং নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহন কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশও জড়িত হয়েছে এবং তদন্ত চলমান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।