ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে অপপ্রচারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ডাকসুতে জিতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চাই।”
আবদুল কাদের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সমন্বয়ক হিসেবে ৯ দফা ঘোষণা করে পরিচিত হয়ে ওঠেন। গত বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় সাত সমন্বয়ককে যখন আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে সময় সংবাদমাধ্যমে কাদেরের পাঠানো বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি জানানো হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা ছাত্রদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক হন তিনি। আবদুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের ২০১৮-১৯ সেশনের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এবার ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন আবদুল কাদের। আতঙ্কের বিষয় উল্লেখ করে তিনি ফেসবুকে আরও লিখেছেন, “আমার ডাকসুতে জিতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চাই। এতটুকু দয়া অন্তত আমাকে দেখানোর অনুরোধ।”
‘সেই রাজাকার নিয়ে কথা বলার পর থেকেই যে শুরু হইছে, প্রতিনিয়ত সেটা আরও বাড়তেছে’ উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “তার পর থেকেই আমি ঘুমাতে পারি না, মাঝরাতে জেগে যাই; শরীর কাঁপতে থাকে। একটা মানুষকে নিয়ে আর কত করবেন? মানুষের কতটুকুও বা ধৈর্যক্ষমতা থাকে, আমি আর কত দিন নিতে পারব জানি না।”
কাদের বলেন, “কেবল অনলাইনে এই হেনস্তাটা আমার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলেও মানা যাইত, বাড়িতে গিয়ে আমার আম্মাকে পর্যন্ত কথা শোনাচ্ছেন!” ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও যোগ করেন, “১০ দিন আগের বক্তব্য কাট করে প্রপাগান্ডা (অপপ্রচার) না ছড়ালেও পারতেন। পুরো বক্তব্য তুলে ধরলে বক্তব্যের সারমর্ম বুঝতে পারত মানুষ। কেবল তো শুরু, আরও ৫ দিন বাকি। তত দিনে কী যে ঘটবে, সেটা ভাবতে গেলে আরও বেশি ট্রমাটাইজড হয়ে যাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল কাদের বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আগের খণ্ড খণ্ড বক্তব্য কেটে একটি অংশ জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বট অ্যাকাউন্ট (ভুয়া ফেসবুক আইডি) দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে অপপ্রচারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ডাকসুতে জিতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চাই।”
আবদুল কাদের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সমন্বয়ক হিসেবে ৯ দফা ঘোষণা করে পরিচিত হয়ে ওঠেন। গত বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় সাত সমন্বয়ককে যখন আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে সময় সংবাদমাধ্যমে কাদেরের পাঠানো বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি জানানো হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা ছাত্রদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক হন তিনি। আবদুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের ২০১৮-১৯ সেশনের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এবার ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন আবদুল কাদের। আতঙ্কের বিষয় উল্লেখ করে তিনি ফেসবুকে আরও লিখেছেন, “আমার ডাকসুতে জিতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চাই। এতটুকু দয়া অন্তত আমাকে দেখানোর অনুরোধ।”
‘সেই রাজাকার নিয়ে কথা বলার পর থেকেই যে শুরু হইছে, প্রতিনিয়ত সেটা আরও বাড়তেছে’ উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “তার পর থেকেই আমি ঘুমাতে পারি না, মাঝরাতে জেগে যাই; শরীর কাঁপতে থাকে। একটা মানুষকে নিয়ে আর কত করবেন? মানুষের কতটুকুও বা ধৈর্যক্ষমতা থাকে, আমি আর কত দিন নিতে পারব জানি না।”
কাদের বলেন, “কেবল অনলাইনে এই হেনস্তাটা আমার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলেও মানা যাইত, বাড়িতে গিয়ে আমার আম্মাকে পর্যন্ত কথা শোনাচ্ছেন!” ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও যোগ করেন, “১০ দিন আগের বক্তব্য কাট করে প্রপাগান্ডা (অপপ্রচার) না ছড়ালেও পারতেন। পুরো বক্তব্য তুলে ধরলে বক্তব্যের সারমর্ম বুঝতে পারত মানুষ। কেবল তো শুরু, আরও ৫ দিন বাকি। তত দিনে কী যে ঘটবে, সেটা ভাবতে গেলে আরও বেশি ট্রমাটাইজড হয়ে যাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল কাদের বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আগের খণ্ড খণ্ড বক্তব্য কেটে একটি অংশ জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বট অ্যাকাউন্ট (ভুয়া ফেসবুক আইডি) দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”