ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের দুটি ফেইসবুক গ্রুপে অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক করেছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে ডাকসু ভোটের আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, প্রার্থী হলে প্রার্থিতা বাতিল, শিক্ষার্থী হলে বহিষ্কার এবং বাইরের কেউ হলে মামলার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থী দ্বারা পরিচালিত পেইজগুলো আইডেন্টিফাই করতে পারব এবং তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বাইরের যারা আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক রব্বানী বলেন, “আমাদের আইসিটি সেল এবং টাস্কফোর্স রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পেইজগুলোর এডমিনদের সাথে যোগাযোগ করে বন্ধ করানোর জন্য।”
তিনি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-১ এবং শিক্ষার্থী সংসদ-২ নামের দুটি পেইজ নিয়ে বারবার অভিযোগ এসেছে। “আমি ফোনে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা একদিন বন্ধ করে, আরেকদিন চালু করে। কিছুদিন বন্ধ রাখার পর আবার চালু হয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের নিউজ দেখা যাচ্ছে।”
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ ফেইসবুক গ্রুপে ৬৭ হাজার সদস্য রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, শিক্ষার্থী সংসদ-২ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪৯ হাজার। আগে এই গ্রুপের নাম ছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’। বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিস পাওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র ‘শিক্ষার্থী সংসদ-২’ করা হয়েছে।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন ও অধ্যাপক রব্বানীর ব্রিফিংয়ের আগে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, তারা অপপ্রচারের অভিযোগ নিয়েই আসেন।
এদিন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ গ্রুপে ২০০২ সালের ২২ জুলাই রাতে শামসুন নাহার হল ট্র্যাজেডি নিয়ে এআই দ্বারা তৈরি একটি ছবি প্রকাশিত হয়, যেখানে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রব্বানী বলেন, “অভিযোগ বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রার্থীদের কাছ থেকে আসছে। আমরা আজ সকালেই কমিশন থেকে নোটিস দিয়েছি। এখন পেজগুলোতে যে ধরনের অপপ্রচার হচ্ছে, সেখানে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।”
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দুটি গ্রুপসহ বিভিন্ন পাতা বন্ধ করার জন্য বিটিআরসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বিটিআরসির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। “কিছু লিংক অন্য দেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আমাদের এখানে থাকা ডোমেইনগুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারছে না,” মন্তব্য করেন রব্বানী।
তিনি বলেন, “এই পেজগুলো যারা চালাচ্ছে, তাদের আইডেন্টিফাই করে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আচরণবিধি লঙ্ঘন সবচেয়ে বেশি এই পেজগুলোর মাধ্যমে হচ্ছে।”
ডাকসু আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান আরও বলেন, “সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায়নি। কেউ অপপ্রচার চালালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনের ব্রিফিংয়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরও এক বিজ্ঞপ্তিতে সাইবার অপরাধে ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। সেখানে বলা হয়, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের প্রচারণায় অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে সাইবার বুলিং এবং ব্যক্তিগত চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত ছাত্রী প্রার্থীদের লক্ষ্য করে সাইবার বুলিং হচ্ছে। যে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডাকসু আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এবং সাইবার নিয়ন্ত্রণ সেল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আইনগত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হবে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সাইবার বুলিং বা অপপ্রচারে কোনো ছাড় থাকবে না।”
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের দুটি ফেইসবুক গ্রুপে অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক করেছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে ডাকসু ভোটের আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, প্রার্থী হলে প্রার্থিতা বাতিল, শিক্ষার্থী হলে বহিষ্কার এবং বাইরের কেউ হলে মামলার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থী দ্বারা পরিচালিত পেইজগুলো আইডেন্টিফাই করতে পারব এবং তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বাইরের যারা আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক রব্বানী বলেন, “আমাদের আইসিটি সেল এবং টাস্কফোর্স রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পেইজগুলোর এডমিনদের সাথে যোগাযোগ করে বন্ধ করানোর জন্য।”
তিনি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-১ এবং শিক্ষার্থী সংসদ-২ নামের দুটি পেইজ নিয়ে বারবার অভিযোগ এসেছে। “আমি ফোনে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা একদিন বন্ধ করে, আরেকদিন চালু করে। কিছুদিন বন্ধ রাখার পর আবার চালু হয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের নিউজ দেখা যাচ্ছে।”
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ ফেইসবুক গ্রুপে ৬৭ হাজার সদস্য রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, শিক্ষার্থী সংসদ-২ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪৯ হাজার। আগে এই গ্রুপের নাম ছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’। বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিস পাওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র ‘শিক্ষার্থী সংসদ-২’ করা হয়েছে।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন ও অধ্যাপক রব্বানীর ব্রিফিংয়ের আগে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, তারা অপপ্রচারের অভিযোগ নিয়েই আসেন।
এদিন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ গ্রুপে ২০০২ সালের ২২ জুলাই রাতে শামসুন নাহার হল ট্র্যাজেডি নিয়ে এআই দ্বারা তৈরি একটি ছবি প্রকাশিত হয়, যেখানে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রব্বানী বলেন, “অভিযোগ বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রার্থীদের কাছ থেকে আসছে। আমরা আজ সকালেই কমিশন থেকে নোটিস দিয়েছি। এখন পেজগুলোতে যে ধরনের অপপ্রচার হচ্ছে, সেখানে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।”
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দুটি গ্রুপসহ বিভিন্ন পাতা বন্ধ করার জন্য বিটিআরসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বিটিআরসির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। “কিছু লিংক অন্য দেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আমাদের এখানে থাকা ডোমেইনগুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারছে না,” মন্তব্য করেন রব্বানী।
তিনি বলেন, “এই পেজগুলো যারা চালাচ্ছে, তাদের আইডেন্টিফাই করে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আচরণবিধি লঙ্ঘন সবচেয়ে বেশি এই পেজগুলোর মাধ্যমে হচ্ছে।”
ডাকসু আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান আরও বলেন, “সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায়নি। কেউ অপপ্রচার চালালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনের ব্রিফিংয়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরও এক বিজ্ঞপ্তিতে সাইবার অপরাধে ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। সেখানে বলা হয়, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের প্রচারণায় অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে সাইবার বুলিং এবং ব্যক্তিগত চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত ছাত্রী প্রার্থীদের লক্ষ্য করে সাইবার বুলিং হচ্ছে। যে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডাকসু আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এবং সাইবার নিয়ন্ত্রণ সেল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আইনগত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হবে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সাইবার বুলিং বা অপপ্রচারে কোনো ছাড় থাকবে না।”