বৃহস্পতিবার ডাকসু নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচারণায় এক প্রার্থী -সংবাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ’ প্যানেল ও স্বতন্ত্র ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার,(০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫)বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সমানে ভিন্ন ভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করে তারা।
ডাকসু স্থগিতের রিট বাতিল
আট তারিখ রাত থেকে ঢাবির সব প্রবেশপথ বন্ধ
ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন ও এজিএস প্রার্থী রকিবুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ’ প্যানেল মোট ১৪ দফা ইশতেহার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। দফাগুলো হলো- ডাকসুকে নিয়মিত ক্যালেন্ডার ইভেন্টে রূপান্তর। ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান বেড, ওয়ান টেবিল নীতি বাস্তবায়ন, আবাসন ও আবাসিক বৃত্তি। খাবারের মানোন্নয়ন ও ভর্তুকি। শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি স্কলারশিপ, পার্ট-টাইম জব, ইন্টার্নশিপ ও আউটসোর্সিং জব। গবেষণা কেন্দ্রকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা। আধুনিক লাইব্রেরি ও ফ্রি ওয়াই-ফাই। রেজিস্টার ভবন সংস্কার, ভর্তি-সার্টিফিকেটসহ সব প্রক্রিয়ায় অটোমেশন ও ওয়ান-স্টপ সার্ভিস। অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক জোরদার ও মানবসম্পদ উন্নয়ন। বহিরাগত ও যান নিয়ন্ত্রণ, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সহজ যাতায়াত নিশ্চিত। পরিবহন সংকট সমাধান, বাস ট্র্যাকার, ইলেকট্রিক শাটল ও বিশেষায়িত রিকশা ব্যবস্থা। আধুনিক মেডিকেলসেবা ও হলে ফার্মেসি। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ও পুকুর সংস্কার। টিএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখা।
এদিকে ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ ও জি এস প্রার্থী মাহিন সরকার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল ২৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহার ঘোষণায় প্যানেলের ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ২১তম শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক শিক্ষায়, স্বাস্থ্যবান ও মানসিকভাবে সুস্থ শিক্ষার্থী গঠনে, সহিংসতামুক্ত, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠায়, সমতা, অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্য বজায় রেখে, ডিজিটাল প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য, মুক্তি সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ
বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা ইশতেহার প্রণয়ন করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জিএস পদপ্রার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘আমরা শুধু ইশতেহার দিয়ে থামব না, বরং প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবো। আমরা নিশ্চিত করবো যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ প্রদান, কারিকুলাম আধুনিকায়ন, সুপার কম্পিউটার ও উন্নত ল্যাব স্থাপন, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র্যাংকিং ৫০০-এর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সত্যিকারের বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তাদের ২৭ দফা ইশতেহার হলো- ডিইউ ফার্স্ট সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ; দলীয় আধিপত্য নয়; একুশ শতকের প্রযুক্তি ও গবেষণায় নেতৃত্ব; বিশ্বমানের গবেষণাকেন্দ্র; নেতৃত্ব তৈরির কারখানা; নীতিনিষ্ঠ ও দলীয় আধিপত্যমুক্ত রাজনীতি; শিক্ষা হবে মুক্তির শক্তি, গবেষণা উন্নয়নের হাতিয়ার; নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাস; শিক্ষক নিয়োগে অ্যাকাডেমিক সাফল্য ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত; আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল প্রস্তুতির জন্য সাপোর্ট সিস্টেম; কারিকুলাম আধুনিকায়ন; এআই, আইওটি, ডাটা সাইন্স ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত; সহিংসতামুক্ত রাজনীতি; গেস্টরুম ও র্যাগিং নিষিদ্ধ; সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা; শিক্ষক-কর্মচারীর দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান; ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ কর্মসূচি; বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র্যাংকিং-এ উন্নতি করা; সিন্ডিকেট থেকে সিনেটে ক্ষমতা স্থানান্তর; শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও ওয়েব পোর্টাল ও স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ।
এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য সেল, সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সেলর নিয়োগ; মাদক প্রতিরোধ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা; শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত; আধুনিক অবকাঠামো, সবুজ ক্যাম্পাস, নিরাপদ আবাসন; পরিবহন সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি; নারীদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস; ধর্ম নির্বিশেষে সমান মর্যাদা নিশ্চিত; গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিজ কোর্স ও মেন্টরশিপ; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সহায়তা, গবেষণা তহবিল ও বার্ষিক এথনিক ফেসটিভাল; বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট সেন্টার ও এক্সচেঞ্জ ক্লাব; শিক্ষার্থীর ক্ষমতায়ন; নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন; শিক্ষার্থীদের সিনেট-সিন্ডিকেটে ভোটাধিকার নিশ্চিত; গেস্টরুম, র্যাগিং, দখলদারি নির্মূল; শূন্য সহনশীলতা; সাংস্কৃতিক আধিপত্যমুক্ত পরিবেশ; মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন; বাজেট ও সিদ্ধান্ত অনলাইনে প্রকাশ।
ডাকসু স্থগিতের রিট বাতিল
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার হাইকোর্টে করা রিট খারিজ করেছে আদালত। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ডাকসুর নির্বাচনসংক্রান্তে জুলিয়াস সিজারের রিট আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ। আলহামদুলিল্লাহ।’ এর আগে গতকাল বুধবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট করেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। পাশাপাশি ডাকসু হল সংসদ নির্বাচনও স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
আট তারিখ রাত থেকে ঢাবির সব প্রবেশ পথ বন্ধ
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রক্টর অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উক্ত সময়ে নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, তারা জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে চাইলে প্রক্টর অফিস থেকে নিরাপত্তা পাস সংগ্রহ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ডাকসু নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচারণায় এক প্রার্থী -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ’ প্যানেল ও স্বতন্ত্র ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার,(০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫)বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সমানে ভিন্ন ভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করে তারা।
ডাকসু স্থগিতের রিট বাতিল
আট তারিখ রাত থেকে ঢাবির সব প্রবেশপথ বন্ধ
ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন ও এজিএস প্রার্থী রকিবুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ’ প্যানেল মোট ১৪ দফা ইশতেহার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। দফাগুলো হলো- ডাকসুকে নিয়মিত ক্যালেন্ডার ইভেন্টে রূপান্তর। ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান বেড, ওয়ান টেবিল নীতি বাস্তবায়ন, আবাসন ও আবাসিক বৃত্তি। খাবারের মানোন্নয়ন ও ভর্তুকি। শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি স্কলারশিপ, পার্ট-টাইম জব, ইন্টার্নশিপ ও আউটসোর্সিং জব। গবেষণা কেন্দ্রকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা। আধুনিক লাইব্রেরি ও ফ্রি ওয়াই-ফাই। রেজিস্টার ভবন সংস্কার, ভর্তি-সার্টিফিকেটসহ সব প্রক্রিয়ায় অটোমেশন ও ওয়ান-স্টপ সার্ভিস। অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক জোরদার ও মানবসম্পদ উন্নয়ন। বহিরাগত ও যান নিয়ন্ত্রণ, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সহজ যাতায়াত নিশ্চিত। পরিবহন সংকট সমাধান, বাস ট্র্যাকার, ইলেকট্রিক শাটল ও বিশেষায়িত রিকশা ব্যবস্থা। আধুনিক মেডিকেলসেবা ও হলে ফার্মেসি। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ও পুকুর সংস্কার। টিএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখা।
এদিকে ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ ও জি এস প্রার্থী মাহিন সরকার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল ২৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহার ঘোষণায় প্যানেলের ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ২১তম শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক শিক্ষায়, স্বাস্থ্যবান ও মানসিকভাবে সুস্থ শিক্ষার্থী গঠনে, সহিংসতামুক্ত, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠায়, সমতা, অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্য বজায় রেখে, ডিজিটাল প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য, মুক্তি সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ
বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা ইশতেহার প্রণয়ন করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জিএস পদপ্রার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘আমরা শুধু ইশতেহার দিয়ে থামব না, বরং প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবো। আমরা নিশ্চিত করবো যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ প্রদান, কারিকুলাম আধুনিকায়ন, সুপার কম্পিউটার ও উন্নত ল্যাব স্থাপন, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র্যাংকিং ৫০০-এর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সত্যিকারের বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তাদের ২৭ দফা ইশতেহার হলো- ডিইউ ফার্স্ট সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ; দলীয় আধিপত্য নয়; একুশ শতকের প্রযুক্তি ও গবেষণায় নেতৃত্ব; বিশ্বমানের গবেষণাকেন্দ্র; নেতৃত্ব তৈরির কারখানা; নীতিনিষ্ঠ ও দলীয় আধিপত্যমুক্ত রাজনীতি; শিক্ষা হবে মুক্তির শক্তি, গবেষণা উন্নয়নের হাতিয়ার; নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাস; শিক্ষক নিয়োগে অ্যাকাডেমিক সাফল্য ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত; আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল প্রস্তুতির জন্য সাপোর্ট সিস্টেম; কারিকুলাম আধুনিকায়ন; এআই, আইওটি, ডাটা সাইন্স ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত; সহিংসতামুক্ত রাজনীতি; গেস্টরুম ও র্যাগিং নিষিদ্ধ; সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা; শিক্ষক-কর্মচারীর দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান; ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ কর্মসূচি; বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র্যাংকিং-এ উন্নতি করা; সিন্ডিকেট থেকে সিনেটে ক্ষমতা স্থানান্তর; শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও ওয়েব পোর্টাল ও স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ।
এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য সেল, সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সেলর নিয়োগ; মাদক প্রতিরোধ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা; শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত; আধুনিক অবকাঠামো, সবুজ ক্যাম্পাস, নিরাপদ আবাসন; পরিবহন সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি; নারীদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস; ধর্ম নির্বিশেষে সমান মর্যাদা নিশ্চিত; গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিজ কোর্স ও মেন্টরশিপ; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সহায়তা, গবেষণা তহবিল ও বার্ষিক এথনিক ফেসটিভাল; বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট সেন্টার ও এক্সচেঞ্জ ক্লাব; শিক্ষার্থীর ক্ষমতায়ন; নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন; শিক্ষার্থীদের সিনেট-সিন্ডিকেটে ভোটাধিকার নিশ্চিত; গেস্টরুম, র্যাগিং, দখলদারি নির্মূল; শূন্য সহনশীলতা; সাংস্কৃতিক আধিপত্যমুক্ত পরিবেশ; মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন; বাজেট ও সিদ্ধান্ত অনলাইনে প্রকাশ।
ডাকসু স্থগিতের রিট বাতিল
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার হাইকোর্টে করা রিট খারিজ করেছে আদালত। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ডাকসুর নির্বাচনসংক্রান্তে জুলিয়াস সিজারের রিট আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ। আলহামদুলিল্লাহ।’ এর আগে গতকাল বুধবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট করেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। পাশাপাশি ডাকসু হল সংসদ নির্বাচনও স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
আট তারিখ রাত থেকে ঢাবির সব প্রবেশ পথ বন্ধ
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রক্টর অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উক্ত সময়ে নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, তারা জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে চাইলে প্রক্টর অফিস থেকে নিরাপত্তা পাস সংগ্রহ করতে হবে।