রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে বাম সংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’। অধিকাংশ সংগঠন যেখানে নিজেরা ইশতেহার প্রকাশ করছে, সেখানে ছাত্রজোট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই দাবি সংগ্রহ করে ‘গণইশতেহার’ তৈরি করছে।
১ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষদ ও আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করে জোটের নেতারা। লিফলেটে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করে শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা, দাবি ও প্রস্তাব জমা দিতে পারছেন। এ কর্মসূচি ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জোটের নেতারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তারা নির্বাচনি ইশতেহার তৈরি করতে চান। তাদের মতে, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতান্ত্রিক ইশতেহার সম্ভব নয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “আমাদের ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সামনে আনা। আমরা চাই, এসব আকাঙ্ক্ষা যেন কেবল ভেতরে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। এজন্য আমরা সমস্যাগুলোকে উন্মুক্তভাবে সামনে আনব।”
তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। মনে হয়েছে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে মতামত প্রকাশের সুযোগ খুঁজছিল। আমাদের ক্যাম্পেইন শুরুর পর তারা সেই সুযোগ পেয়েছে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্রার্থী আসাদ সাদিক রাফি বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন তাদের আকাঙ্ক্ষা সবার সামনে তুলে ধরতে পারে, সেজন্যই আমরা এই ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত আমাদের জানাবে, আর সেটিই আমরা আমাদের ইশতেহারে রাখব।”
শিক্ষার্থীরাও উদ্যোগটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, “ইশতেহার ভোটের ক্ষেত্রে বড় একটা কারণ হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইশতেহার সংগ্রহ একটি ভালো উদ্যোগ।”
আরেক শিক্ষার্থী আফসানা নুর বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের মতামত সরাসরি নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিফলিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির নতুন ধারা হতে পারে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটে যুক্ত আছে ছয়টি সংগঠন—বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী), ছাত্র গণমঞ্চ, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এবং বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
এর আগে ২৮ জুলাই রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী, ৪ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বাছাই, ১০ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১১ সেপ্টেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে বাম সংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’। অধিকাংশ সংগঠন যেখানে নিজেরা ইশতেহার প্রকাশ করছে, সেখানে ছাত্রজোট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই দাবি সংগ্রহ করে ‘গণইশতেহার’ তৈরি করছে।
১ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষদ ও আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করে জোটের নেতারা। লিফলেটে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করে শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা, দাবি ও প্রস্তাব জমা দিতে পারছেন। এ কর্মসূচি ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জোটের নেতারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তারা নির্বাচনি ইশতেহার তৈরি করতে চান। তাদের মতে, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতান্ত্রিক ইশতেহার সম্ভব নয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “আমাদের ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সামনে আনা। আমরা চাই, এসব আকাঙ্ক্ষা যেন কেবল ভেতরে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। এজন্য আমরা সমস্যাগুলোকে উন্মুক্তভাবে সামনে আনব।”
তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। মনে হয়েছে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে মতামত প্রকাশের সুযোগ খুঁজছিল। আমাদের ক্যাম্পেইন শুরুর পর তারা সেই সুযোগ পেয়েছে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্রার্থী আসাদ সাদিক রাফি বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন তাদের আকাঙ্ক্ষা সবার সামনে তুলে ধরতে পারে, সেজন্যই আমরা এই ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত আমাদের জানাবে, আর সেটিই আমরা আমাদের ইশতেহারে রাখব।”
শিক্ষার্থীরাও উদ্যোগটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, “ইশতেহার ভোটের ক্ষেত্রে বড় একটা কারণ হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইশতেহার সংগ্রহ একটি ভালো উদ্যোগ।”
আরেক শিক্ষার্থী আফসানা নুর বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের মতামত সরাসরি নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিফলিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির নতুন ধারা হতে পারে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটে যুক্ত আছে ছয়টি সংগঠন—বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী), ছাত্র গণমঞ্চ, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এবং বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
এর আগে ২৮ জুলাই রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী, ৪ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বাছাই, ১০ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১১ সেপ্টেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।