ঘড়ির কাটায় তখন সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট।
আটটি ভোট কেন্দ্রে চলছে ভোট। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। তবে চারটার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে প্রবেশ করবেন, যত সময় লাগুক তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে বলে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন।
এবার প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং যারা ব্রেইল পড়তে পারেন, তাদের জন্য। তবে যেসব শিক্ষার্থী ব্রেইল পড়তে পারে না তারা আরেক জনের সহযোগিতা নিয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন।
এবারই প্রথমবারের মতো আবাসিক হলের বাইরে ডাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের নির্ধারিত আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা। এখানে মোট ভোট ৪ হাজার ৭৫৫।
রোকেয়া হলের ৫ হাজার ৬৬৫ জন শিক্ষার্থী ভোট দিচ্ছেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)। ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন কবি সুফিয়া কামাল হলের ৪ হাজার ৪৪৩ ভোট শিক্ষার্থী। আর শামসুন নাহার হলের ৪ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থীর ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে।
সিনেট ভবন কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা। এখানে মোট ভোট ৪ হাজার ৮৩০।
কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা। এই কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭৭ জন ভোটার ভোট দেবেন।
জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে। এখানে মোট ভোটার ৪ হাজার ৮৫৩ জন।
উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন মাস্টারদা’ সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীমউদ্দীন হলের মোট ৬ হাজার ১৫৫ শিক্ষার্থী। এই কেন্দ্রেই সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভোট দিবেন।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
অন্য বারের তুলনায় এবার ব্যালটের আকার বেড়েছে। ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট, আর হল সংসদে থাকছে এক পৃষ্ঠা।
ডাকসুতে ২৮টি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। যার মধ্যে ৬২ জন নারী শিক্ষার্থী। হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদ ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ভোট হচ্ছে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে।
ডাকসুতে ৪৭১ প্রার্থীর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন।
ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ১৩টি সদস্য পদে লড়ছেন ২১৭ জন।
এবারের ডাকসুতে পুরো ও আংশিক মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল লড়াই করছে।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঘড়ির কাটায় তখন সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট।
আটটি ভোট কেন্দ্রে চলছে ভোট। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। তবে চারটার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে প্রবেশ করবেন, যত সময় লাগুক তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে বলে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন।
এবার প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং যারা ব্রেইল পড়তে পারেন, তাদের জন্য। তবে যেসব শিক্ষার্থী ব্রেইল পড়তে পারে না তারা আরেক জনের সহযোগিতা নিয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন।
এবারই প্রথমবারের মতো আবাসিক হলের বাইরে ডাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের নির্ধারিত আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা। এখানে মোট ভোট ৪ হাজার ৭৫৫।
রোকেয়া হলের ৫ হাজার ৬৬৫ জন শিক্ষার্থী ভোট দিচ্ছেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)। ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন কবি সুফিয়া কামাল হলের ৪ হাজার ৪৪৩ ভোট শিক্ষার্থী। আর শামসুন নাহার হলের ৪ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থীর ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে।
সিনেট ভবন কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা। এখানে মোট ভোট ৪ হাজার ৮৩০।
কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা। এই কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭৭ জন ভোটার ভোট দেবেন।
জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে। এখানে মোট ভোটার ৪ হাজার ৮৫৩ জন।
উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন মাস্টারদা’ সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীমউদ্দীন হলের মোট ৬ হাজার ১৫৫ শিক্ষার্থী। এই কেন্দ্রেই সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভোট দিবেন।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
অন্য বারের তুলনায় এবার ব্যালটের আকার বেড়েছে। ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট, আর হল সংসদে থাকছে এক পৃষ্ঠা।
ডাকসুতে ২৮টি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। যার মধ্যে ৬২ জন নারী শিক্ষার্থী। হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদ ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ভোট হচ্ছে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে।
ডাকসুতে ৪৭১ প্রার্থীর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন।
ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ১৩টি সদস্য পদে লড়ছেন ২১৭ জন।
এবারের ডাকসুতে পুরো ও আংশিক মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল লড়াই করছে।