ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট চলাকালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন প্যানেলের ভিপি ও জিএস প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে টিএসসি কেন্দ্রের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ–বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ করেন, ছাত্রদল ও শিবিরের প্রার্থীরা ‘দলীয় প্রভাব’ তৈরি করে আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন, অথচ প্রশাসন নিরব রয়েছে। তারা ভোট কারচুপির অভিযোগও উত্থাপন করেন।
অল্প কিছুক্ষণ পর একই স্থানে এসে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান আবিদ এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে পালটা অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী ভোট দিতে গিয়ে দেখেছেন তার ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গেছে। একই অভিযোগ তুলেছেন বাগছাস প্রার্থী আব্দুল কাদের ও আবু বাকেরও।
আব্দুল কাদের আরও দাবি করেন, একুশে হলে একজন পোলিং অফিসার নিজেই ভোট দিয়েছেন, ধরা পড়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে বিএনপিপন্থি শিক্ষক সমিতি–সাদা দলের সদস্যদের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কাদেরের ভাষায়, “এ ধরনের আচরণ হাসিনার আমলের নির্বাচনকে মনে করিয়ে দেয়।”
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদও একইভাবে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। তিনি জানান, কার্জন হলে এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও সেই ঘটনা আড়াল করতে টিএসসিতে নতুন নাটক সাজানো হচ্ছে।
এদিকে স্বতন্ত্র প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা ফেসবুকে দুটি লিফলেট প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন, শহীদুল্লাহ হল কেন্দ্রে প্রার্থীদের তালিকা সম্বলিত লিফলেট বুথের ভেতর ছড়ানো হয়েছে।
ছয় বছর পর আয়োজিত এই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪০ হাজার ভোটার, ৪৭১ জন প্রার্থী এবং ১০টির বেশি প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট চলাকালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন প্যানেলের ভিপি ও জিএস প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে টিএসসি কেন্দ্রের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ–বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ করেন, ছাত্রদল ও শিবিরের প্রার্থীরা ‘দলীয় প্রভাব’ তৈরি করে আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন, অথচ প্রশাসন নিরব রয়েছে। তারা ভোট কারচুপির অভিযোগও উত্থাপন করেন।
অল্প কিছুক্ষণ পর একই স্থানে এসে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান আবিদ এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে পালটা অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী ভোট দিতে গিয়ে দেখেছেন তার ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গেছে। একই অভিযোগ তুলেছেন বাগছাস প্রার্থী আব্দুল কাদের ও আবু বাকেরও।
আব্দুল কাদের আরও দাবি করেন, একুশে হলে একজন পোলিং অফিসার নিজেই ভোট দিয়েছেন, ধরা পড়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে বিএনপিপন্থি শিক্ষক সমিতি–সাদা দলের সদস্যদের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কাদেরের ভাষায়, “এ ধরনের আচরণ হাসিনার আমলের নির্বাচনকে মনে করিয়ে দেয়।”
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদও একইভাবে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। তিনি জানান, কার্জন হলে এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও সেই ঘটনা আড়াল করতে টিএসসিতে নতুন নাটক সাজানো হচ্ছে।
এদিকে স্বতন্ত্র প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা ফেসবুকে দুটি লিফলেট প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন, শহীদুল্লাহ হল কেন্দ্রে প্রার্থীদের তালিকা সম্বলিত লিফলেট বুথের ভেতর ছড়ানো হয়েছে।
ছয় বছর পর আয়োজিত এই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪০ হাজার ভোটার, ৪৭১ জন প্রার্থী এবং ১০টির বেশি প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে।