ডাকসু নির্বাচনে দিনভরই এর আশপাশের এলাকায় বাইরের লোকের ভিড় ছিল। ভোট শেষে সেই ভিড় আরও বেড়েছে। অনেকের দাবি জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদলের লোকজন সেখানে জমায়েত হয়েছিল।
সকাল থেকেই ভোট দেয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। অনেকের কাছেই এটি তাদের প্রথম ভোট। তাই বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করেন দেশের সেরা এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও দুপুর থেকেই উত্তাপ বাড়তে থাকে। আসতে থাকে একের পর এক অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ। তবে বিভিন্ন অভিযোগ সত্ত্বেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসে চারটি প্যানেলের তরফে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে গড়ে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভোট প্রদান করেছে।
৭৮ শতাংশ ভোট পরেছে
‘ভোট চুরির’ অভিযোগে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ভোট গণনায় কারচুপির শঙ্কা বাগছাসের বাকেরের
দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্রে ঢুকতে না পারার অভিযোগ শিবিরের জিএস প্রার্থীর
পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
কার্জনে সাংবাদিকের মৃত্যু
নীলক্ষেত-শাহবাগে ‘যুদ্ধাংদেহী অবস্থানে’ জামায়াত, অভিযোগ আবিদের
মির্জা আব্বাসের ঢাবিতে প্রবেশের অভিযোগ বাকেরের
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের অভিযোগের তীব্রতা বাড়তে থাকে। একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে ভোট কারচুপি, আচরণবিধি লঙ্ঘন, সিলমারা ব্যালট প্রদান ও অবৈধ সুযোগ প্রাপ্তির অভিযোগ তোলেন। অভিযোগের তীব্রতা থাকলে কোনো প্রকার সহিংসতা চোখে পড়েনি। ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতে স্বাভাবিক ছিল। তবে সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে ছিল। শাহবাগ, নীলক্ষেতসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়।
‘ভোট চুরির’ অভিযোগে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্র্থীর ব্যালটে আগে থেকে টিক দিয়ে রাখার অভিযোগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে টিএসসিতে বিক্ষোভও করেছে ছাত্রদল। মিছিলে ‘চোর চোর ভোট চোর, প্রশাসন ভোট চোর’, ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ এমন স্লোগান দেয় ছাত্রদলের প্রার্থী ও সমর্থকরা।
এর আগে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদ বলেন, ‘প্রশাসন তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না, তা আজকে এই ডাকসু নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।
রোকেয়া হলে আগে থেকেই ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিসি ও জিএস পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম এবং ফরহাদের নামে ব্যালট পেপারে ক্রস দেয়া আছে অভিযোগ করে আবিদ বলেন, ‘রোকেয়া হলের একজন মেয়ে আমাকে অভিযোগ করেছে, ভাই যে ব্যালটপত্র আমাকে দেয়া হয়েছে, তাতে আগে থেকেই সাদিক কায়েম এবং ফরহাদের নামে ক্রস চিহ্ন দেয়া রয়েছে।
‘অমর একুশে হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এটা জেনে যখন আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলাম, তারাও বলেছেন- এটা কীভাবে হয়েছে তারা জানেন না।’
তাছাড়া বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের সভাপতি উপাচার্যের কাছে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। মৌখিক অভিযোগে ছাত্রদল নির্বাচনে কারচুপিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি প্রবেশপথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি ও প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা জামায়াত সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ করেন।
ভোট গণনায় কারচুপির শঙ্কা আবু বাকেরের
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সভাপতি বাকের মজুমদার ভোট গণনায় কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বাকের বলেন, ‘প্রতি হলের ৩০০টি ভোট করে যদি কনভার্ট (অন্য প্রার্থীর দেখানো) করতে পারে তাহলে ৫৬০০ ভোট হয়ে যায়। একজন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য এর চেয়ে বেশি ভোটের প্রয়োজন নাই। আমরা জানি না ভেতরে নির্বাচন নিয়ে এখন কী হচ্ছে।’
ভোট গণনা সম্প্রচারের এলইডি স্ক্রিন বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন।’ এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে আগে থেকে ব্যালট পেপার পূর্ণ করা ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান আবু বাকের মজুমদার।
দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্রে ঢুকতে না পারার অভিযোগ শিবিরের জিএস প্রার্থীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বলা হচ্ছিল কোনো প্রার্থী স্ব-স্ব কেন্দ্রে ভোট দেয়া ছাড়া সেন্ট্রাল প্রার্থী অন্য কোনো বুথে ঢুকতে পারবে না। এই নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হচ্ছিল। আমাদের দিক থেকে কোনো প্রার্থী দুপুর পর্যন্ত সে কারণে ঢুকতে পারেনি। আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফরহাদ বলেন, ‘অমর একুশে হলের বুথে কর্মকর্তা ও ছাত্রদলের যোগসাজশে ছাত্রদলের হল এবং সেন্ট্রাল প্যানেলের সবাইকে ভোট দিয়ে সেই ব্যালট বাক্সে ঢুকানো হচ্ছিল। তিনি বলেন, এই জালিয়াতি ধামাচাপা দিতে তারা রোকেয়া হলের বুথে নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের অ্যারেস্ট করতে হবে, তাদেরকে থানায় দিতে হবে।’
পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার,(০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুর ১২টায় জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুটি ব্যালট পেপার দেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
কার্জনে সাংবাদিকের মৃত্যু
ডাকসু নির্বাচনে কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তরিকুল ইসলাম শিবলী (৪০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নীলক্ষেত-শাহবাগে ‘যুদ্ধাংদেহী অবস্থানে’ জামায়াত, অভিযোগ আবিদের
ডাকসু নির্বাচনের ভোট গণনার মধ্যে নীলক্ষেত, শাহবাগ, চানখাঁরপুলে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। আবিদ বলেন, ‘এই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, আমাদেরকে পোলিং এজেন্ট দেয়ার নামে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু নিরাপত্তা পাস দেয়ার নামে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়েছেন। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করার মতো নয়।’
মির্জা আব্বাসের ঢাবিতে প্রবেশের অভিযোগ বাকেরের
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করেছেন। তবে এ অভিযোগ নাকচ করেছেন বিএনপির এই নেতা। মির্জা আব্বাস তার এই অভিযোগকে ‘গাঁজাখুরি গল্প’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ডাকসু নির্বাচনে দিনভরই এর আশপাশের এলাকায় বাইরের লোকের ভিড় ছিল। ভোট শেষে সেই ভিড় আরও বেড়েছে। অনেকের দাবি জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদলের লোকজন সেখানে জমায়েত হয়েছিল।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সকাল থেকেই ভোট দেয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। অনেকের কাছেই এটি তাদের প্রথম ভোট। তাই বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করেন দেশের সেরা এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও দুপুর থেকেই উত্তাপ বাড়তে থাকে। আসতে থাকে একের পর এক অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ। তবে বিভিন্ন অভিযোগ সত্ত্বেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসে চারটি প্যানেলের তরফে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে গড়ে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভোট প্রদান করেছে।
৭৮ শতাংশ ভোট পরেছে
‘ভোট চুরির’ অভিযোগে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ভোট গণনায় কারচুপির শঙ্কা বাগছাসের বাকেরের
দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্রে ঢুকতে না পারার অভিযোগ শিবিরের জিএস প্রার্থীর
পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
কার্জনে সাংবাদিকের মৃত্যু
নীলক্ষেত-শাহবাগে ‘যুদ্ধাংদেহী অবস্থানে’ জামায়াত, অভিযোগ আবিদের
মির্জা আব্বাসের ঢাবিতে প্রবেশের অভিযোগ বাকেরের
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের অভিযোগের তীব্রতা বাড়তে থাকে। একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে ভোট কারচুপি, আচরণবিধি লঙ্ঘন, সিলমারা ব্যালট প্রদান ও অবৈধ সুযোগ প্রাপ্তির অভিযোগ তোলেন। অভিযোগের তীব্রতা থাকলে কোনো প্রকার সহিংসতা চোখে পড়েনি। ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতে স্বাভাবিক ছিল। তবে সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে ছিল। শাহবাগ, নীলক্ষেতসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়।
‘ভোট চুরির’ অভিযোগে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্র্থীর ব্যালটে আগে থেকে টিক দিয়ে রাখার অভিযোগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে টিএসসিতে বিক্ষোভও করেছে ছাত্রদল। মিছিলে ‘চোর চোর ভোট চোর, প্রশাসন ভোট চোর’, ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ এমন স্লোগান দেয় ছাত্রদলের প্রার্থী ও সমর্থকরা।
এর আগে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদ বলেন, ‘প্রশাসন তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না, তা আজকে এই ডাকসু নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।
রোকেয়া হলে আগে থেকেই ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিসি ও জিএস পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম এবং ফরহাদের নামে ব্যালট পেপারে ক্রস দেয়া আছে অভিযোগ করে আবিদ বলেন, ‘রোকেয়া হলের একজন মেয়ে আমাকে অভিযোগ করেছে, ভাই যে ব্যালটপত্র আমাকে দেয়া হয়েছে, তাতে আগে থেকেই সাদিক কায়েম এবং ফরহাদের নামে ক্রস চিহ্ন দেয়া রয়েছে।
‘অমর একুশে হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এটা জেনে যখন আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলাম, তারাও বলেছেন- এটা কীভাবে হয়েছে তারা জানেন না।’
তাছাড়া বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের সভাপতি উপাচার্যের কাছে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। মৌখিক অভিযোগে ছাত্রদল নির্বাচনে কারচুপিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি প্রবেশপথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি ও প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা জামায়াত সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ করেন।
ভোট গণনায় কারচুপির শঙ্কা আবু বাকেরের
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সভাপতি বাকের মজুমদার ভোট গণনায় কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বাকের বলেন, ‘প্রতি হলের ৩০০টি ভোট করে যদি কনভার্ট (অন্য প্রার্থীর দেখানো) করতে পারে তাহলে ৫৬০০ ভোট হয়ে যায়। একজন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য এর চেয়ে বেশি ভোটের প্রয়োজন নাই। আমরা জানি না ভেতরে নির্বাচন নিয়ে এখন কী হচ্ছে।’
ভোট গণনা সম্প্রচারের এলইডি স্ক্রিন বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন।’ এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে আগে থেকে ব্যালট পেপার পূর্ণ করা ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান আবু বাকের মজুমদার।
দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্রে ঢুকতে না পারার অভিযোগ শিবিরের জিএস প্রার্থীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বলা হচ্ছিল কোনো প্রার্থী স্ব-স্ব কেন্দ্রে ভোট দেয়া ছাড়া সেন্ট্রাল প্রার্থী অন্য কোনো বুথে ঢুকতে পারবে না। এই নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হচ্ছিল। আমাদের দিক থেকে কোনো প্রার্থী দুপুর পর্যন্ত সে কারণে ঢুকতে পারেনি। আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফরহাদ বলেন, ‘অমর একুশে হলের বুথে কর্মকর্তা ও ছাত্রদলের যোগসাজশে ছাত্রদলের হল এবং সেন্ট্রাল প্যানেলের সবাইকে ভোট দিয়ে সেই ব্যালট বাক্সে ঢুকানো হচ্ছিল। তিনি বলেন, এই জালিয়াতি ধামাচাপা দিতে তারা রোকেয়া হলের বুথে নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের অ্যারেস্ট করতে হবে, তাদেরকে থানায় দিতে হবে।’
পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার,(০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুর ১২টায় জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুটি ব্যালট পেপার দেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
কার্জনে সাংবাদিকের মৃত্যু
ডাকসু নির্বাচনে কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তরিকুল ইসলাম শিবলী (৪০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নীলক্ষেত-শাহবাগে ‘যুদ্ধাংদেহী অবস্থানে’ জামায়াত, অভিযোগ আবিদের
ডাকসু নির্বাচনের ভোট গণনার মধ্যে নীলক্ষেত, শাহবাগ, চানখাঁরপুলে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। আবিদ বলেন, ‘এই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, আমাদেরকে পোলিং এজেন্ট দেয়ার নামে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু নিরাপত্তা পাস দেয়ার নামে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়েছেন। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করার মতো নয়।’
মির্জা আব্বাসের ঢাবিতে প্রবেশের অভিযোগ বাকেরের
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করেছেন। তবে এ অভিযোগ নাকচ করেছেন বিএনপির এই নেতা। মির্জা আব্বাস তার এই অভিযোগকে ‘গাঁজাখুরি গল্প’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।