জাকসু ভোটের প্রাক্কালে কয়েকটি বিতর্ক সামনে এসেছে। প্রার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন এবং হল সংসদের ৪০৩ জন নমুনা দিলেও ৫৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “ডোপ টেস্টের ফলাফল কবে আসবে? আপিলের কোনো সুযোগ নেই। প্রচারণার শেষ দিনে এই আয়োজন অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করেছে।” কার্যকরী সদস্য প্রার্থী এরফানুল ইসলাম ইফতি টয়লেটের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ করেন, “৭৫০-এর কাছাকাছি প্রার্থী। টয়লেটগুলোর অবস্থা ভয়াবহ।”
তবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ডোপ টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। প্রার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন।”
‘সংশপ্তক পর্ষদ’ প্যানেলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) প্রার্থী সোহাগী সামিয়া প্রচারণায় টাকার ছড়াছড়ি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “জাকসু নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি
জাকসু নির্বাচনে জরুরি নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে জাকসু নির্বাচন কমিশন-২০২৫-এর সুপারিশ এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে:
১. ক্যাম্পাসে সুস্থ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে অনাবাসিক হলে অবস্থানরত প্রার্থীদের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থী, প্রার্থীর শিক্ষার্থী, অতিথি বা বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না।
২. নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং পত্রিকার নির্বাচন পর্যবেক্ষক কার্ডের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে।
৩. শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
৪. পরিচয়পত্রবিহীন ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ, এবং নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
৫. নির্বাচন চলাকালীন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ভোটার ও প্রার্থী পরিসংখ্যান
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন, যাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ১০২ জন ছাত্র এবং ৫ হাজার ৮১৭ জন ছাত্রী। প্রায় ৪৮.৮ শতাংশ ভোটার নারী হওয়ায় প্রার্থীরা তাদের ইশতেহারে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস এবং নারী ক্ষমতায়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকায় বাতিল হয়। হাইকোর্টে রিটের পর তার প্রার্থিতা ফিরে এলেও চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
হল সংসদে ৪৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫টি পদের মধ্যে ১০টি এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ৬টি পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূরণ হয়েছে। বাকি পদগুলো শূন্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাকসু ভোটের প্রাক্কালে কয়েকটি বিতর্ক সামনে এসেছে। প্রার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন এবং হল সংসদের ৪০৩ জন নমুনা দিলেও ৫৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “ডোপ টেস্টের ফলাফল কবে আসবে? আপিলের কোনো সুযোগ নেই। প্রচারণার শেষ দিনে এই আয়োজন অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করেছে।” কার্যকরী সদস্য প্রার্থী এরফানুল ইসলাম ইফতি টয়লেটের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ করেন, “৭৫০-এর কাছাকাছি প্রার্থী। টয়লেটগুলোর অবস্থা ভয়াবহ।”
তবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ডোপ টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। প্রার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন।”
‘সংশপ্তক পর্ষদ’ প্যানেলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) প্রার্থী সোহাগী সামিয়া প্রচারণায় টাকার ছড়াছড়ি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “জাকসু নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি
জাকসু নির্বাচনে জরুরি নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে জাকসু নির্বাচন কমিশন-২০২৫-এর সুপারিশ এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে:
১. ক্যাম্পাসে সুস্থ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে অনাবাসিক হলে অবস্থানরত প্রার্থীদের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থী, প্রার্থীর শিক্ষার্থী, অতিথি বা বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না।
২. নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং পত্রিকার নির্বাচন পর্যবেক্ষক কার্ডের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে।
৩. শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
৪. পরিচয়পত্রবিহীন ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ, এবং নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
৫. নির্বাচন চলাকালীন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ভোটার ও প্রার্থী পরিসংখ্যান
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন, যাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ১০২ জন ছাত্র এবং ৫ হাজার ৮১৭ জন ছাত্রী। প্রায় ৪৮.৮ শতাংশ ভোটার নারী হওয়ায় প্রার্থীরা তাদের ইশতেহারে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস এবং নারী ক্ষমতায়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকায় বাতিল হয়। হাইকোর্টে রিটের পর তার প্রার্থিতা ফিরে এলেও চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
হল সংসদে ৪৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫টি পদের মধ্যে ১০টি এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ৬টি পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূরণ হয়েছে। বাকি পদগুলো শূন্য রয়েছে।