জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে, তবে নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর। দিনের শুরুতে ভোটার উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার বাড়বে বলে আশা নির্বাচনী কর্তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও ভবনের ২১টি কেন্দ্রের ২২৪টি বুথে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ব্যালট পেপার ও অন্যান্য সরঞ্জাম এনে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করতে ঘড়ির কাটায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় পেরিয়ে যায়। ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নিয়ম অনুযায়ী সাংবাদিকদের সামনে খালি ব্যালট বাক্স দেখিয়ে তারপর সিলগালা করে ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
নির্বাচনী কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
ক্যাম্পাসে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ আছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহও আছে। তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নওশিন তাবাসসুম বলেন, “এই নির্বাচন আমাদের ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ গড়ার একটি সুযোগ। আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলবে। ভোট দিতে এসে উৎসবের মতো অনুভূতি হচ্ছে।” প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, “ক্যাম্পাসে এমন উৎসাহময় পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। এটা একটা গণতান্ত্রিক উৎসবের মতো। আমি আশা করি, এই নির্বাচন আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও এগিয়ে নেবে।”
নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বুথে প্রার্থীদের পক্ষে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি বুথে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা ভোট গণনা, ভোটার সনাক্তকরণ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
পোলিং এজেন্ট মো. রাকিব হোসেন বলেন, “আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোটারের পরিচয় যাচাই করছি এবং কোনো অনিয়ম যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখছি। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সার্বিক তদারকি করছে। প্রক্টর অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলমের নেতৃত্বে প্রক্টোরিয়াল টিম ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।
প্রক্টর বলেন, “আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমাদের টিম কাজ করছে।”
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১,৭৪৩ জন, যার মধ্যে ৫,৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬,০১৫ জন ছাত্র। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া, ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিটি হল সংসদে ১৫টি করে পদ রয়েছে, মোট ৩১৫টি পদে ৪৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টি পদে কোনো প্রার্থী নেই, এবং ৬৭টি পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। ফলে মাত্র ২৪টি পদে ভোটগ্রহণ হবে।
জাকসু নির্বাচনে মোট আটটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে চারটি পূর্ণাঙ্গ এবং তিনটি আংশিক প্যানেল।
পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো: ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’।
আংশিক প্যানেল হিসেবে রয়েছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
নির্বাচন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশরারফ হোসেন হল গেট এবং প্রান্তিক গেট ছাড়া সব গেট ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, ক্যাম্পাসের ভাসমান দোকান, টারজান পয়েন্ট, পুরাতন পরিবহন চত্ত্বর, নতুন কলা ভবনের মুরাদ চত্বর, প্রান্তিক গেটের উত্তর পাশের কাপড়ের মার্কেট এবং প্রধান গেট সংলগ্ন দোকানগুলো আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে, আবাসিক হলের অভ্যন্তরীণ ক্যান্টিন ও দোকানগুলো খোলা থাকবে এবং পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের সময় জরুরি বিভাগ (নিরাপত্তা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট) ব্যতীত সকল মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাকার স্টিকার এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। সকল স্টাফ বাস প্রান্তিক গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে, তবে নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর। দিনের শুরুতে ভোটার উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার বাড়বে বলে আশা নির্বাচনী কর্তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও ভবনের ২১টি কেন্দ্রের ২২৪টি বুথে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ব্যালট পেপার ও অন্যান্য সরঞ্জাম এনে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করতে ঘড়ির কাটায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় পেরিয়ে যায়। ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নিয়ম অনুযায়ী সাংবাদিকদের সামনে খালি ব্যালট বাক্স দেখিয়ে তারপর সিলগালা করে ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
নির্বাচনী কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
ক্যাম্পাসে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ আছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহও আছে। তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নওশিন তাবাসসুম বলেন, “এই নির্বাচন আমাদের ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ গড়ার একটি সুযোগ। আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলবে। ভোট দিতে এসে উৎসবের মতো অনুভূতি হচ্ছে।” প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, “ক্যাম্পাসে এমন উৎসাহময় পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। এটা একটা গণতান্ত্রিক উৎসবের মতো। আমি আশা করি, এই নির্বাচন আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও এগিয়ে নেবে।”
নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বুথে প্রার্থীদের পক্ষে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি বুথে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা ভোট গণনা, ভোটার সনাক্তকরণ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
পোলিং এজেন্ট মো. রাকিব হোসেন বলেন, “আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোটারের পরিচয় যাচাই করছি এবং কোনো অনিয়ম যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখছি। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সার্বিক তদারকি করছে। প্রক্টর অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলমের নেতৃত্বে প্রক্টোরিয়াল টিম ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।
প্রক্টর বলেন, “আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমাদের টিম কাজ করছে।”
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১,৭৪৩ জন, যার মধ্যে ৫,৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬,০১৫ জন ছাত্র। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া, ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিটি হল সংসদে ১৫টি করে পদ রয়েছে, মোট ৩১৫টি পদে ৪৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টি পদে কোনো প্রার্থী নেই, এবং ৬৭টি পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। ফলে মাত্র ২৪টি পদে ভোটগ্রহণ হবে।
জাকসু নির্বাচনে মোট আটটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে চারটি পূর্ণাঙ্গ এবং তিনটি আংশিক প্যানেল।
পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো: ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’।
আংশিক প্যানেল হিসেবে রয়েছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
নির্বাচন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশরারফ হোসেন হল গেট এবং প্রান্তিক গেট ছাড়া সব গেট ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, ক্যাম্পাসের ভাসমান দোকান, টারজান পয়েন্ট, পুরাতন পরিবহন চত্ত্বর, নতুন কলা ভবনের মুরাদ চত্বর, প্রান্তিক গেটের উত্তর পাশের কাপড়ের মার্কেট এবং প্রধান গেট সংলগ্ন দোকানগুলো আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে, আবাসিক হলের অভ্যন্তরীণ ক্যান্টিন ও দোকানগুলো খোলা থাকবে এবং পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের সময় জরুরি বিভাগ (নিরাপত্তা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট) ব্যতীত সকল মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাকার স্টিকার এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। সকল স্টাফ বাস প্রান্তিক গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।