জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল, ভুয়া ভোট প্রদান, ভোটার তালিকায় ছবির অনুপস্থিতি এবং তাদের এজেন্টদের ওপর শারীরিক হামলার মতো ঘটনা একের পর এক ঘটেছে। এসব ঘটনার ফলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত রায় প্রকাশের সুযোগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, আর ফলাফল আগেই সাজানো ছিল বলে তাদের দাবি।
বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের এক প্রার্থী বলেন, “নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যারা প্রবেশ করেছেন, তাদের অনেককে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে এবং কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এতে ভোটের পরিবেশ পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।”
প্রচারে বাধা ও হয়রানির অভিযোগ
ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের শুরুর আগেই তারা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। তাদের প্রচারণার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, মাইকিংয়ে বাধা সৃষ্টি এবং প্রচার মিছিলকে ঘিরে প্রতিপক্ষের হামলার মতো ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। তারা বলেন, ভোটের দিনেও পুলিশের ভূমিকায় নিরপেক্ষতা দেখা যায়নি; বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য একতরফাভাবে একটি নির্দিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা করেছেন।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ছাত্রদল সমর্থিত নেতারা অভিযোগ করেন, এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা দাবি করেন, অভিযোগ আমলে না নেওয়া এবং বাস্তব পরিস্থিতি উপেক্ষা করেই প্রশাসন নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালিয়ে গেছে। এ কারণে নির্বাচনকে তারা ‘প্রহসন ও কারচুপির আয়োজন’ বলে আখ্যায়িত করেন।
বর্জনের ঘোষণা ও প্রতিক্রিয়া
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, “এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটছে না। একের পর এক অনিয়মের কারণে আমরা আর এই প্রহসনে অংশ নিতে চাই না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।”
এই ঘোষণার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিন্নমতাবলম্বী অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও নির্বাচনী অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মনে করছে, এ ধরনের পরিস্থিতি শুধু শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করছে না, বরং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকেও কলঙ্কিত করছে।
প্রশাসনের অবস্থান
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রমাণ সাপেক্ষে তদন্ত করা হবে। আল বিরুনী হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “ভোটের দিন সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল, ভুয়া ভোট প্রদান, ভোটার তালিকায় ছবির অনুপস্থিতি এবং তাদের এজেন্টদের ওপর শারীরিক হামলার মতো ঘটনা একের পর এক ঘটেছে। এসব ঘটনার ফলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত রায় প্রকাশের সুযোগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, আর ফলাফল আগেই সাজানো ছিল বলে তাদের দাবি।
বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের এক প্রার্থী বলেন, “নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যারা প্রবেশ করেছেন, তাদের অনেককে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে এবং কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এতে ভোটের পরিবেশ পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।”
প্রচারে বাধা ও হয়রানির অভিযোগ
ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের শুরুর আগেই তারা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। তাদের প্রচারণার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, মাইকিংয়ে বাধা সৃষ্টি এবং প্রচার মিছিলকে ঘিরে প্রতিপক্ষের হামলার মতো ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। তারা বলেন, ভোটের দিনেও পুলিশের ভূমিকায় নিরপেক্ষতা দেখা যায়নি; বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য একতরফাভাবে একটি নির্দিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা করেছেন।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ছাত্রদল সমর্থিত নেতারা অভিযোগ করেন, এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা দাবি করেন, অভিযোগ আমলে না নেওয়া এবং বাস্তব পরিস্থিতি উপেক্ষা করেই প্রশাসন নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালিয়ে গেছে। এ কারণে নির্বাচনকে তারা ‘প্রহসন ও কারচুপির আয়োজন’ বলে আখ্যায়িত করেন।
বর্জনের ঘোষণা ও প্রতিক্রিয়া
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, “এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটছে না। একের পর এক অনিয়মের কারণে আমরা আর এই প্রহসনে অংশ নিতে চাই না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।”
এই ঘোষণার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিন্নমতাবলম্বী অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও নির্বাচনী অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মনে করছে, এ ধরনের পরিস্থিতি শুধু শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করছে না, বরং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকেও কলঙ্কিত করছে।
প্রশাসনের অবস্থান
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রমাণ সাপেক্ষে তদন্ত করা হবে। আল বিরুনী হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “ভোটের দিন সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”