জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়ম’, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘পক্ষপাতমূলক ভূমিকা’ এবং ছাত্রশিবিরের ভোট ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে সংশপ্তক পর্ষদও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগও তুলেছে। আর, সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় এই দুই প্যানেল।
সংশপ্তক পর্ষদ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রশিবিরকে ভোট ‘জালিয়াতিতে সরাসরি সহযোগিতা করছে’। তারা নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে পূরণকৃত ব্যালট পাওয়া গেছে, যা ভোট জালিয়াতির সুস্পষ্ট প্রমাণ।
আর শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ৯৯৯ হলেও মাত্র ৮০০টি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়েছে, যা ভোট গণনায় অসঙ্গতি সৃষ্টি করেছে।
পর্ষদ আরও জানায়, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় যে কেউ এসে ভোট দিতে পারছে, যার প্রমাণ রফিক-জব্বার হলে পাওয়া গেছে। প্রতিটি হল কেন্দ্রে বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল।
তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।
সংশপ্তক পর্ষদের একজন প্রতিনিধি বলেন, “এই নির্বাচন আর সুষ্ঠু নেই। প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের মিলিত ষড়যন্ত্রে ভোট ডাকাতি হচ্ছে। আমরা এই প্রক্রিয়ায় আর অংশ নিতে পারি না।”
তারা সকল প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছে।
*সম্প্রীতির ঐক্যের অনাস্থা, প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন*
সম্প্রীতির ঐক্য তাদের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ‘অব্যবস্থাপনা এবং পক্ষপাতমূলক’ আচরণের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাদের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা জোরপূর্বক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করার মাধ্যমে অনিয়ম শুরু বলে তাদের অভিযোগ। এছাড়া, ডোপ টেস্ট ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার অভাব ছিল। অনেক প্রার্থী ডোপ টেস্ট না করলেও প্রার্থিতা পেয়েছেন, যার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা কমিশন দেয়নি।
সম্প্রীতির ঐক্যের জিএস প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, “সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে আমরা অসংখ্য অনিয়ম দেখেছি। গতকাল মধ্যরাতে পোলিং এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হলেও ১০ নম্বর ছাত্র হল, রোকেয়া হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্টদের দীর্ঘ সময় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন বলেছে, ‘আমাদের ওপর ভরসা রাখুন,’ অথচ এই সময় ভোট গ্রহণ চলছিল। এই আচরণ নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভোট দেয়া ভোটারদের হাতে কালো কালির মার্ক দেওয়া হয়নি, যা ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি মৌলিক প্রক্রিয়া। ক্যাম্পাসে স্থাপিত এলইডি স্ক্রিনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্প্রচারের কথা থাকলেও সেগুলো দীর্ঘ সময় বিকল ছিল। ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থার কর্মীরা প্রার্থীদের নাম সম্বলিত চিরকুট বিলি করেছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন।
“জাহানারা ইমাম হলে একজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাজী নজরুল ইসলাম হলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদের ব্যালটে সব প্রার্থীর নাম ছিল না, পরে হাতে লিখে নাম যোগ করা হয়,” বলেন শরণ এহসান।
তিনি বলেন, “এই সকল অনিয়ম আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি পূর্ণ অনাস্থা প্রকাশ করছি এবং এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি।”
*ছাত্রদলের বিশৃঙ্খলার অভিযোগ*
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সমন্বিত ঐক্য জোটের স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রার্থী হুসনী মোবারক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাহানারা ইমাম হলের সামনে ‘ছাত্রদলের ৩-৪ জন নেতা’ তাদের উপর ‘মব তৈরি করে’ এবং ‘গার্ডদের ধমকায়’।
তিনি বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হলে প্রবেশ করি এবং প্রভোস্টের সঙ্গে নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু বের হওয়ার সময় ছাত্রদলের নেতারা গার্ডদের ধমক দেয় এবং একজন গার্ডকে ধাক্কা দেয়। তারা চিৎকার করে বলে, ‘চুপ ব্যাটা, একটা কথা বলবি না।’ এরপর তারা ভিতরে প্রবেশ করে চিৎকার-চেঁচামেচি করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।”
ভোট শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে ছাত্রদল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, “প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের মিলিত ষড়যন্ত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। আমরা এই প্রক্রিয়ায় আর অংশ নেব না।”
*ছাত্রশিবিরের প্রতিক্রিয়া*
ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে কেউ ভোট বর্জন করলে আমাদের কিছু করার নেই। এখন পর্যন্ত যতগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোতেই ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “ছাত্রদল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমাদের প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে।”
তিনি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
*প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নীরবতা*
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে ওঠা এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করা, পোলিং এজেন্টদের বাধা দেওয়া, এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের সুরাহা না হওয়া নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছে।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা, পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই নির্বাচন বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়ম’, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘পক্ষপাতমূলক ভূমিকা’ এবং ছাত্রশিবিরের ভোট ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে সংশপ্তক পর্ষদও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগও তুলেছে। আর, সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় এই দুই প্যানেল।
সংশপ্তক পর্ষদ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রশিবিরকে ভোট ‘জালিয়াতিতে সরাসরি সহযোগিতা করছে’। তারা নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে পূরণকৃত ব্যালট পাওয়া গেছে, যা ভোট জালিয়াতির সুস্পষ্ট প্রমাণ।
আর শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ৯৯৯ হলেও মাত্র ৮০০টি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়েছে, যা ভোট গণনায় অসঙ্গতি সৃষ্টি করেছে।
পর্ষদ আরও জানায়, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় যে কেউ এসে ভোট দিতে পারছে, যার প্রমাণ রফিক-জব্বার হলে পাওয়া গেছে। প্রতিটি হল কেন্দ্রে বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল।
তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।
সংশপ্তক পর্ষদের একজন প্রতিনিধি বলেন, “এই নির্বাচন আর সুষ্ঠু নেই। প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের মিলিত ষড়যন্ত্রে ভোট ডাকাতি হচ্ছে। আমরা এই প্রক্রিয়ায় আর অংশ নিতে পারি না।”
তারা সকল প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছে।
*সম্প্রীতির ঐক্যের অনাস্থা, প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন*
সম্প্রীতির ঐক্য তাদের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ‘অব্যবস্থাপনা এবং পক্ষপাতমূলক’ আচরণের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাদের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা জোরপূর্বক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করার মাধ্যমে অনিয়ম শুরু বলে তাদের অভিযোগ। এছাড়া, ডোপ টেস্ট ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার অভাব ছিল। অনেক প্রার্থী ডোপ টেস্ট না করলেও প্রার্থিতা পেয়েছেন, যার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা কমিশন দেয়নি।
সম্প্রীতির ঐক্যের জিএস প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, “সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে আমরা অসংখ্য অনিয়ম দেখেছি। গতকাল মধ্যরাতে পোলিং এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হলেও ১০ নম্বর ছাত্র হল, রোকেয়া হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্টদের দীর্ঘ সময় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন বলেছে, ‘আমাদের ওপর ভরসা রাখুন,’ অথচ এই সময় ভোট গ্রহণ চলছিল। এই আচরণ নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভোট দেয়া ভোটারদের হাতে কালো কালির মার্ক দেওয়া হয়নি, যা ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি মৌলিক প্রক্রিয়া। ক্যাম্পাসে স্থাপিত এলইডি স্ক্রিনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্প্রচারের কথা থাকলেও সেগুলো দীর্ঘ সময় বিকল ছিল। ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থার কর্মীরা প্রার্থীদের নাম সম্বলিত চিরকুট বিলি করেছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন।
“জাহানারা ইমাম হলে একজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাজী নজরুল ইসলাম হলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদের ব্যালটে সব প্রার্থীর নাম ছিল না, পরে হাতে লিখে নাম যোগ করা হয়,” বলেন শরণ এহসান।
তিনি বলেন, “এই সকল অনিয়ম আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি পূর্ণ অনাস্থা প্রকাশ করছি এবং এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি।”
*ছাত্রদলের বিশৃঙ্খলার অভিযোগ*
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সমন্বিত ঐক্য জোটের স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রার্থী হুসনী মোবারক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাহানারা ইমাম হলের সামনে ‘ছাত্রদলের ৩-৪ জন নেতা’ তাদের উপর ‘মব তৈরি করে’ এবং ‘গার্ডদের ধমকায়’।
তিনি বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হলে প্রবেশ করি এবং প্রভোস্টের সঙ্গে নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু বের হওয়ার সময় ছাত্রদলের নেতারা গার্ডদের ধমক দেয় এবং একজন গার্ডকে ধাক্কা দেয়। তারা চিৎকার করে বলে, ‘চুপ ব্যাটা, একটা কথা বলবি না।’ এরপর তারা ভিতরে প্রবেশ করে চিৎকার-চেঁচামেচি করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।”
ভোট শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে ছাত্রদল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, “প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের মিলিত ষড়যন্ত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। আমরা এই প্রক্রিয়ায় আর অংশ নেব না।”
*ছাত্রশিবিরের প্রতিক্রিয়া*
ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে কেউ ভোট বর্জন করলে আমাদের কিছু করার নেই। এখন পর্যন্ত যতগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোতেই ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “ছাত্রদল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমাদের প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে।”
তিনি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
*প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নীরবতা*
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে ওঠা এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করা, পোলিং এজেন্টদের বাধা দেওয়া, এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের সুরাহা না হওয়া নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছে।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা, পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই নির্বাচন বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।