চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে নয় শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন কর্মসূচি শুক্রবার গড়াল তৃতীয় দিনে। অনশনরতদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে এ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অংশগ্রহণকারীরা হলেন—বাংলা বিভাগের ওমর সমুদ্র, ধ্রুব বড়ুয়া ও সুদর্শন চাকমা, সঙ্গীত বিভাগের ঈশা দে ও জশদ জাকির, ইংরেজি বিভাগের আহমেদ মুগ্ধ ও নাইম শাহজাহান, মার্কেটিং বিভাগের সুমাইয়া শিকদার এবং স্পোর্টস সায়েন্সের রাম্রা সাইন মারমা।
অনশনকারীদের মধ্যে ধ্রুব বড়ুয়া, সুমাইয়া শিকদার ও সুদর্শন চাকমাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে বলে সহপাঠীরা জানিয়েছেন। রাম্রা সাইন মারমা বলেন, “টানা অনশনে প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে, অনেককে স্যালাইন দিতে হচ্ছে। তবু এখনো কোনো সুরাহা পাইনি।”
বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য। তবে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের বিষয়ে আশ্বাস না দেওয়ায় সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শামীম উদ্দিন জানান, “আমরা তাঁদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছি এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন রয়েছি।”
আন্দোলনকারী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, “প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি হয়নি, প্রকৃত দোষীদের আসামি করা হয়নি। আমরা আগেও দাবি জানিয়েছি, কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় এবার অনশনে বসেছি।”
গত ৩০ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে দেরি করে ফিরতে যাওয়ায় মারধর করেন তাঁর ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। টানা দুই দিন ধরে চলা ওই সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও উপ-উপাচার্য আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় স্থানীয় গ্রামবাসীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ–যুবলীগেরও সম্পৃক্ততা ছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বহিরাগতরাও অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়।
এই ঘটনার পর থেকেই প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে তাদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে নয় শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন কর্মসূচি শুক্রবার গড়াল তৃতীয় দিনে। অনশনরতদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে এ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অংশগ্রহণকারীরা হলেন—বাংলা বিভাগের ওমর সমুদ্র, ধ্রুব বড়ুয়া ও সুদর্শন চাকমা, সঙ্গীত বিভাগের ঈশা দে ও জশদ জাকির, ইংরেজি বিভাগের আহমেদ মুগ্ধ ও নাইম শাহজাহান, মার্কেটিং বিভাগের সুমাইয়া শিকদার এবং স্পোর্টস সায়েন্সের রাম্রা সাইন মারমা।
অনশনকারীদের মধ্যে ধ্রুব বড়ুয়া, সুমাইয়া শিকদার ও সুদর্শন চাকমাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে বলে সহপাঠীরা জানিয়েছেন। রাম্রা সাইন মারমা বলেন, “টানা অনশনে প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে, অনেককে স্যালাইন দিতে হচ্ছে। তবু এখনো কোনো সুরাহা পাইনি।”
বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য। তবে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের বিষয়ে আশ্বাস না দেওয়ায় সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শামীম উদ্দিন জানান, “আমরা তাঁদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছি এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন রয়েছি।”
আন্দোলনকারী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, “প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি হয়নি, প্রকৃত দোষীদের আসামি করা হয়নি। আমরা আগেও দাবি জানিয়েছি, কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় এবার অনশনে বসেছি।”
গত ৩০ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে দেরি করে ফিরতে যাওয়ায় মারধর করেন তাঁর ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। টানা দুই দিন ধরে চলা ওই সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও উপ-উপাচার্য আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় স্থানীয় গ্রামবাসীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ–যুবলীগেরও সম্পৃক্ততা ছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বহিরাগতরাও অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়।
এই ঘটনার পর থেকেই প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে তাদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।