জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার মধ্যে প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক রাশিদুল আলম।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সারারাত ধরে ভোট গণনার কাজ চলেছে এবং এখনো তা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি হলের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, রাত ১০টার মধ্যে গণনা কার্যক্রম শেষ হবে এবং ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।”
তবে, ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিবির সমর্থিত সমন্বিত ঐক্য জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ। তিনি সংবাদকে জানান, “সারারাত গণনার পরও দুপুর ১১টা বেজে গেলেও হল সংসদের ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি গ্রুপের দাবির প্রেক্ষিতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা এই বিলম্বের অন্যতম কারণ।”
তিনি নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে অভিহিত করে যোগ করেন, “ওএমআর মেশিন সম্পূর্ণ কার্যকর এবং নির্ভুল ফলাফল প্রদানে সক্ষম। তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, ওএমআর মেশিনটি জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে, যার কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আসলে বিএনপির সমর্থক।”
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোট গণনার কাজে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। তবে, হাতে ভোট গোণার সিদ্ধান্তে ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, সেদিকেই এখন সবার দৃষ্টি।
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করলেও, ব্যাবস্থাপনার অসংগতিতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন। জালিয়াতি, বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ, ব্যালট পেপারে অসঙ্গতি ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। অনেকেই পুনর্নির্বাচনের দাবী জানিয়েছে।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোট কেন্দ্রে বহিরাগতদের উপস্থিতি ও ব্যালটে প্রার্থীর ছবি না থাকার অভিযোগে গতকাল বিকেল ৪টায় বর্জন করে।
প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্যানেল (সম্প্রীতির ঐক্য ও বামপন্থী প্যানেল) জাল ভোট, অব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবের কারণে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পুনর্নির্বাচন দাবি করে।
সংশপ্তক প্যানেল ব্যালটে অসঙ্গতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ অসংগঠিত পরিবেশ ও জাল ভোটার তালিকার কারণে এবং ছাত্র ইউনিয়ন-সমর্থিত প্যানেল প্রার্থিতা বাতিল ও স্বচ্ছতার অভাবে বর্জন করে। এই বর্জনগুলো নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার মধ্যে প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক রাশিদুল আলম।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সারারাত ধরে ভোট গণনার কাজ চলেছে এবং এখনো তা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি হলের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, রাত ১০টার মধ্যে গণনা কার্যক্রম শেষ হবে এবং ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।”
তবে, ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিবির সমর্থিত সমন্বিত ঐক্য জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ। তিনি সংবাদকে জানান, “সারারাত গণনার পরও দুপুর ১১টা বেজে গেলেও হল সংসদের ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি গ্রুপের দাবির প্রেক্ষিতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা এই বিলম্বের অন্যতম কারণ।”
তিনি নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে অভিহিত করে যোগ করেন, “ওএমআর মেশিন সম্পূর্ণ কার্যকর এবং নির্ভুল ফলাফল প্রদানে সক্ষম। তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, ওএমআর মেশিনটি জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে, যার কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আসলে বিএনপির সমর্থক।”
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোট গণনার কাজে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। তবে, হাতে ভোট গোণার সিদ্ধান্তে ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, সেদিকেই এখন সবার দৃষ্টি।
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করলেও, ব্যাবস্থাপনার অসংগতিতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন। জালিয়াতি, বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ, ব্যালট পেপারে অসঙ্গতি ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। অনেকেই পুনর্নির্বাচনের দাবী জানিয়েছে।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোট কেন্দ্রে বহিরাগতদের উপস্থিতি ও ব্যালটে প্রার্থীর ছবি না থাকার অভিযোগে গতকাল বিকেল ৪টায় বর্জন করে।
প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্যানেল (সম্প্রীতির ঐক্য ও বামপন্থী প্যানেল) জাল ভোট, অব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবের কারণে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পুনর্নির্বাচন দাবি করে।
সংশপ্তক প্যানেল ব্যালটে অসঙ্গতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ অসংগঠিত পরিবেশ ও জাল ভোটার তালিকার কারণে এবং ছাত্র ইউনিয়ন-সমর্থিত প্যানেল প্রার্থিতা বাতিল ও স্বচ্ছতার অভাবে বর্জন করে। এই বর্জনগুলো নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে।