ভোট কারচুপির অভিযোগে গতকাল শেষ বিকেলে জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছিল ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। কিন্তু আজ শুক্রবার বিকেলে ফেইসবুক পোস্টে ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী আঞ্জুমান ইকরা ভোটের ফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ইকরা লিখেছেন, ‘জাকসু নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ঊর্ধ্বে সুষ্ঠু ভোটের জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে দায়বদ্ধ ছিলাম। তবে প্রশাসনের প্রকাশ্য অনিয়ম ও কারচুপি সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই ফল আমাদের মেনে নিতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আমাকে জাকসু নির্বাচনে এজিএস পদে মনোনীত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দিয়েছে, এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ।’
তিনি এরপর লিখেছেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দায়িত্বশীলদের প্রতি আমার অনুরোধ, নিজেদের ভুল পুনর্বিবেচনা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন ক্যাম্পাস গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।’
তবে জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশী পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশিত হয়নি। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে অর্থাৎ হাতে গোণা হচ্ছে ভোট।
এই নির্বাচন শুরু থেকেই বযবস্থাপনায় নানা অসঙ্গতি দেখা গেছে। একজন ভিপি প্রার্থীর প্রার্থিতা নির্বাচনের চারদিন আগে বাতিল করা হয়। অথচ চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় তার নাম ছিলো। প্রাথমিক বাছাইয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায়ও তার নাম ছিলো। আর এ কারণেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
তারপর প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত ভোটের কয়েকদিন আগে জানানো হয়। তবে ডোপ টেস্ট হলেও ফলাফল জানানো হয়নি। আর মেশিনে ভোট গোণার সিদ্ধান্ত থাকলেও ভোটের দিন সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
আর ভোটের দিনও নানা অসঙ্গতির কথা বলেছেন বিভিন্ন জন। ভোটারদের আঙুলে যে অমেচনীয় কালি দেওয়া হয় তা অল্প ঘটাতেই উঠে যাচ্ছিলো। আর মোট ভোটারের ১০ শতাংশ বেশী ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ।
সবমিলিয়ে নানা অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ — জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভোট কারচুপির অভিযোগে গতকাল শেষ বিকেলে জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছিল ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। কিন্তু আজ শুক্রবার বিকেলে ফেইসবুক পোস্টে ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী আঞ্জুমান ইকরা ভোটের ফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ইকরা লিখেছেন, ‘জাকসু নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ঊর্ধ্বে সুষ্ঠু ভোটের জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে দায়বদ্ধ ছিলাম। তবে প্রশাসনের প্রকাশ্য অনিয়ম ও কারচুপি সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই ফল আমাদের মেনে নিতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আমাকে জাকসু নির্বাচনে এজিএস পদে মনোনীত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দিয়েছে, এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ।’
তিনি এরপর লিখেছেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দায়িত্বশীলদের প্রতি আমার অনুরোধ, নিজেদের ভুল পুনর্বিবেচনা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন ক্যাম্পাস গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।’
তবে জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশী পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশিত হয়নি। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে অর্থাৎ হাতে গোণা হচ্ছে ভোট।
এই নির্বাচন শুরু থেকেই বযবস্থাপনায় নানা অসঙ্গতি দেখা গেছে। একজন ভিপি প্রার্থীর প্রার্থিতা নির্বাচনের চারদিন আগে বাতিল করা হয়। অথচ চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় তার নাম ছিলো। প্রাথমিক বাছাইয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায়ও তার নাম ছিলো। আর এ কারণেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
তারপর প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত ভোটের কয়েকদিন আগে জানানো হয়। তবে ডোপ টেস্ট হলেও ফলাফল জানানো হয়নি। আর মেশিনে ভোট গোণার সিদ্ধান্ত থাকলেও ভোটের দিন সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
আর ভোটের দিনও নানা অসঙ্গতির কথা বলেছেন বিভিন্ন জন। ভোটারদের আঙুলে যে অমেচনীয় কালি দেওয়া হয় তা অল্প ঘটাতেই উঠে যাচ্ছিলো। আর মোট ভোটারের ১০ শতাংশ বেশী ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ।
সবমিলিয়ে নানা অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ — জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন।