নির্বাচন কমিশনের ‘কয়েকজন সদস্যের ছত্রছায়ায়’ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণ্য অপপ্রচার’ ও নির্বাচনী অনিয়মের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে জানাচ্ছি যে, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা সেটি ফলাও করে প্রচার (ভাইরাল) করে।
‘অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, ঐসময় রিটার্নিং অফিসারগণের তত্ত্বাবধানে শুধুমাত্র ব্যালটবাক্স সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। ব্যালট পেপার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন অর্থাৎ পরদিন সকাল ৮.৩০ এর দিকে। এ ধরণের ঘৃণ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোনঠাসা করে ফেলা হয়। এই বিশেষ রাজনৈতিক দল যদিও মুখে মুখে সব সময় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয় কিন্তু একটি নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এরা মিথ্যাচারের মতো পাপে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত হয়নি!’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সাংবাদিকদের হয়রানি (মব) করার অভিযোগ উঠে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (১৫ নং হল), জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে। ১৫ নং হলের প্রভোস্ট সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ও পর্যবেক্ষক দল ঐ হলে ব্যালট পড়ে থাকা সহ নানান অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছেন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘বিস্ময়করভাবে হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে “ক্রমিক নম্বর” ও মুড়ি থাকলেও জাকসুর ব্যালটে এগুলো ছিলোনা। অথচ ক্রমিক নম্বর হলো ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যালট পেপারে থাকা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, যা গণনার জন্য ব্যবহার করা হয়। এমনকি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকাও ছবি-সংযুক্ত আকারে সরবরাহ করা হয়নি, যা ভোটার শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি থাকায় বহু শিক্ষার্থী নিজ হলে ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোটদানের মতো নির্বাচনী জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই।
‘আমরা মনে করি নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো ও নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়ম একই সূত্রে গাঁথা। আমরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আয়োজিত এই প্রহসনের নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানাই ও অভিযোগগুলো সুষ্ঠু সুরাহার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানাই।’
বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পক্ষে থাকা শিক্ষকদের তালিকায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রায়হান শরীফের নাম উল্লেখ করা হয়। গতকাল তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘ইলেকশন মনিটরিং সেলের একজন সদস্য হিসেবে আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা অব্দি ছাত্রদের ১১টি হল এবং ছাত্রীদের ২টি হলে জাকসু নির্বাচন মনিটর করেছি।কয়েকটি অসংগতি পেয়ে দ্রুততম সময়ে সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিপোর্ট করেছি। কিছু ক্ষেত্রে নিজের উদ্যোগে (যেখানে প্রযোজ্য) ব্যবস্থা বাতলে দিয়েছি। জাকসু নির্বাচন আমার অভিজ্ঞতায় সুষ্ঠু হয়েছে। কেউ নির্বাচন বয়কট করলে আমি বলবো সেটি তাদের বিবেচনা।’
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিবৃতির সাথে তিনি একমত কিনা প্রশ্নে তিনি জানান, ‘আমি মাত্রই দেখলাম, এবিষয়ে আমি অবগত নই।’
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচন কমিশনের ‘কয়েকজন সদস্যের ছত্রছায়ায়’ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণ্য অপপ্রচার’ ও নির্বাচনী অনিয়মের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে জানাচ্ছি যে, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা সেটি ফলাও করে প্রচার (ভাইরাল) করে।
‘অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, ঐসময় রিটার্নিং অফিসারগণের তত্ত্বাবধানে শুধুমাত্র ব্যালটবাক্স সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। ব্যালট পেপার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন অর্থাৎ পরদিন সকাল ৮.৩০ এর দিকে। এ ধরণের ঘৃণ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোনঠাসা করে ফেলা হয়। এই বিশেষ রাজনৈতিক দল যদিও মুখে মুখে সব সময় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয় কিন্তু একটি নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এরা মিথ্যাচারের মতো পাপে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত হয়নি!’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সাংবাদিকদের হয়রানি (মব) করার অভিযোগ উঠে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (১৫ নং হল), জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে। ১৫ নং হলের প্রভোস্ট সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ও পর্যবেক্ষক দল ঐ হলে ব্যালট পড়ে থাকা সহ নানান অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছেন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘বিস্ময়করভাবে হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে “ক্রমিক নম্বর” ও মুড়ি থাকলেও জাকসুর ব্যালটে এগুলো ছিলোনা। অথচ ক্রমিক নম্বর হলো ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যালট পেপারে থাকা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, যা গণনার জন্য ব্যবহার করা হয়। এমনকি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকাও ছবি-সংযুক্ত আকারে সরবরাহ করা হয়নি, যা ভোটার শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি থাকায় বহু শিক্ষার্থী নিজ হলে ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোটদানের মতো নির্বাচনী জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই।
‘আমরা মনে করি নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো ও নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়ম একই সূত্রে গাঁথা। আমরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আয়োজিত এই প্রহসনের নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানাই ও অভিযোগগুলো সুষ্ঠু সুরাহার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানাই।’
বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পক্ষে থাকা শিক্ষকদের তালিকায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রায়হান শরীফের নাম উল্লেখ করা হয়। গতকাল তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘ইলেকশন মনিটরিং সেলের একজন সদস্য হিসেবে আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা অব্দি ছাত্রদের ১১টি হল এবং ছাত্রীদের ২টি হলে জাকসু নির্বাচন মনিটর করেছি।কয়েকটি অসংগতি পেয়ে দ্রুততম সময়ে সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিপোর্ট করেছি। কিছু ক্ষেত্রে নিজের উদ্যোগে (যেখানে প্রযোজ্য) ব্যবস্থা বাতলে দিয়েছি। জাকসু নির্বাচন আমার অভিজ্ঞতায় সুষ্ঠু হয়েছে। কেউ নির্বাচন বয়কট করলে আমি বলবো সেটি তাদের বিবেচনা।’
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিবৃতির সাথে তিনি একমত কিনা প্রশ্নে তিনি জানান, ‘আমি মাত্রই দেখলাম, এবিষয়ে আমি অবগত নই।’