ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় রাতও পেরিয়ে গেছে, কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল এখনো ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়ে বিকেল ৫টা (কিছু হলে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত) ভোটগ্রহণ চলে। এরপর রাত ১০টার পর সিনেট ভবনে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রায় ৪০ ঘণ্টা পরও গণনা শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরক্তি ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি হলের মধ্যে ১৪টির ফলাফল গণনা শেষ হয়েছে। বাকিগুলো এখনো বাকি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার শুক্রবার রাতেই ফল ঘোষণা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।
প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। একজন ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য তিনটি করে ব্যালটে ভোট দেওয়ায় প্রায় ২৪ হাজার ব্যালট গণনা করতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরুতে মেশিনে ভোট গণনার পরিকল্পনা করলেও ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠনের আপত্তির কারণে ম্যানুয়ালি গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রস্তুতি না থাকায় একেকটি হলের ফল গুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে। মাত্র তিন-চারটি টেবিলে ধীরগতিতে ভোট গোনার কারণে সময় আরও বেড়েছে।
এদিকে, ভোট গ্রহণ ও গণনা প্রক্রিয়ায় নানা অভিযোগ উঠেছে। ব্যালট বেশি যাওয়া, আচরণবিধি ভঙ্গ, জামায়াত সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ব্যালট ও ওএমআর মেশিন সরবরাহ, পোলিং এজেন্টদের প্রবেশে বাধা, ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করা—এসব অনিয়মের অভিযোগে একে একে পাঁচটি প্যানেল ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। এমনকি একজন নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন শিক্ষকও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছেন।
অন্যদিকে, ইসলামী ছাত্রশিবির নির্বাচন বর্জনকে ‘প্রতারণা’ আখ্যা দিয়ে প্রক্রিয়ায় থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তবে যারা বর্জন করেছেন, তাদের আর ভোট গণনার সময় সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় শুক্রবার সকালে ভোট গণনার দায়িত্বে থাকা চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের আকস্মিক মৃত্যুতে। সহকর্মীর মৃত্যুশোক গণনার কাজে নিয়োজিতদের মনোবল দুর্বল করে দেয়।
সিনেট ভবনের সামনে সারারাত ধরে প্রার্থী, কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে দীর্ঘসূত্রতায় তাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী বলছেন, ৩৩ বছর পর হওয়া এই নির্বাচনে প্রশাসনের সঠিক প্রস্তুতির অভাবই ভোট গণনায় এমন বিলম্বের জন্য দায়ী।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় রাতও পেরিয়ে গেছে, কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল এখনো ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়ে বিকেল ৫টা (কিছু হলে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত) ভোটগ্রহণ চলে। এরপর রাত ১০টার পর সিনেট ভবনে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রায় ৪০ ঘণ্টা পরও গণনা শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরক্তি ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি হলের মধ্যে ১৪টির ফলাফল গণনা শেষ হয়েছে। বাকিগুলো এখনো বাকি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার শুক্রবার রাতেই ফল ঘোষণা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।
প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। একজন ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য তিনটি করে ব্যালটে ভোট দেওয়ায় প্রায় ২৪ হাজার ব্যালট গণনা করতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরুতে মেশিনে ভোট গণনার পরিকল্পনা করলেও ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠনের আপত্তির কারণে ম্যানুয়ালি গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রস্তুতি না থাকায় একেকটি হলের ফল গুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে। মাত্র তিন-চারটি টেবিলে ধীরগতিতে ভোট গোনার কারণে সময় আরও বেড়েছে।
এদিকে, ভোট গ্রহণ ও গণনা প্রক্রিয়ায় নানা অভিযোগ উঠেছে। ব্যালট বেশি যাওয়া, আচরণবিধি ভঙ্গ, জামায়াত সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ব্যালট ও ওএমআর মেশিন সরবরাহ, পোলিং এজেন্টদের প্রবেশে বাধা, ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করা—এসব অনিয়মের অভিযোগে একে একে পাঁচটি প্যানেল ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। এমনকি একজন নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন শিক্ষকও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছেন।
অন্যদিকে, ইসলামী ছাত্রশিবির নির্বাচন বর্জনকে ‘প্রতারণা’ আখ্যা দিয়ে প্রক্রিয়ায় থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তবে যারা বর্জন করেছেন, তাদের আর ভোট গণনার সময় সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় শুক্রবার সকালে ভোট গণনার দায়িত্বে থাকা চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের আকস্মিক মৃত্যুতে। সহকর্মীর মৃত্যুশোক গণনার কাজে নিয়োজিতদের মনোবল দুর্বল করে দেয়।
সিনেট ভবনের সামনে সারারাত ধরে প্রার্থী, কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে দীর্ঘসূত্রতায় তাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী বলছেন, ৩৩ বছর পর হওয়া এই নির্বাচনে প্রশাসনের সঠিক প্রস্তুতির অভাবই ভোট গণনায় এমন বিলম্বের জন্য দায়ী।