চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রথম দিনে ২৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন চাকসু এবং দুইজন হল সংসদের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
রোববার বিকেলে চাকসু ভবনে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, চাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। প্রথম দিনে আশাতীত মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ভালো একটা নির্বাচনি আমেজ দেখতে পাচ্ছি।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, মনোনয়নপত্র নেওয়ার সময় পদের বিষয়টি উল্লেখ করতে হয় না। ফরম জমা দেওয়ার পর বলা যাবে কারা কোন পদের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এদিন ক্রীড়া সম্পাদক পদে শাহজালাল হলের শিক্ষার্থী তায়েবুল আলম ফরাজী প্রথম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদান চলবে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। তফসিল অনুযায়ী, প্রায় ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে চাকসু নির্বাচন। এর আগে ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন।
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ওঠে। এরপর গত ২৮ অগাস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৪টি হল ও একটি হোস্টেল রয়েছে, এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রীদের এবং ১০টি ছাত্রদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯টি বিভাগ ও পাঁচটি ইনস্টিটিউটের ২৭ হাজার ৬৩৪ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে চাকসু নির্বাচনের ওয়েবসাইটে, তবে হল ভিত্তিক তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
তফসিল অনুযায়ী, ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদান শেষে ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা এবং ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। পরদিন প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি হবে।
চাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে প্রচার চালানো যাবে।
চাকসুর ২৬টি পদের মধ্যে ২১টি সম্পাদকীয় পদ এবং পাঁচটি নির্বাহী সদস্যের পদ রয়েছে। সম্পাদকীয় পদগুলোর মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস ছাড়াও ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, সহ-সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, সহ-দপ্তর সম্পাদক, ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক, সহ-ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক, সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এবং পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া প্রতিটি হল সংসদে ভিপি, জিএস, এজিএস ছাড়াও ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, রিডিং সম্পাদক, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, পরিবেশ ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান, গবেষণা, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক এবং তিনজন নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন হবে।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রথম দিনে ২৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন চাকসু এবং দুইজন হল সংসদের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
রোববার বিকেলে চাকসু ভবনে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, চাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। প্রথম দিনে আশাতীত মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ভালো একটা নির্বাচনি আমেজ দেখতে পাচ্ছি।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, মনোনয়নপত্র নেওয়ার সময় পদের বিষয়টি উল্লেখ করতে হয় না। ফরম জমা দেওয়ার পর বলা যাবে কারা কোন পদের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এদিন ক্রীড়া সম্পাদক পদে শাহজালাল হলের শিক্ষার্থী তায়েবুল আলম ফরাজী প্রথম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদান চলবে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। তফসিল অনুযায়ী, প্রায় ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে চাকসু নির্বাচন। এর আগে ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন।
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ওঠে। এরপর গত ২৮ অগাস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৪টি হল ও একটি হোস্টেল রয়েছে, এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রীদের এবং ১০টি ছাত্রদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯টি বিভাগ ও পাঁচটি ইনস্টিটিউটের ২৭ হাজার ৬৩৪ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে চাকসু নির্বাচনের ওয়েবসাইটে, তবে হল ভিত্তিক তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
তফসিল অনুযায়ী, ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদান শেষে ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা এবং ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। পরদিন প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি হবে।
চাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে প্রচার চালানো যাবে।
চাকসুর ২৬টি পদের মধ্যে ২১টি সম্পাদকীয় পদ এবং পাঁচটি নির্বাহী সদস্যের পদ রয়েছে। সম্পাদকীয় পদগুলোর মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস ছাড়াও ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, সহ-সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, সহ-দপ্তর সম্পাদক, ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক, সহ-ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক, সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এবং পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া প্রতিটি হল সংসদে ভিপি, জিএস, এজিএস ছাড়াও ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, রিডিং সম্পাদক, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, পরিবেশ ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান, গবেষণা, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক এবং তিনজন নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন হবে।