রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনের এ পর্যন্ত নয়টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের। বাকি তিনটি প্যানেলের মধ্যে একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক তিন সমন্বয়কের নেতৃত্বে; একটি সামাজিক সংগঠন এবং একটি স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের। তবে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির ছাড়া কোনো প্যানেলই পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা করতে পারেনি।
প্যানেল ও সংগঠন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘোষিত নয়টি প্যানেল হলো-
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল: ভিপি পদে লড়বেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ নূর উদ্দিন আবির, জিএস পদে দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবন, এজিএস পদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা। প্যানেলের নাম এখনও প্রক্রিয়াধীন, প্রচার শুরুর দিনই নাম ঘোষণা করা হবে।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’: ভিপি পদে লড়বেন সভাপতি মোস্তাকুর রহমান ওরফে জাহিদ, জিএস পদে সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, এজিএস পদে ‘স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক সোচ্চার’-এর সভাপতি এস এম সালমান সাব্বির।
ইউএসডিএফ-এর ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’: ভিপি পদে তাসিন খান, জিএস পদে রাজন আল আহমেদ, এজিএস পদে মাহাইর ইসলাম। তাসিন খান রাকসুর ইতিহাসে প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী, প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ প্যানেলে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’: ভিপি পদে মেহেদী সজীব, জিএস পদে সালাউদ্দিন আম্মার, এজিএস পদে আকিল বিন তালেব। তারা তিনজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। প্যানেলে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’: ভিপি পদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, জিএস পদে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) কোষাধ্যক্ষ কাউছার আহম্মেদ, এজিএস পদে ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার। প্যানেল থেকে ১৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’: ভিপি পদে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ, জিএস পদে উত্তরণ লেখক ও পাঠক সূতিকাগারের সাবেক সভাপতি আফরিন জাহান, এজিএস পদে সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শুভ। প্যানেল থেকে ১৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’: ভিপি পদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুর আলম, জিএস পদে সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, এজিএস পদে সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আকন্দ।
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’: ভিপি পদে সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া, জিএস পদে সাধারণ সম্পাদক পরমা পারমিতা, এজিএস পদে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সানজিদ। প্যানেল থেকে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’: ভিপি পদে তাওহিদুল ইসলাম, জিএস পদে নুসরাত জাহান নুপুর, এজিএস পদে জান্নাত আরা নওশীন। প্যানেলে আপাতত ছয়জনের নাম ঘোষণা হয়েছে, প্রচার শুরুর দিন বাকিগুলো ঘোষণা করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম জানান, রাকসু নির্বাচনের ২৩ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৬০ জন। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৯ জন, জিএস পদে ১৪ জন, এজিএস পদে ১৬ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচ পদে ৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে রোববার। একইদিন আনুষ্ঠানিক প্রচারও শুরু হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একাডেমিক ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম জানান, নির্বাচন আয়োজনের সব প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনের এ পর্যন্ত নয়টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের। বাকি তিনটি প্যানেলের মধ্যে একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক তিন সমন্বয়কের নেতৃত্বে; একটি সামাজিক সংগঠন এবং একটি স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের। তবে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির ছাড়া কোনো প্যানেলই পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা করতে পারেনি।
প্যানেল ও সংগঠন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘোষিত নয়টি প্যানেল হলো-
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল: ভিপি পদে লড়বেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ নূর উদ্দিন আবির, জিএস পদে দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবন, এজিএস পদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা। প্যানেলের নাম এখনও প্রক্রিয়াধীন, প্রচার শুরুর দিনই নাম ঘোষণা করা হবে।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’: ভিপি পদে লড়বেন সভাপতি মোস্তাকুর রহমান ওরফে জাহিদ, জিএস পদে সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, এজিএস পদে ‘স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক সোচ্চার’-এর সভাপতি এস এম সালমান সাব্বির।
ইউএসডিএফ-এর ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’: ভিপি পদে তাসিন খান, জিএস পদে রাজন আল আহমেদ, এজিএস পদে মাহাইর ইসলাম। তাসিন খান রাকসুর ইতিহাসে প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী, প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ প্যানেলে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’: ভিপি পদে মেহেদী সজীব, জিএস পদে সালাউদ্দিন আম্মার, এজিএস পদে আকিল বিন তালেব। তারা তিনজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। প্যানেলে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’: ভিপি পদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, জিএস পদে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) কোষাধ্যক্ষ কাউছার আহম্মেদ, এজিএস পদে ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার। প্যানেল থেকে ১৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’: ভিপি পদে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ, জিএস পদে উত্তরণ লেখক ও পাঠক সূতিকাগারের সাবেক সভাপতি আফরিন জাহান, এজিএস পদে সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শুভ। প্যানেল থেকে ১৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’: ভিপি পদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুর আলম, জিএস পদে সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, এজিএস পদে সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আকন্দ।
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’: ভিপি পদে সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া, জিএস পদে সাধারণ সম্পাদক পরমা পারমিতা, এজিএস পদে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সানজিদ। প্যানেল থেকে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’: ভিপি পদে তাওহিদুল ইসলাম, জিএস পদে নুসরাত জাহান নুপুর, এজিএস পদে জান্নাত আরা নওশীন। প্যানেলে আপাতত ছয়জনের নাম ঘোষণা হয়েছে, প্রচার শুরুর দিন বাকিগুলো ঘোষণা করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম জানান, রাকসু নির্বাচনের ২৩ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৬০ জন। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৯ জন, জিএস পদে ১৪ জন, এজিএস পদে ১৬ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচ পদে ৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে রোববার। একইদিন আনুষ্ঠানিক প্রচারও শুরু হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একাডেমিক ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম জানান, নির্বাচন আয়োজনের সব প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।