রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ নামে নতুন একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্যানেলের নেতৃত্ব আছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন সাবেক সমন্বয়ক। তাদের উপস্থিতি এই প্যানেলের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
তবে এই প্যানেল গঠন করার পর থেকেই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন, এই প্যানেলের প্রার্থীরা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) মনোনীত। আবার কারও দাবি, তারা এনসিপি অথবা ছাত্রশিবিরের ‘ছায়া বা বি টিম’।
এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার, যিনি পরিচিত ‘স্লোগানমাস্টার’ হিসেবে। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে রয়েছেন আকিল বিন তালেব।
আর মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছাড়া আরও দুটি পদে নারী প্রার্থী আছেন। তবে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নেই। প্যানেলে আছেন বিভিন্ন ক্লাব–সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও। ২৩টি পদের মধ্যে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ১৮ জন প্রার্থী লড়বেন।
*বিতর্ক ও গুঞ্জন*
ক্যাম্পাসে গুঞ্জন রয়েছে, এই প্যানেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বা ছাত্রশিবিরের ছায়া টিম। তবে প্রার্থীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাদের প্যানেলে কোনো কারো ‘ডামি বা সাক্ষিগোপাল’ নন; শিক্ষার্থীদের ‘অধিকার আদায়ের’ জন্যই তারা একত্রিত হয়েছেন।
এজিএস প্রার্থী আকিল বিন তালেব বাগছাসের (বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ) কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় অনেকে এটিকে বাগছাস–মনোনীত প্যানেলও বলছেন। আর ভিপি প্রার্থী মেহেদী সজীবকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শিবির–সংক্রান্ত গুঞ্জনও ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জিএস প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “আমরা জুলাইয়ের যোদ্ধা। এখানে কোনো ডামি প্রার্থী নেই। যোগ্যদের নিয়েই প্যানেল গঠন করা হয়েছে। আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই আমরা।”
এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের আগেও ক্যাম্পাসে নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। জুলাই–পরবর্তী সময়েও শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছি। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের নির্বাচিত করেন, আমরা আরও দুর্বার গতিতে কাজ করে যাব।’
*সাবেক সমন্বয়করা কে কোথায়*
রাকসু নির্বাচনে এবার সাবেক ১৭ সমন্বয়কের মধ্যে ১০ জন অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাকি ৯ জন পাঁচটি ভিন্ন প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাকসুর ভোট হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ নামে নতুন একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্যানেলের নেতৃত্ব আছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন সাবেক সমন্বয়ক। তাদের উপস্থিতি এই প্যানেলের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
তবে এই প্যানেল গঠন করার পর থেকেই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন, এই প্যানেলের প্রার্থীরা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) মনোনীত। আবার কারও দাবি, তারা এনসিপি অথবা ছাত্রশিবিরের ‘ছায়া বা বি টিম’।
এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার, যিনি পরিচিত ‘স্লোগানমাস্টার’ হিসেবে। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে রয়েছেন আকিল বিন তালেব।
আর মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছাড়া আরও দুটি পদে নারী প্রার্থী আছেন। তবে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নেই। প্যানেলে আছেন বিভিন্ন ক্লাব–সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও। ২৩টি পদের মধ্যে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ১৮ জন প্রার্থী লড়বেন।
*বিতর্ক ও গুঞ্জন*
ক্যাম্পাসে গুঞ্জন রয়েছে, এই প্যানেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বা ছাত্রশিবিরের ছায়া টিম। তবে প্রার্থীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাদের প্যানেলে কোনো কারো ‘ডামি বা সাক্ষিগোপাল’ নন; শিক্ষার্থীদের ‘অধিকার আদায়ের’ জন্যই তারা একত্রিত হয়েছেন।
এজিএস প্রার্থী আকিল বিন তালেব বাগছাসের (বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ) কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় অনেকে এটিকে বাগছাস–মনোনীত প্যানেলও বলছেন। আর ভিপি প্রার্থী মেহেদী সজীবকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শিবির–সংক্রান্ত গুঞ্জনও ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জিএস প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “আমরা জুলাইয়ের যোদ্ধা। এখানে কোনো ডামি প্রার্থী নেই। যোগ্যদের নিয়েই প্যানেল গঠন করা হয়েছে। আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই আমরা।”
এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের আগেও ক্যাম্পাসে নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। জুলাই–পরবর্তী সময়েও শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছি। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের নির্বাচিত করেন, আমরা আরও দুর্বার গতিতে কাজ করে যাব।’
*সাবেক সমন্বয়করা কে কোথায়*
রাকসু নির্বাচনে এবার সাবেক ১৭ সমন্বয়কের মধ্যে ১০ জন অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাকি ৯ জন পাঁচটি ভিন্ন প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাকসুর ভোট হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।