সম্পূরক বৃত্তি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস ও ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতার মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রায় ২৮ ঘণ্টা ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে শিক্ষার্থীরা এই অনশন শুরু করেন তাঁরা। আজ বুধবার বিকাল ৫ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা অনশনরত অবস্থাতেই আছেন।
অনশনকারী ছাত্রনেতারা হলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, বাগছাসের সভাপতি ফয়সাল মুরাদ, বাগছাসের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া এবং মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—১. শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কবে থেকে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট করতে হবে। ২. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ(জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ৩. ক্যাফেটেরিয়ায় ভুর্তকি প্রদান এবং স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
জকসুসহ ৩ দাবিতে বাগছাস ও ছাত্র অধিকারের অনশন
অনশনে অংশ নেওয়া বাগছাসের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, প্রশাসন আগের মতোই বাহানা করে যাচ্ছে। হচ্ছে, হবে এ বক্তব্য থেকে বের হতে পারেনি প্রশাসন। আর কোনো টালবাহানা তাঁরা শুনবেন না। তাঁদের দাবি অবশ্যই মানতে হবে। তা না হলে প্রশাসনকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।
আরেক অনশনকারী বাগছাসের সভাপতি ফয়সাল মুরাদ বলেন, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন চলছে, কিন্তু প্রশাসন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইতিমধ্যে তিনিসহ দুজন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অনশনকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘আমরা অবস্থানসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছি, কিন্তু তাতে প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি। এ ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এই নখদন্তহীন প্রশাসন হয়তো আমাদের দাবি মেনে নেবে, নয়তো তাদের নিজেদের রাস্তা মাপতে হবে।’
তিনি বলেন, যতক্ষণ তিন দফা দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে। যতক্ষণ শরীরে শেষ রক্তবিন্দু আছে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করে অনেকেই এসে সংহতি প্রকাশ করছেন। সকাল থেকে এ সংখ্যা বাড়ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে উপস্থিত হন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম ডিসেম্বরের মধ্যে জকসু নির্বাচন আয়োজনের এবং জানুয়ারি মাস থেকে সম্পূরক বৃত্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সম্পূরক বৃত্তি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস ও ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতার মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রায় ২৮ ঘণ্টা ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে শিক্ষার্থীরা এই অনশন শুরু করেন তাঁরা। আজ বুধবার বিকাল ৫ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা অনশনরত অবস্থাতেই আছেন।
অনশনকারী ছাত্রনেতারা হলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, বাগছাসের সভাপতি ফয়সাল মুরাদ, বাগছাসের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া এবং মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—১. শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কবে থেকে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট করতে হবে। ২. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ(জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ৩. ক্যাফেটেরিয়ায় ভুর্তকি প্রদান এবং স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
জকসুসহ ৩ দাবিতে বাগছাস ও ছাত্র অধিকারের অনশন
অনশনে অংশ নেওয়া বাগছাসের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, প্রশাসন আগের মতোই বাহানা করে যাচ্ছে। হচ্ছে, হবে এ বক্তব্য থেকে বের হতে পারেনি প্রশাসন। আর কোনো টালবাহানা তাঁরা শুনবেন না। তাঁদের দাবি অবশ্যই মানতে হবে। তা না হলে প্রশাসনকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।
আরেক অনশনকারী বাগছাসের সভাপতি ফয়সাল মুরাদ বলেন, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন চলছে, কিন্তু প্রশাসন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইতিমধ্যে তিনিসহ দুজন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অনশনকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘আমরা অবস্থানসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছি, কিন্তু তাতে প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি। এ ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এই নখদন্তহীন প্রশাসন হয়তো আমাদের দাবি মেনে নেবে, নয়তো তাদের নিজেদের রাস্তা মাপতে হবে।’
তিনি বলেন, যতক্ষণ তিন দফা দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে। যতক্ষণ শরীরে শেষ রক্তবিন্দু আছে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করে অনেকেই এসে সংহতি প্রকাশ করছেন। সকাল থেকে এ সংখ্যা বাড়ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে উপস্থিত হন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম ডিসেম্বরের মধ্যে জকসু নির্বাচন আয়োজনের এবং জানুয়ারি মাস থেকে সম্পূরক বৃত্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন।