দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এবার অনেকটাই ভয়হীন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ — রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ক্যাম্পাসজুড়ে এখন এক অন্যরকম উৎসবের আবহ। অভিনব কায়দায় প্রচারণায় নেমেছেন অনেকে।
হাতে ধরা কাগজ — প্রথমে মনে হয় টাকার নোট কিংবা জমির দলিল। তবে একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, এগুলো আসলে নির্বাচনী লিফলেট! কারও কাছে ডাকটিকিটের মতো ছোট্ট কাগজ, আবার কারও প্রচারণায় পুলিশের পোশাক পরে বানানো ভিডিও। অভিনব এসব কৌশল শিক্ষার্থীদের চমকে দিচ্ছে, কাড়ছে মনোযোগ।
প্রচলিত মাইকিং, ব্যানার কিংবা পোস্টারের বাইরে গিয়ে প্রার্থীরা সাজাচ্ছেন ভিন্নধর্মী কৌশল। বুধবার প্রচারণার প্রথম দিন সকাল থেকেই আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের পথে পথে দেখা যায় এই অভিনব আয়োজন। শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছেন তারা, ছড়িয়ে দিচ্ছেন ভিডিও বার্তা, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে পোস্টার ও সৃজনশীল প্রচারণা। সব মিলিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেন ডুবে গেছে এক অন্যরকম নির্বাচনমুখরতায়।
সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম ছাপিয়েছেন লিফলেট—যেন হুবহু টাকার নোট। সেখানে লেখা তার কর্মসূচি ও পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা। তিনি বললেন, “আমাদের প্রচারণায় শিক্ষার্থীরা যেন সহজে বার্তা মনে রাখতে পারে, সেই চিন্তা থেকেই টাকার নকশা ব্যবহার করেছি। চোখে পড়বে, মনে থাকবে—এইটাই উদ্দেশ্য। তবে শুধু আকর্ষণ নয়, আমাদের কর্মসূচি নিয়েও শিক্ষার্থীরা ভাবুক, সেটিই মুখ্য।”
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়িদ হাসান জোহা পুলিশের পোশাক পরে তৈরি করেছেন ভিডিও। ৫ নম্বর ব্যালটে ভোট চেয়ে তিনি বোঝাতে চান, গণতন্ত্র রক্ষায় ভোট কতটা জরুরি। তিনি বললেন, “পুলিশের পোশাক ব্যবহার করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। আমি নির্বাচিত হলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষামূলক আয়োজনকে নতুনভাবে শক্তিশালী করবো।”
আর মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফাহির আমিন বানিয়েছেন প্রচারণার নতুন সংজ্ঞা। জমির দলিল, হলফনামা কিংবা ডাকটিকিটের মতো কাগজপত্রে তুলে ধরেছেন নিজের অঙ্গীকার। প্রথমে এগুলো দেখে শিক্ষার্থীদের মনে হয়েছে আইনি কাগজপত্র বা ডাকের সামগ্রী, পরে বোঝা গেছে এগুলো তার নির্বাচনী লিফলেট। তিনি বলেন, “রাকসু নির্বাচনকে প্রাণবন্ত করতেই আমার এ উদ্যোগ। প্রচারে ভিন্ন কিছু থাকলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রচারেই প্রসার — এই বিশ্বাস থেকেই এ ব্যতিক্রমী আয়োজন।”
ছাত্রদল প্যানেল থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাহিন বিশ্বাস এশা। তার ব্যালট নম্বর ৫। মনোযোগ কাড়তে তিনি এঁকেছেন হাতের পাঁচ আঙুলের প্রতীক। প্রতিটি আঙুলে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিশ্রুতির ছাপ। তিনি বললেন, “আমার ব্যালট নম্বর ৫। তাই ভোটারদের মনে সেটি গেঁথে দিতে আমরা এই কৌশল নিয়েছি।”
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এবার অনেকটাই ভয়হীন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ — রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ক্যাম্পাসজুড়ে এখন এক অন্যরকম উৎসবের আবহ। অভিনব কায়দায় প্রচারণায় নেমেছেন অনেকে।
হাতে ধরা কাগজ — প্রথমে মনে হয় টাকার নোট কিংবা জমির দলিল। তবে একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, এগুলো আসলে নির্বাচনী লিফলেট! কারও কাছে ডাকটিকিটের মতো ছোট্ট কাগজ, আবার কারও প্রচারণায় পুলিশের পোশাক পরে বানানো ভিডিও। অভিনব এসব কৌশল শিক্ষার্থীদের চমকে দিচ্ছে, কাড়ছে মনোযোগ।
প্রচলিত মাইকিং, ব্যানার কিংবা পোস্টারের বাইরে গিয়ে প্রার্থীরা সাজাচ্ছেন ভিন্নধর্মী কৌশল। বুধবার প্রচারণার প্রথম দিন সকাল থেকেই আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের পথে পথে দেখা যায় এই অভিনব আয়োজন। শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছেন তারা, ছড়িয়ে দিচ্ছেন ভিডিও বার্তা, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে পোস্টার ও সৃজনশীল প্রচারণা। সব মিলিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেন ডুবে গেছে এক অন্যরকম নির্বাচনমুখরতায়।
সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম ছাপিয়েছেন লিফলেট—যেন হুবহু টাকার নোট। সেখানে লেখা তার কর্মসূচি ও পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা। তিনি বললেন, “আমাদের প্রচারণায় শিক্ষার্থীরা যেন সহজে বার্তা মনে রাখতে পারে, সেই চিন্তা থেকেই টাকার নকশা ব্যবহার করেছি। চোখে পড়বে, মনে থাকবে—এইটাই উদ্দেশ্য। তবে শুধু আকর্ষণ নয়, আমাদের কর্মসূচি নিয়েও শিক্ষার্থীরা ভাবুক, সেটিই মুখ্য।”
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়িদ হাসান জোহা পুলিশের পোশাক পরে তৈরি করেছেন ভিডিও। ৫ নম্বর ব্যালটে ভোট চেয়ে তিনি বোঝাতে চান, গণতন্ত্র রক্ষায় ভোট কতটা জরুরি। তিনি বললেন, “পুলিশের পোশাক ব্যবহার করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। আমি নির্বাচিত হলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষামূলক আয়োজনকে নতুনভাবে শক্তিশালী করবো।”
আর মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফাহির আমিন বানিয়েছেন প্রচারণার নতুন সংজ্ঞা। জমির দলিল, হলফনামা কিংবা ডাকটিকিটের মতো কাগজপত্রে তুলে ধরেছেন নিজের অঙ্গীকার। প্রথমে এগুলো দেখে শিক্ষার্থীদের মনে হয়েছে আইনি কাগজপত্র বা ডাকের সামগ্রী, পরে বোঝা গেছে এগুলো তার নির্বাচনী লিফলেট। তিনি বলেন, “রাকসু নির্বাচনকে প্রাণবন্ত করতেই আমার এ উদ্যোগ। প্রচারে ভিন্ন কিছু থাকলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রচারেই প্রসার — এই বিশ্বাস থেকেই এ ব্যতিক্রমী আয়োজন।”
ছাত্রদল প্যানেল থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাহিন বিশ্বাস এশা। তার ব্যালট নম্বর ৫। মনোযোগ কাড়তে তিনি এঁকেছেন হাতের পাঁচ আঙুলের প্রতীক। প্রতিটি আঙুলে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিশ্রুতির ছাপ। তিনি বললেন, “আমার ব্যালট নম্বর ৫। তাই ভোটারদের মনে সেটি গেঁথে দিতে আমরা এই কৌশল নিয়েছি।”