রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন একদল শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আজ বেলা ১১টা ২০ এর দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও অনড় থাকেন তারা। ১২ টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই শিক্ষার্থী।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাথায় ও শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে বসেন এক শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে সংহতি জানান আরও কয়েকজন।
অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী হলেন — আরবি বিভাগের রমজানুল মোবারক এবং সমাজ কর্ম বিভাগের সাঈদ ইস্পাহানী। তারা দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পরে তাদের সঙ্গে রাত ১২টার দিকে কথা বলতে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান। কিন্ত তারা কর্মসূচির বিষয়ে অনড় থাকেন। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব দেখা করতে এসে কোনো আশ্বাস দেননি। এতে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। অনশনে বৃষ্টিতে ভিজে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অনশনরত শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাব। আমাদের জীবন থাকতে আমরা পোষ্যকোটা মেনে নেব না।’
আরেক শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান খান বলেন, ‘পোষ্যকোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু এটা নিয়ে আমাদের আবারও অনশনে বসতে হয়েছে। আমরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘অনশনরত দুই শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ পড়েছে। তাঁদেরকে মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। দুইজনের ঠান্ডা-জ্বর লেগে গেছে। তাঁদেরকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের একজনকে আবাসিক হলে এবং আরেকজনকে মেসে দিতে যাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘পোষ্যকোটার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও চলমান রয়েছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
এর গত বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে নিযুক্ত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই সিদ্ধান্তের আগাম খবর জানতে পেরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা নামাজের পরও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন একদল শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আজ বেলা ১১টা ২০ এর দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও অনড় থাকেন তারা। ১২ টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই শিক্ষার্থী।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাথায় ও শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে বসেন এক শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে সংহতি জানান আরও কয়েকজন।
অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী হলেন — আরবি বিভাগের রমজানুল মোবারক এবং সমাজ কর্ম বিভাগের সাঈদ ইস্পাহানী। তারা দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পরে তাদের সঙ্গে রাত ১২টার দিকে কথা বলতে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান। কিন্ত তারা কর্মসূচির বিষয়ে অনড় থাকেন। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব দেখা করতে এসে কোনো আশ্বাস দেননি। এতে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। অনশনে বৃষ্টিতে ভিজে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অনশনরত শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাব। আমাদের জীবন থাকতে আমরা পোষ্যকোটা মেনে নেব না।’
আরেক শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান খান বলেন, ‘পোষ্যকোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু এটা নিয়ে আমাদের আবারও অনশনে বসতে হয়েছে। আমরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘অনশনরত দুই শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ পড়েছে। তাঁদেরকে মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। দুইজনের ঠান্ডা-জ্বর লেগে গেছে। তাঁদেরকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের একজনকে আবাসিক হলে এবং আরেকজনকে মেসে দিতে যাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘পোষ্যকোটার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও চলমান রয়েছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
এর গত বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে নিযুক্ত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই সিদ্ধান্তের আগাম খবর জানতে পেরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা নামাজের পরও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।