‘বৈষম্যবিরোধী’ ছাত্র আন্দোলনের তিন সাবেক সমন্বয়কের নেতৃত্বে রাকসু নির্বাচনে ঘোষণা হয়েছিলো ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল। আর সেখান থেকেই সরে দাঁড়ালেন তাদের একজন। এর আগে আরও দুইজন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, সাম্প্রতিক বাস্তবতা এবং ব্যক্তিগত কারণ’ — এগুলোই সরে দাঁড়ানোর কারণ বলছেন তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ — রাকসু নির্বাচনে সমন্বয়কদের নেতৃত্বে থাকা আলোচিত ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সর্বশেষ সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। তবে তিনি সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করবেন। কিন্তু স্বতন্ত্র হিসেবে।
সরে দাঁড়ানো অন্য দুজন হলেন — মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাহির আমিন এবং সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী এম শামিম। তারাও ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে সরে গিয়েছেন।
সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে গতকাল ফেইসবুক পোস্টে প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী আকিল বিন তালেব লিখেছেন, “সাম্প্রতিক নানা বাস্তবতায় এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে আমি ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। একটি প্যানেল মূলত টিমওয়ার্কের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির যোগ্যতা, সততা ও কর্মদক্ষতার ওপর। আমাদের ভেতরে পারস্পরিক বোঝাপড়ার কিছু ঘাটতির কারণে অনেকে ইতোমধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন। আমিও সেই ধারাবাহিকতায় আজ প্যানেল থেকে সরে যাচ্ছি।”
গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্যানেলের সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী এম শামীম রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন থাকায় প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি এই কারণ উল্লেখ করেন।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর তিন সাবেক সমন্বয়কের প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়ে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী ফাহির আমিন ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘আসন্ন রাকসু নির্বাচনে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেল থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক কারণে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্যানেল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
‘বৈষম্যবিরোধী’ ছাত্র আন্দোলনের সাবেক তিন সমন্বয়কের নেতৃত্বে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সমন্বয়কদের ‘ঐক্য’কে এই প্যানেলের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে আলোচনা ছিল। তবে ক্যাম্পাসে আলোচনা ও গুঞ্জন রয়েছে, এই প্যানেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কিংবা ছাত্রশিবিরের ‘ছায়া টিম’ হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে সাবেক এক সমন্বয়কসহ একে একে তিনজন সরে দাঁড়ালেন। তাতে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। জিএস প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘স্লোগানমাস্টার’ হিসেবে। ভিপি প্রার্থী মেহেদী সজীব ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসের পোষ্য কোটাসহ নানা আন্দোলনে সক্রিয় থেকে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন এই প্যানেলে থাকা তিন সমন্বয়ক।
এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়ে আকিল বিন তালেব ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘তবে এটুকু বলতেই চাই, এই প্যানেলের প্রতিটি প্রার্থী অত্যন্ত যোগ্য।... আমি আসন্ন রাকসু নির্বাচনে এজিএস এবং সিনেট সদস্য এই দুইটি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবতায় আমার পক্ষে একসাথে দুইটি পদে প্রচারণা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু রাকসুর মূল কার্যকারিতা সিনেটের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে, যেখানে নির্বাচিত সিনেট সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে কথা বলবেন, তাই আমি কেবল সিনেট সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে আমি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রচারণা চালিয়ে যাবো।’
তবে ভবিষ্যতে ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ কোনো প্যানেলের সঙ্গে ‘সমন্বয় বা এলায়েন্স’ করার ‘প্রয়োজন হলে’ সময়মতো সেই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘বৈষম্যবিরোধী’ ছাত্র আন্দোলনের তিন সাবেক সমন্বয়কের নেতৃত্বে রাকসু নির্বাচনে ঘোষণা হয়েছিলো ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল। আর সেখান থেকেই সরে দাঁড়ালেন তাদের একজন। এর আগে আরও দুইজন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, সাম্প্রতিক বাস্তবতা এবং ব্যক্তিগত কারণ’ — এগুলোই সরে দাঁড়ানোর কারণ বলছেন তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ — রাকসু নির্বাচনে সমন্বয়কদের নেতৃত্বে থাকা আলোচিত ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সর্বশেষ সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। তবে তিনি সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করবেন। কিন্তু স্বতন্ত্র হিসেবে।
সরে দাঁড়ানো অন্য দুজন হলেন — মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাহির আমিন এবং সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী এম শামিম। তারাও ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে সরে গিয়েছেন।
সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে গতকাল ফেইসবুক পোস্টে প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী আকিল বিন তালেব লিখেছেন, “সাম্প্রতিক নানা বাস্তবতায় এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে আমি ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। একটি প্যানেল মূলত টিমওয়ার্কের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির যোগ্যতা, সততা ও কর্মদক্ষতার ওপর। আমাদের ভেতরে পারস্পরিক বোঝাপড়ার কিছু ঘাটতির কারণে অনেকে ইতোমধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন। আমিও সেই ধারাবাহিকতায় আজ প্যানেল থেকে সরে যাচ্ছি।”
গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্যানেলের সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী এম শামীম রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন থাকায় প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি এই কারণ উল্লেখ করেন।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর তিন সাবেক সমন্বয়কের প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়ে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী ফাহির আমিন ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘আসন্ন রাকসু নির্বাচনে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেল থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক কারণে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্যানেল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
‘বৈষম্যবিরোধী’ ছাত্র আন্দোলনের সাবেক তিন সমন্বয়কের নেতৃত্বে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সমন্বয়কদের ‘ঐক্য’কে এই প্যানেলের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে আলোচনা ছিল। তবে ক্যাম্পাসে আলোচনা ও গুঞ্জন রয়েছে, এই প্যানেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কিংবা ছাত্রশিবিরের ‘ছায়া টিম’ হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে সাবেক এক সমন্বয়কসহ একে একে তিনজন সরে দাঁড়ালেন। তাতে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। জিএস প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘স্লোগানমাস্টার’ হিসেবে। ভিপি প্রার্থী মেহেদী সজীব ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসের পোষ্য কোটাসহ নানা আন্দোলনে সক্রিয় থেকে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন এই প্যানেলে থাকা তিন সমন্বয়ক।
এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়ে আকিল বিন তালেব ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘তবে এটুকু বলতেই চাই, এই প্যানেলের প্রতিটি প্রার্থী অত্যন্ত যোগ্য।... আমি আসন্ন রাকসু নির্বাচনে এজিএস এবং সিনেট সদস্য এই দুইটি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবতায় আমার পক্ষে একসাথে দুইটি পদে প্রচারণা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু রাকসুর মূল কার্যকারিতা সিনেটের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে, যেখানে নির্বাচিত সিনেট সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে কথা বলবেন, তাই আমি কেবল সিনেট সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে আমি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রচারণা চালিয়ে যাবো।’
তবে ভবিষ্যতে ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ কোনো প্যানেলের সঙ্গে ‘সমন্বয় বা এলায়েন্স’ করার ‘প্রয়োজন হলে’ সময়মতো সেই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।