পোষ্য কোটার পুনর্বহালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ধস্তাধস্তিতে প্রভাব পড়েছে আসন্ন রাকসু নির্বাচনে। গতকাল সারাদিন ধরে উত্তপ্ত আন্দোলনের পর আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণায় নামেননি।
গতকাল দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতে উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত ঘোষণা করে। তবে শিক্ষার্থীরা তা বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
তবে পোষ্যকোটা পূর্ণবহালের দাবিতে রোববার সারাদিন কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক রোকসানা বেগম বলেন, “আমরা কোনো অফিসে যাইনি; আজকে আমতলাতেই সারাদিন থাকবো। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল করতে হবে; আর যদি বন্ধ করতেই হয় তাহলে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই বন্ধ করতে হবে।”
সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক নীরবতা বিরাজ করছে। অন্য সময়ের মতো কোথাও পোস্টারিং, প্রচারণামূলক কার্যক্রম দেখা যায়নি। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনেকেই বলছেন, আন্দোলনের কারণে স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না — সে প্রশ্ন এখন সামনে চলে এসেছে।
শাখা ছাত্রদলের ' ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম ' প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূরউদ্দিন আবির বলেন, “পোষ্যকোটা ইস্যু মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাওয়াটা অযোক্তিক। তবে প্রশাসন থেকে বিকেলে সিদ্ধান্ত আসলে আমরা সন্ধ্যার দিকে মেসে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।”
তবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জানান তারা ‘ছোটখাটো প্রচারণা’ চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনার কারণে ক্যাম্পাস থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তারপরও আমরা ছোটখাটো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।”
সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আজ। সেখানে পোষ্য কোটা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, “রাকসু নির্বাচন হবে কিনা এটা শিক্ষার্থীদের আচরণ উপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে সিরিয়াস।"
জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, "আমাদের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, রাকসু বিষয়ক কার্যক্রম তাদের কর্মসূচির বাইরে থাকবে। তারা রাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।”
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পোষ্য কোটার পুনর্বহালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ধস্তাধস্তিতে প্রভাব পড়েছে আসন্ন রাকসু নির্বাচনে। গতকাল সারাদিন ধরে উত্তপ্ত আন্দোলনের পর আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণায় নামেননি।
গতকাল দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতে উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত ঘোষণা করে। তবে শিক্ষার্থীরা তা বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
তবে পোষ্যকোটা পূর্ণবহালের দাবিতে রোববার সারাদিন কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক রোকসানা বেগম বলেন, “আমরা কোনো অফিসে যাইনি; আজকে আমতলাতেই সারাদিন থাকবো। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল করতে হবে; আর যদি বন্ধ করতেই হয় তাহলে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই বন্ধ করতে হবে।”
সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক নীরবতা বিরাজ করছে। অন্য সময়ের মতো কোথাও পোস্টারিং, প্রচারণামূলক কার্যক্রম দেখা যায়নি। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনেকেই বলছেন, আন্দোলনের কারণে স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না — সে প্রশ্ন এখন সামনে চলে এসেছে।
শাখা ছাত্রদলের ' ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম ' প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূরউদ্দিন আবির বলেন, “পোষ্যকোটা ইস্যু মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাওয়াটা অযোক্তিক। তবে প্রশাসন থেকে বিকেলে সিদ্ধান্ত আসলে আমরা সন্ধ্যার দিকে মেসে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।”
তবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জানান তারা ‘ছোটখাটো প্রচারণা’ চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনার কারণে ক্যাম্পাস থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তারপরও আমরা ছোটখাটো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।”
সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আজ। সেখানে পোষ্য কোটা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, “রাকসু নির্বাচন হবে কিনা এটা শিক্ষার্থীদের আচরণ উপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে সিরিয়াস।"
জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, "আমাদের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, রাকসু বিষয়ক কার্যক্রম তাদের কর্মসূচির বাইরে থাকবে। তারা রাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।”