রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। একুশ দিন পিছিয়ে এখন আগামী ১৬ অক্টোবর হবে ভোট। আগে ২৫ সেপ্টেম্বরর ভোটের কথা ছিল।
সোমবার, (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় রাকসু নির্বাচন কমিশনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিত করে ১৬ অক্টোবর ২০২৫ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ‘অনুকূল পরিবেশ’ নেই। এছাড়া নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা যায়নি।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন শেষ হয়েছিল। তবে পোষ্য কোটা ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং ‘শিক্ষক লাঞ্ছনা’ নিয়ে ক্যাম্পাসে শাটডাউনের ফলে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি জানায়, যদিও ছাত্রশিবির নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচনের পক্ষে ছিল।
সোমবার, সন্ধ্যার পর থেকে পূর্বঘোষিত তারিখে ভোটগ্রহণ করা না করা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল, প্রার্থী ও সংগঠনগুলো। ক্যাম্পাসের রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে তারা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা গত বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তারপর সেখানে অবস্থানরত বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট পিছিয়ে দেয়ার দাবিতে স্লোগান তোলেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্বাচন ভবনের সামনে আসে ছাত্রদল। তাদের নেতাকর্মীরাও নির্বাচন পেছানোর দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ অবস্থায় নির্বাচন ভবনের সামনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভবনের পশ্চিম দিকে ইসলামী ছাত্রশিবির, মাঝখানে বামপন্থিসহ অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবং পূর্ব পাশের ছাত্রদল অবস্থান নেয়।
এরমধ্যেই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভোট পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নতুন তারিখ ঘোষণা করে।
শনিবারের ঘটনায় শাস্তি দাবি
গত শনিবার রাতে পোষ্য কোটা ইস্যুতে আন্দোলনের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শিক্ষক সংগঠন ও অফিসার্স সমিতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি গঠন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।
গতকাল রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পর সোমবার, থেকে লাগাতার শাটডাউন শুরু হয়। সব অ্যাকাডেমিক ভবন ও প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলছে। ক্যাম্পাস কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে।
গত শনিবারের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার, সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘গত শনিবার শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছি। কারণ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ইউনিভার্সিটি টিচারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আম্মার এবং তার সহযোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই আম্মার এমন এক বেয়াদব এবং সন্ত্রাসী যে হাতে পিস্তল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে। গত শনিবার এ সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে, আমরা যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের দাবি হলো- চিহ্নিত এ সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তাদের সনদ বাতিল করতে হবে। এছাড়া যারা রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী আছে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।’
আর বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘গত ৯ মাসে প্রশাসন অসংখ্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু কোনোটিরই ফলাফল আসেনি। তাই আমরা আর অপেক্ষা করবো না। শিক্ষকদের ওপর হামলার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেখে আমরা শান্ত হবো না।’
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। একুশ দিন পিছিয়ে এখন আগামী ১৬ অক্টোবর হবে ভোট। আগে ২৫ সেপ্টেম্বরর ভোটের কথা ছিল।
সোমবার, (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় রাকসু নির্বাচন কমিশনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিত করে ১৬ অক্টোবর ২০২৫ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ‘অনুকূল পরিবেশ’ নেই। এছাড়া নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা যায়নি।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন শেষ হয়েছিল। তবে পোষ্য কোটা ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং ‘শিক্ষক লাঞ্ছনা’ নিয়ে ক্যাম্পাসে শাটডাউনের ফলে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি জানায়, যদিও ছাত্রশিবির নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচনের পক্ষে ছিল।
সোমবার, সন্ধ্যার পর থেকে পূর্বঘোষিত তারিখে ভোটগ্রহণ করা না করা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল, প্রার্থী ও সংগঠনগুলো। ক্যাম্পাসের রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে তারা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা গত বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তারপর সেখানে অবস্থানরত বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট পিছিয়ে দেয়ার দাবিতে স্লোগান তোলেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্বাচন ভবনের সামনে আসে ছাত্রদল। তাদের নেতাকর্মীরাও নির্বাচন পেছানোর দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ অবস্থায় নির্বাচন ভবনের সামনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভবনের পশ্চিম দিকে ইসলামী ছাত্রশিবির, মাঝখানে বামপন্থিসহ অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবং পূর্ব পাশের ছাত্রদল অবস্থান নেয়।
এরমধ্যেই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভোট পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নতুন তারিখ ঘোষণা করে।
শনিবারের ঘটনায় শাস্তি দাবি
গত শনিবার রাতে পোষ্য কোটা ইস্যুতে আন্দোলনের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শিক্ষক সংগঠন ও অফিসার্স সমিতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি গঠন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।
গতকাল রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পর সোমবার, থেকে লাগাতার শাটডাউন শুরু হয়। সব অ্যাকাডেমিক ভবন ও প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলছে। ক্যাম্পাস কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে।
গত শনিবারের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার, সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘গত শনিবার শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছি। কারণ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ইউনিভার্সিটি টিচারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আম্মার এবং তার সহযোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই আম্মার এমন এক বেয়াদব এবং সন্ত্রাসী যে হাতে পিস্তল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে। গত শনিবার এ সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে, আমরা যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের দাবি হলো- চিহ্নিত এ সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তাদের সনদ বাতিল করতে হবে। এছাড়া যারা রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী আছে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।’
আর বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘গত ৯ মাসে প্রশাসন অসংখ্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু কোনোটিরই ফলাফল আসেনি। তাই আমরা আর অপেক্ষা করবো না। শিক্ষকদের ওপর হামলার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেখে আমরা শান্ত হবো না।’