রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘পোষ্য কোটা’ নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে প্রশাসন ‘কার্যকরী সিদ্ধান্ত’ নিতে ব্যর্থ হলে যেকোনো ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ পরিস্থিতির দায়ভার তাদের ওপরই বর্তাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে ক্যাম্পাস কার্যত অচল হয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা তাদের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বরাবর দেওয়া ওই স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছেন।স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসনকে পোষ্য কোটার বিষয়ে অবিলম্বে কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং বিদ্যমান সংকট নিরসন করতে হবে। অন্যথায়, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই বহন করতে হবে।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে পূর্বে মীমাংসীত পোষ্য কোটা পুনরুজ্জীবিত করে, তাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে যে সম্পূর্ণ কর্মবিরতি (শাটডাউন) চলছে, তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে, পোষ্য কোটার ভিত্তিতে রাকসুকে কেন্দ্র করে যে বহুমাত্রিক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, তা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণে গুরুতর বাধা সৃষ্টি করছে।’
শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা মনে করি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, কতিপয় শিক্ষক সমাবেশ ও মিডিয়ায় বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে উসকানি দিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং পুরো ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তাহীন ও সংঘাতময় পরিবেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
জুবেরী ভবনের ঘটনাকে প্রশাসনের ব্যর্থতার বহিবহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ‘গত ২০সেপ্টেম্বর জুবেরী ভবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রশাসনের ধারাবাহিক ব্যর্থতার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। এর দায় কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানো যাবে না, কারণ শিক্ষার্থীরাও সেই ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিচারের নামে নিপীড়ন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত ও রাকসু কার্যকর করার আহবান জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডার-শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাকসু কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি।’
স্মারকলিপিতে তারা অভিযোগ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় একক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে প্রশাসনই বারবার সংকট তৈরি করছে।
এই সমস্যা উত্তরণের জন্য সকল প্রাতিষ্ঠানিক বডিকে সক্রিয় করে ব্যাপকতর গণতান্ত্রিক অংশগ্রহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সিদ্ধান্ত গ্রহণে শুধু প্রশাসনিক নীতির উপর নির্ভরশীল না রেখে গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে পরিচালিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।’
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘পোষ্য কোটা’ নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে প্রশাসন ‘কার্যকরী সিদ্ধান্ত’ নিতে ব্যর্থ হলে যেকোনো ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ পরিস্থিতির দায়ভার তাদের ওপরই বর্তাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে ক্যাম্পাস কার্যত অচল হয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা তাদের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বরাবর দেওয়া ওই স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছেন।স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসনকে পোষ্য কোটার বিষয়ে অবিলম্বে কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং বিদ্যমান সংকট নিরসন করতে হবে। অন্যথায়, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই বহন করতে হবে।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে পূর্বে মীমাংসীত পোষ্য কোটা পুনরুজ্জীবিত করে, তাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে যে সম্পূর্ণ কর্মবিরতি (শাটডাউন) চলছে, তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে, পোষ্য কোটার ভিত্তিতে রাকসুকে কেন্দ্র করে যে বহুমাত্রিক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, তা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণে গুরুতর বাধা সৃষ্টি করছে।’
শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা মনে করি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, কতিপয় শিক্ষক সমাবেশ ও মিডিয়ায় বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে উসকানি দিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং পুরো ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তাহীন ও সংঘাতময় পরিবেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
জুবেরী ভবনের ঘটনাকে প্রশাসনের ব্যর্থতার বহিবহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ‘গত ২০সেপ্টেম্বর জুবেরী ভবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রশাসনের ধারাবাহিক ব্যর্থতার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। এর দায় কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানো যাবে না, কারণ শিক্ষার্থীরাও সেই ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিচারের নামে নিপীড়ন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত ও রাকসু কার্যকর করার আহবান জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডার-শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাকসু কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি।’
স্মারকলিপিতে তারা অভিযোগ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় একক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে প্রশাসনই বারবার সংকট তৈরি করছে।
এই সমস্যা উত্তরণের জন্য সকল প্রাতিষ্ঠানিক বডিকে সক্রিয় করে ব্যাপকতর গণতান্ত্রিক অংশগ্রহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সিদ্ধান্ত গ্রহণে শুধু প্রশাসনিক নীতির উপর নির্ভরশীল না রেখে গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে পরিচালিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।’