ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল ও কিছু অন্যান্য সংগঠনের ভোট ‘কারচুপির’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘সুষ্পষ্ট’ ব্যাখ্যা চেয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শুক্রবার বিকালে এক বিবৃতিতে সাদা দল জানায়, সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ যে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। “ওই প্রতিবেদনে যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এছাড়া ডাকসু নির্বাচনে গুরুতর অনিয়মের এই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চার কেন্দ্র হিসেবে মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার এই বিবৃতিতে বলেন, “ডাকসু ভোটে যেসব ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, সেসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। অভিযোগগুলোকে ভুল প্রমাণ করা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বা বাহির থেকে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে কারচুপি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের ভোট হয় ৯ সেপ্টেম্বর, যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ভোটের লড়াইয়ে ছাত্রশিবিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থীরা। তবে কোনো পদেই তারা জয়ের মুখ দেখেননি। সম্পাদকীয় যে তিনটি পদ শিবিরের হাতছাড়া হয়, সেগুলোতে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
ভোটের ১৩ দিনের মাথায় ছাত্রদল অংশগ্রহণকারীরা সংবাদ সম্মেলনে ১১টি অনিয়ম-অভিযোগ তুলে ধরেন ও ভোটের সিসিটিভি ভিডিও প্রকাশের দাবি তোলেন। তবে বুধবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘অস্পষ্ট ও সারবত্তাহীন’ আবেদনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করছে।
নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ জানাতে ২৩ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ ও ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। সেখানে অভিযোগ করা হয়, প্রশাসন দাবি নিয়ে গড়িমসি করছে। ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসে, তবে এতে সবার অভিযোগের পূর্ণ জবাব নেই, কেবল ছাত্রদলের অভিযোগের জবাবের আভাস রয়েছে।
ছাত্রদল ছাড়াও প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেল ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ১২টি ‘অনিয়ম ও অসংগতির’ অভিযোগ করেছে। সাদা দল জানায়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফলাফল স্থগিত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তা না হলে এই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। “ফ্যাসিবাদের আমলে অনুষ্ঠিত অবৈধ নির্বাচনের মতো, যদি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচনও ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের একটি প্রহসনমূলক ও কলংকিত নির্বাচন হিসেবে থাকবে।”
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল ও কিছু অন্যান্য সংগঠনের ভোট ‘কারচুপির’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘সুষ্পষ্ট’ ব্যাখ্যা চেয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শুক্রবার বিকালে এক বিবৃতিতে সাদা দল জানায়, সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ যে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। “ওই প্রতিবেদনে যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এছাড়া ডাকসু নির্বাচনে গুরুতর অনিয়মের এই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চার কেন্দ্র হিসেবে মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার এই বিবৃতিতে বলেন, “ডাকসু ভোটে যেসব ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, সেসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। অভিযোগগুলোকে ভুল প্রমাণ করা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বা বাহির থেকে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে কারচুপি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের ভোট হয় ৯ সেপ্টেম্বর, যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ভোটের লড়াইয়ে ছাত্রশিবিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থীরা। তবে কোনো পদেই তারা জয়ের মুখ দেখেননি। সম্পাদকীয় যে তিনটি পদ শিবিরের হাতছাড়া হয়, সেগুলোতে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
ভোটের ১৩ দিনের মাথায় ছাত্রদল অংশগ্রহণকারীরা সংবাদ সম্মেলনে ১১টি অনিয়ম-অভিযোগ তুলে ধরেন ও ভোটের সিসিটিভি ভিডিও প্রকাশের দাবি তোলেন। তবে বুধবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘অস্পষ্ট ও সারবত্তাহীন’ আবেদনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করছে।
নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ জানাতে ২৩ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ ও ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। সেখানে অভিযোগ করা হয়, প্রশাসন দাবি নিয়ে গড়িমসি করছে। ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসে, তবে এতে সবার অভিযোগের পূর্ণ জবাব নেই, কেবল ছাত্রদলের অভিযোগের জবাবের আভাস রয়েছে।
ছাত্রদল ছাড়াও প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেল ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ১২টি ‘অনিয়ম ও অসংগতির’ অভিযোগ করেছে। সাদা দল জানায়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফলাফল স্থগিত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তা না হলে এই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। “ফ্যাসিবাদের আমলে অনুষ্ঠিত অবৈধ নির্বাচনের মতো, যদি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচনও ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের একটি প্রহসনমূলক ও কলংকিত নির্বাচন হিসেবে থাকবে।”