ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও হলে অস্ত্র এবং মাদক সম্পৃক্ততার ঘটনায় ১৯ জনকে আজীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে ৩৫ জনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এরমধ্যে জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত হয়েছেন ১২ জন। তারা হলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সজীবুর রহমান, সহসভাপতি পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিমুল মিয়া, সহসভাপতি বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ হোসাইন টিটু, সহসভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের লোকমান হোসাইন, ছাত্রলীগ কর্মী সমাজাবিজ্ঞান বিভাগের তারেক হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ইলিয়াস সানী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদ মাজ জারদি ও সিয়াম খান এবং পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সাইমুন।
অস্ত্র ও মাদক সংশ্লীষ্টতার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত হয়েছেন ৮জন শিক্ষার্থী। তারা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোহাম্মদ মামুন মিয়া, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিসংখ্যান বিভাগের অমিত সাহা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তরিকুল ইসলাম লিয়ন, ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. মাহবুবুর রহমান, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের মারভিন ডালি রিকি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী শান্ত তারা আদনান।
অন্যদিকে দুটি ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হয়েছেন ২০ জন শিক্ষার্থী। জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ৪ সেমিষ্টার বহিষ্কার হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের আকাশ তালুকদার, ছাত্রলীগের সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. মাইদুল ইসলাম মুরাদ, ছাত্রলীগকর্মী বাংলা বিভাগের মো. নাফিউজ্জমান, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের দুর্জয় সরকার নিলয় ও লোকপ্রশাসন বিভাগের মারুফ মিয়া।
অন্যদিকে ২ সেমিষ্টারের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রেজাউল হক (সিজার), সহসভাপতি বাংলা বিভাগের মজিদুল হক ও সহসভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান, মো. ইসমাইল হোসেন ও মনিরুজ্জামান মুন্না, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি শুভ্র রায় শ্যাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সজীব চন্দ্র নাথ, ইংরেজি বিভাগের তাইমুর সালেহীন তাউস, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিহাব উদ্দিন মিশু ও রাউফুন জাহান মিলেনিয়াম, অর্থনীতি বিভাগের রেদোয়ান হোসাইন এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের আসিফুল ইসলাম।
অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় সিভিল এন্ড এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তানভির আহমেদকে ৩ সেমিস্টার, বাংলা বিভাগের অজয় চন্দ্র বর্মনকে এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নিপেশ চন্দ্র গোপকে ২ বছর করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ই জুলাই হতে ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের বিষয়ে অধিকতর তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অপরাধে ১৫ জনকে সাময়িক বহিষ্কার প্রদান করেছে। তারা হলেন, ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি অর্থনীতি বিভাগের মো. মামুন শাহ, সহসভাপতি সমাজকর্ম বিভাগের আয়াজ উদ্দিন হালিম, সহসভাপতি বাংলা বিভাগের আইরিন আক্তার লিনজা, সহসভাপতি লোকপ্রশাসন বিভাগের সাইমন আক্তার, সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নুর মোহাম্মদ শৈশব, যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. ইমামুল ইসলাম রিদয়, যুগ্ম সধারণ সম্পাদক ইংরেজি বিভাগের আজিজুল ইসলাম সিমান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শুভ সাহা এবং ছাত্রলীগ কর্মী বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ, রসায়ন বিভাগের মেহেদী হাসান স্বাধীন, লোকপ্রশাসন বিভাগের আমিনুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ আলী মঈন, সমাজকর্ম বিভাগের এম এন রাখায়েত হোসেন নাবিল।
এছাড়া হলে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় সতর্ক করা হয়েছে লোকপ্রশাসন বিভাগের নাদিমুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের মো. রমজান আলী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. শিপন মিয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মো. এহসান ফেরদৌস মাহিন, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. নাদিম হোসাইন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সাকিব সৌরভ, গণিত বিভাগের জিহাদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফারদিন কবির জিমকে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও হলে অস্ত্র এবং মাদক সম্পৃক্ততার ঘটনায় ১৯ জনকে আজীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে ৩৫ জনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এরমধ্যে জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত হয়েছেন ১২ জন। তারা হলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সজীবুর রহমান, সহসভাপতি পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিমুল মিয়া, সহসভাপতি বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ হোসাইন টিটু, সহসভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের লোকমান হোসাইন, ছাত্রলীগ কর্মী সমাজাবিজ্ঞান বিভাগের তারেক হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ইলিয়াস সানী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদ মাজ জারদি ও সিয়াম খান এবং পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সাইমুন।
অস্ত্র ও মাদক সংশ্লীষ্টতার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত হয়েছেন ৮জন শিক্ষার্থী। তারা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোহাম্মদ মামুন মিয়া, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিসংখ্যান বিভাগের অমিত সাহা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তরিকুল ইসলাম লিয়ন, ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. মাহবুবুর রহমান, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের মারভিন ডালি রিকি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী শান্ত তারা আদনান।
অন্যদিকে দুটি ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হয়েছেন ২০ জন শিক্ষার্থী। জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ৪ সেমিষ্টার বহিষ্কার হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের আকাশ তালুকদার, ছাত্রলীগের সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. মাইদুল ইসলাম মুরাদ, ছাত্রলীগকর্মী বাংলা বিভাগের মো. নাফিউজ্জমান, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের দুর্জয় সরকার নিলয় ও লোকপ্রশাসন বিভাগের মারুফ মিয়া।
অন্যদিকে ২ সেমিষ্টারের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রেজাউল হক (সিজার), সহসভাপতি বাংলা বিভাগের মজিদুল হক ও সহসভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান, মো. ইসমাইল হোসেন ও মনিরুজ্জামান মুন্না, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি শুভ্র রায় শ্যাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সজীব চন্দ্র নাথ, ইংরেজি বিভাগের তাইমুর সালেহীন তাউস, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিহাব উদ্দিন মিশু ও রাউফুন জাহান মিলেনিয়াম, অর্থনীতি বিভাগের রেদোয়ান হোসাইন এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের আসিফুল ইসলাম।
অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় সিভিল এন্ড এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তানভির আহমেদকে ৩ সেমিস্টার, বাংলা বিভাগের অজয় চন্দ্র বর্মনকে এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নিপেশ চন্দ্র গোপকে ২ বছর করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ই জুলাই হতে ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের বিষয়ে অধিকতর তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অপরাধে ১৫ জনকে সাময়িক বহিষ্কার প্রদান করেছে। তারা হলেন, ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি অর্থনীতি বিভাগের মো. মামুন শাহ, সহসভাপতি সমাজকর্ম বিভাগের আয়াজ উদ্দিন হালিম, সহসভাপতি বাংলা বিভাগের আইরিন আক্তার লিনজা, সহসভাপতি লোকপ্রশাসন বিভাগের সাইমন আক্তার, সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নুর মোহাম্মদ শৈশব, যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. ইমামুল ইসলাম রিদয়, যুগ্ম সধারণ সম্পাদক ইংরেজি বিভাগের আজিজুল ইসলাম সিমান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শুভ সাহা এবং ছাত্রলীগ কর্মী বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ, রসায়ন বিভাগের মেহেদী হাসান স্বাধীন, লোকপ্রশাসন বিভাগের আমিনুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ আলী মঈন, সমাজকর্ম বিভাগের এম এন রাখায়েত হোসেন নাবিল।
এছাড়া হলে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় সতর্ক করা হয়েছে লোকপ্রশাসন বিভাগের নাদিমুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের মো. রমজান আলী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. শিপন মিয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মো. এহসান ফেরদৌস মাহিন, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. নাদিম হোসাইন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সাকিব সৌরভ, গণিত বিভাগের জিহাদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফারদিন কবির জিমকে।