নির্বাচনে বিজয়ী ভিপি-জিএস-এজিএস -সংবাদ
ডাকসু, জাকসু ও চাকসুর পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) শিবিরসমর্থিত শিক্ষার্থীদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল। ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরসমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
শুক্রবার,(১৭ অক্টোবর ২০২৫) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রাকসু নির্বাচনের প্রধান কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
শিবির প্যানেলের জয়জয়কার
ভিপি পদে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলসমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।
এজিএস পদে এস এম সালমান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলসমর্থিত জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।
এছাড়া সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক আবু সাঈদ মুহাম্মাদ নুন (সামি), সংস্কৃতি সম্পাদক জায়িদ হাসান জোহা, সহকারী সংস্কৃতি সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক সাইয়িদা হাফছা, সহকারী মহিলা সম্পাদক সামিয়া জাহান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বি এম নাজমুছ সাকিব, সহকারী তথ্য সম্পাদক সিফাত আবু সালেহ, মিডিয়া সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক আসাদুল্লাহ গালিব, সহকারী বিজ্ঞান সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম, সাহিত্য সম্পাদক ইমরান লস্কর, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক নয়ন হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাসুমা ইসরাতসহ অধিকাংশ পদে শিবিরসমর্থিত প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্যপদের চারটিতেও জয় পেয়েছে একই প্যানেলের দীপ মাহবুব, সুজন চন্দ্র, ইমজিয়াউল হক কামালি ও এ বি এম খালেদ।
তিন পদে জয় পেল অন্যরা
তবে শীর্ষ দ্বিতীয় পদ জিএস, ক্রীড়া সম্পাদক ও বিজ্ঞান সম্পাদক পদে শিবির হেরে গেছে।
জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার ১১ হাজার ৪৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় নার্গিস খাতুন, যিনি ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেল থেকে প্রার্থী ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ (তোফা) জয়ী হয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে।
উত্তাপ উৎসবের ভোট
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে আটটায় ফল গণনা শুরু হয়, যা শেষ হয় ভোরের দিকে। শুক্রবার, সকালে মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।
এ নির্বাচনে মোট ২৪৭ জন প্রার্থী রাকসুর ২৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১; এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা। দীর্ঘ বিরতির পর ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরলেও ফলাফলে শিবিরসমর্থিত প্যানেলের বিপুল সাফল্য আলোচনায় এসেছে জাতীয় রাজনীতিতেও।
ডাকসু, জাকসু ও চাকসুর মতো ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংসদগুলোর পর এবার রাকসুতেও ইসলামী ছাত্রশিবিরসমর্থিত প্রার্থীদের জয় ছাত্র রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
নির্বাচনে বিজয়ী ভিপি-জিএস-এজিএস -সংবাদ
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ডাকসু, জাকসু ও চাকসুর পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) শিবিরসমর্থিত শিক্ষার্থীদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল। ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরসমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
শুক্রবার,(১৭ অক্টোবর ২০২৫) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রাকসু নির্বাচনের প্রধান কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
শিবির প্যানেলের জয়জয়কার
ভিপি পদে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলসমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।
এজিএস পদে এস এম সালমান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলসমর্থিত জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।
এছাড়া সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক আবু সাঈদ মুহাম্মাদ নুন (সামি), সংস্কৃতি সম্পাদক জায়িদ হাসান জোহা, সহকারী সংস্কৃতি সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক সাইয়িদা হাফছা, সহকারী মহিলা সম্পাদক সামিয়া জাহান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বি এম নাজমুছ সাকিব, সহকারী তথ্য সম্পাদক সিফাত আবু সালেহ, মিডিয়া সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক আসাদুল্লাহ গালিব, সহকারী বিজ্ঞান সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম, সাহিত্য সম্পাদক ইমরান লস্কর, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক নয়ন হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাসুমা ইসরাতসহ অধিকাংশ পদে শিবিরসমর্থিত প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্যপদের চারটিতেও জয় পেয়েছে একই প্যানেলের দীপ মাহবুব, সুজন চন্দ্র, ইমজিয়াউল হক কামালি ও এ বি এম খালেদ।
তিন পদে জয় পেল অন্যরা
তবে শীর্ষ দ্বিতীয় পদ জিএস, ক্রীড়া সম্পাদক ও বিজ্ঞান সম্পাদক পদে শিবির হেরে গেছে।
জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার ১১ হাজার ৪৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় নার্গিস খাতুন, যিনি ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেল থেকে প্রার্থী ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ (তোফা) জয়ী হয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে।
উত্তাপ উৎসবের ভোট
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে আটটায় ফল গণনা শুরু হয়, যা শেষ হয় ভোরের দিকে। শুক্রবার, সকালে মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।
এ নির্বাচনে মোট ২৪৭ জন প্রার্থী রাকসুর ২৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১; এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা। দীর্ঘ বিরতির পর ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরলেও ফলাফলে শিবিরসমর্থিত প্যানেলের বিপুল সাফল্য আলোচনায় এসেছে জাতীয় রাজনীতিতেও।
ডাকসু, জাকসু ও চাকসুর মতো ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংসদগুলোর পর এবার রাকসুতেও ইসলামী ছাত্রশিবিরসমর্থিত প্রার্থীদের জয় ছাত্র রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।