পুরনো ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই; ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ দাবি করছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, জোবায়েদ হত্যায় মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছুরিকাঘাতের পরও ছাত্রীর কাছে বাঁচার আকুতি করেছিল, ছাত্রী কোনো সহায়তা করেনি: পুলিশ
ছাত্রীকে বাসা থেকে ও বাকি দু’জনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার, বংশাল থানায় মামলা: ডিসি মিডিয়া
একমাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা
হয়: পুলিশ
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিন্টু রোডস্থ মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই ঘটনাটির সঙ্গে বরগুনার রিফাত হত্যায় তার স্ত্রী মিন্নির জড়িত থাকার ওই ঘটনার মিল পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলেছে, একমাস আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনকে (২৫) হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই এনায়েত হোসেন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বংশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তারা হলেন- মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। তিনজন ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপির ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ভাংনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহির রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাসা থেকে বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ এবং গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর চ্যামেলীবাগ শান্তিনগর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে মোটামুটি মিল আছে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই, এটা কমপ্লিটলি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী। এটাকে রাজনৈতিক কালার দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমরা এমন কিছু পাইওনি।’
পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পড়াতে গিয়ে জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে আগে থেকেই মাহির রহমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। মাহিরের সঙ্গে বর্ষার দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। এর আগে বংশাল থানার ওসি জানান, তাদের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
ব্রিফিংয়ে এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, মাহিরকে বর্ষা বলেন যে জোবায়েদকে না সরালে তিনি মাহিরের হতে পারবেন না। এরপর জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি মাহির বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জেনেছেন বলে জানায় পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকা-ের দিন বিকেল ৪টায় জোবায়েদ পড়াতে আসবেন এ তথ্য মাহিরকে জানায় বর্ষা। এ তথ্য জানার পর মাহির তার বন্ধু আয়লানকে নিয়ে আগে থেকেই বাসার নিচের গলিতে অবস্থান নেয়। জোবায়েদ বাসার নিচে এসে পৌঁছালে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মাহির বর্ষাকে ছেড়ে দিতে বললে জোবায়েদ অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে মাহির জোবায়েদের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।
পুলিশ কর্মকর্তা মল্লিক আহসান উদ্দিন ব্রিফিংয়ে বলেন, বাসার নিচে ছুরি দিয়ে আঘাতের পর জোবায়েদ বাঁচার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে আসে। বেশ কয়েকটি বাসার দরজায় তিনি নক করেন। কেউ খোলেননি। তৃতীয় তলায় এসে তিনি বর্ষার কাছে বাঁচার আকুতি জানান। তবে বর্ষা তাকে সাহায্য করেননি।
এক প্রশ্নের জাবাবে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল বলেন, ‘মেয়েটি দুই দিকেই সম্পর্ক বজায়ে রাখছে। হয়তো সে ডিসিশান নিতে পারছিল না। ছোট মানুষ, তার আগের প্রেমিক ব্যাপারটা জানার পর হয়তো চাপ দিয়েছে। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই মেয়েটি ও তার আগের প্রেমিক মিলে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।’
মাহিরের মা ছেলেকে থানায় দিয়েছেন এমন তথ্য ঠিক কিনা প্রশ্নের জবাবে এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের কৌশল হিসেবে তারা মাহিরের পরিবারকে চাপ দেন। তিনি বলেন, উনারা নিজে থেকেই হস্তান্তর করেছেন বিষয়টি এ রকম নয়। এটা পুলিশের কৌশলের অংশ।
ব্রিফিংয়ে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষা ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে দ্বিতীয় বষের্র ছাত্রী।
জুবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত রোববার জোবায়েদের নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র ঘটনাস্থলে জড়ো হন তার সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রাতেই বিচারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছিল। এ সময় পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর রাত ১১টায় ওই ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
পরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাত পৌনে ১১টার দিকে তাঁতিবাজার এলাকায় প্রধান সড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তা আটকে রাখার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে বংশাল থানার দিকে রওনা হয়। পরে সেখানে অবস্থান করে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে গত রোববার সন্ধ্যা থেকেই ওই কলেজছাত্রের নাম এবং ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর গতকাল সোমবার সকালে ওই কলেজছাত্রের মা রেখা আহমেদ ছেলেকে নিয়ে গিয়ে বংশাল থানায় হস্তান্তর করে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
পুরনো ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই; ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ দাবি করছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, জোবায়েদ হত্যায় মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছুরিকাঘাতের পরও ছাত্রীর কাছে বাঁচার আকুতি করেছিল, ছাত্রী কোনো সহায়তা করেনি: পুলিশ
ছাত্রীকে বাসা থেকে ও বাকি দু’জনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার, বংশাল থানায় মামলা: ডিসি মিডিয়া
একমাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা
হয়: পুলিশ
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিন্টু রোডস্থ মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই ঘটনাটির সঙ্গে বরগুনার রিফাত হত্যায় তার স্ত্রী মিন্নির জড়িত থাকার ওই ঘটনার মিল পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলেছে, একমাস আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনকে (২৫) হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই এনায়েত হোসেন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বংশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তারা হলেন- মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। তিনজন ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপির ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ভাংনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহির রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাসা থেকে বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ এবং গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর চ্যামেলীবাগ শান্তিনগর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে মোটামুটি মিল আছে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই, এটা কমপ্লিটলি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী। এটাকে রাজনৈতিক কালার দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমরা এমন কিছু পাইওনি।’
পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পড়াতে গিয়ে জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে আগে থেকেই মাহির রহমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। মাহিরের সঙ্গে বর্ষার দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। এর আগে বংশাল থানার ওসি জানান, তাদের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
ব্রিফিংয়ে এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, মাহিরকে বর্ষা বলেন যে জোবায়েদকে না সরালে তিনি মাহিরের হতে পারবেন না। এরপর জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি মাহির বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জেনেছেন বলে জানায় পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকা-ের দিন বিকেল ৪টায় জোবায়েদ পড়াতে আসবেন এ তথ্য মাহিরকে জানায় বর্ষা। এ তথ্য জানার পর মাহির তার বন্ধু আয়লানকে নিয়ে আগে থেকেই বাসার নিচের গলিতে অবস্থান নেয়। জোবায়েদ বাসার নিচে এসে পৌঁছালে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মাহির বর্ষাকে ছেড়ে দিতে বললে জোবায়েদ অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে মাহির জোবায়েদের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।
পুলিশ কর্মকর্তা মল্লিক আহসান উদ্দিন ব্রিফিংয়ে বলেন, বাসার নিচে ছুরি দিয়ে আঘাতের পর জোবায়েদ বাঁচার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে আসে। বেশ কয়েকটি বাসার দরজায় তিনি নক করেন। কেউ খোলেননি। তৃতীয় তলায় এসে তিনি বর্ষার কাছে বাঁচার আকুতি জানান। তবে বর্ষা তাকে সাহায্য করেননি।
এক প্রশ্নের জাবাবে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল বলেন, ‘মেয়েটি দুই দিকেই সম্পর্ক বজায়ে রাখছে। হয়তো সে ডিসিশান নিতে পারছিল না। ছোট মানুষ, তার আগের প্রেমিক ব্যাপারটা জানার পর হয়তো চাপ দিয়েছে। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই মেয়েটি ও তার আগের প্রেমিক মিলে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।’
মাহিরের মা ছেলেকে থানায় দিয়েছেন এমন তথ্য ঠিক কিনা প্রশ্নের জবাবে এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের কৌশল হিসেবে তারা মাহিরের পরিবারকে চাপ দেন। তিনি বলেন, উনারা নিজে থেকেই হস্তান্তর করেছেন বিষয়টি এ রকম নয়। এটা পুলিশের কৌশলের অংশ।
ব্রিফিংয়ে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষা ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে দ্বিতীয় বষের্র ছাত্রী।
জুবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত রোববার জোবায়েদের নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র ঘটনাস্থলে জড়ো হন তার সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রাতেই বিচারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছিল। এ সময় পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর রাত ১১টায় ওই ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
পরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাত পৌনে ১১টার দিকে তাঁতিবাজার এলাকায় প্রধান সড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তা আটকে রাখার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে বংশাল থানার দিকে রওনা হয়। পরে সেখানে অবস্থান করে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে গত রোববার সন্ধ্যা থেকেই ওই কলেজছাত্রের নাম এবং ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর গতকাল সোমবার সকালে ওই কলেজছাত্রের মা রেখা আহমেদ ছেলেকে নিয়ে গিয়ে বংশাল থানায় হস্তান্তর করে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।