ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার,(২২ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রতিবাদে বুয়েটে বিক্ষোভ
সাইবার সুরক্ষা
আইনে মামলা
তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এ মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে তার বিরুদ্ধে বুধবার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদি হয়ে সাইবার সুরক্ষা আইনে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সন্দেহভাজন আসামি শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে ‘যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের’ অভিযোগ উঠেছে। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে তার শাস্তির দাবিতে বুয়েটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে গতকাল একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা আইনে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সন্দেহভাজন আসামি শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে ‘যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের’ অভিযোগ উঠেছে। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে তার শাস্তির দাবিতে বুয়েটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান বলছেন, ‘শ্রীশান্তর বিরুদ্ধে সাইবার স্পেসে নারীদের নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা মামলার সঙ্গে এমন কিছু স্ক্রিনশট যুক্ত করেছেন যাতে মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।’
তার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সাইবার স্পেসে নারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা ও ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত।
মামলার বাদী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন এজাহারে বলেছেন, সন্দেহভাজন ছাত্র শ্রীশান্ত রায়, তার গ্রামের বাড়ি সিলেট শাহপরাণ। বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে ৪০৫ নম্বর রুম।
এজাহারে বলা হয়েছে, ওই ছাত্র বুয়েট ছাত্রাবাসে অবস্থান করে ইসলাম ও মুসলিম নারীদের নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করে। ছদ্মনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আইডি ব্যবহার করে একাধিক সময় নানা মন্তব্য করে।
অনেক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ছবি ও ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করে। উক্ত আসামি ছদ্মনাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর পোস্ট করে আসছিল।
বাদীসহ বুয়েটের শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন চেষ্টা করে গত ১৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে চকবাজার থানার বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের মেইন গেইটের সামনে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিড্ডিট ব্যবহার করার সময় উক্ত আসামির উল্লেখিত বেআইনি কর্মকা-ের বিষয়টি জানতে পারি। সে ছদ্মনামে ব্যবহারকৃত আইডির প্রকৃত পরিচয়দারী ব্যক্তি আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করে বলে বাদী এজাহারে বলেছেন।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আহসান উল্লাহ হল থেকে আসামি শ্রীশান্ত রায়কে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড, একটি সিম্ফনি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উক্ত সন্দেহভাজন ছাত্র মুসলিম নারী সংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য, ছবি এবং ধমীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য আমার, বুয়েটের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দর্শীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। উক্ত আসামিকে আহসান হলে আটক রাখা হয়েছিল। বুয়েট প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ছাত্র/ছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিলে বাদী মামলা দায়ের করেন। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। মামলার এজাহারে আসামি কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টকৃত মন্তব্যের স্ক্রিনশর্ট-২৬ পাতা সংযুক্ত দেখানো হলো।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এ বিষয় চকবাজার থানার ওসির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ওসি মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা তদন্ত চলছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার,(২২ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রতিবাদে বুয়েটে বিক্ষোভ
সাইবার সুরক্ষা
আইনে মামলা
তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এ মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে তার বিরুদ্ধে বুধবার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদি হয়ে সাইবার সুরক্ষা আইনে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সন্দেহভাজন আসামি শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে ‘যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের’ অভিযোগ উঠেছে। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে তার শাস্তির দাবিতে বুয়েটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে গতকাল একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা আইনে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সন্দেহভাজন আসামি শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে ‘যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের’ অভিযোগ উঠেছে। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে তার শাস্তির দাবিতে বুয়েটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান বলছেন, ‘শ্রীশান্তর বিরুদ্ধে সাইবার স্পেসে নারীদের নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা মামলার সঙ্গে এমন কিছু স্ক্রিনশট যুক্ত করেছেন যাতে মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।’
তার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সাইবার স্পেসে নারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা ও ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত।
মামলার বাদী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন এজাহারে বলেছেন, সন্দেহভাজন ছাত্র শ্রীশান্ত রায়, তার গ্রামের বাড়ি সিলেট শাহপরাণ। বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে ৪০৫ নম্বর রুম।
এজাহারে বলা হয়েছে, ওই ছাত্র বুয়েট ছাত্রাবাসে অবস্থান করে ইসলাম ও মুসলিম নারীদের নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করে। ছদ্মনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আইডি ব্যবহার করে একাধিক সময় নানা মন্তব্য করে।
অনেক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ছবি ও ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করে। উক্ত আসামি ছদ্মনাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর পোস্ট করে আসছিল।
বাদীসহ বুয়েটের শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন চেষ্টা করে গত ১৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে চকবাজার থানার বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের মেইন গেইটের সামনে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিড্ডিট ব্যবহার করার সময় উক্ত আসামির উল্লেখিত বেআইনি কর্মকা-ের বিষয়টি জানতে পারি। সে ছদ্মনামে ব্যবহারকৃত আইডির প্রকৃত পরিচয়দারী ব্যক্তি আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করে বলে বাদী এজাহারে বলেছেন।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আহসান উল্লাহ হল থেকে আসামি শ্রীশান্ত রায়কে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড, একটি সিম্ফনি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উক্ত সন্দেহভাজন ছাত্র মুসলিম নারী সংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য, ছবি এবং ধমীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য আমার, বুয়েটের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দর্শীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। উক্ত আসামিকে আহসান হলে আটক রাখা হয়েছিল। বুয়েট প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ছাত্র/ছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিলে বাদী মামলা দায়ের করেন। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। মামলার এজাহারে আসামি কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টকৃত মন্তব্যের স্ক্রিনশর্ট-২৬ পাতা সংযুক্ত দেখানো হলো।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এ বিষয় চকবাজার থানার ওসির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ওসি মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা তদন্ত চলছে।