ওসমান হাদির মৃত্যু, খুনিদের বিচারের দাবিতে জগন্নাথে বিক্ষোভ মিছিল

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের বিচারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

শুক্রবার,(১৯ ডিসেম্বর ২০২৫) জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বিশ্বজিৎ চত্বর প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি ঘরে ঘরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন যে, ভারত যদি শহীদ হাদির খুনিদের আশ্রয় দিয়ে থাকে, তবে প্রয়োজনে ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করা হবে। তারা অভিযোগ করেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অনতিবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়াও এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং দেশজুড়ে আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ সময় জবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। অথচ আজ জুলাই যোদ্ধারাই রাজপথে নিরাপদ নয়। যদি অবিলম্বে হাদি ভাইয়ের খুনিদের বিচার না করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি খুনিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হন তবে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা আর কোনো বীরের রক্ত ঝড়তে দেবো না।’

গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে এক অতর্কিত হামলায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

‘ক্যাম্পাস’ : আরও খবর

সম্প্রতি