গণপরিবহনে ‘হাফ পাসের’ (অর্ধেক ভাড়া) দাবিতে সিটি কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ ও উদয়ন কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় তাদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হওয়া মশাল মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী।
সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ছাত্র, কিন্তু তাদের হাফপাস লাগে না। কারণ তাদের তথাকথিত বড় ভাইয়েরা বাস মালিকদের নিকট থেকে মাসিক মাসোহারা পায়। বাস মালিকরা যদি হাফ পাস চালু করে তাহলে তাদের চাঁদার পরিমাণ কমে যাবে। তাই তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতেও দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে সফল করেছে। সুতরাং শিক্ষার্থীরা হাফ পাসের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে এই আন্দোলনেরও সফলতার মুখ দেখবে।’
সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের আপামর ছাত্রজনতা যখনই কোনো যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছে তখনই ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। ছাত্রলীগ এমন করতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রসংগঠন নেই। এটি এখন অপরাধী সংগঠন হয়ে গেছে। সায়েন্সল্যাবে ছাত্রলীগের যারা ছাত্র-জনতার ওপরে হামলা করেছে অতিসত্বর তাদেরকে আইনের আওতায় আনুন। আপনারা যদি আইনের আওতায় না আনেন তাহলে এ দেশের ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না। হাফ পাস কোনো ভিক্ষা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার।’
মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
গণপরিবহনে ‘হাফ পাসের’ (অর্ধেক ভাড়া) দাবিতে সিটি কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ ও উদয়ন কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় তাদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হওয়া মশাল মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী।
সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ছাত্র, কিন্তু তাদের হাফপাস লাগে না। কারণ তাদের তথাকথিত বড় ভাইয়েরা বাস মালিকদের নিকট থেকে মাসিক মাসোহারা পায়। বাস মালিকরা যদি হাফ পাস চালু করে তাহলে তাদের চাঁদার পরিমাণ কমে যাবে। তাই তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতেও দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে সফল করেছে। সুতরাং শিক্ষার্থীরা হাফ পাসের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে এই আন্দোলনেরও সফলতার মুখ দেখবে।’
সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের আপামর ছাত্রজনতা যখনই কোনো যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছে তখনই ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। ছাত্রলীগ এমন করতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রসংগঠন নেই। এটি এখন অপরাধী সংগঠন হয়ে গেছে। সায়েন্সল্যাবে ছাত্রলীগের যারা ছাত্র-জনতার ওপরে হামলা করেছে অতিসত্বর তাদেরকে আইনের আওতায় আনুন। আপনারা যদি আইনের আওতায় না আনেন তাহলে এ দেশের ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না। হাফ পাস কোনো ভিক্ষা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার।’